#বন্ধু#অমৃতা গুহ দে
লাঞ্চে আমার স্কুলের নিজের চেম্বারে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বসে আছি। কেউ মারামারি করলো কিনা অথবা কেউ পড়ে গেল কিনা কিম্বা কোন বাচ্চা বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে গেল নাতো!! এই সব দেখছি ।
দেখলাম ক্লাস টিচারকে কিছু …
#বন্ধু
#অমৃতা গুহ দে
লাঞ্চে আমার স্কুলের নিজের চেম্বারে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বসে আছি। কেউ মারামারি করলো কিনা অথবা কেউ পড়ে গেল কিনা কিম্বা কোন বাচ্চা বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে গেল নাতো!! এই সব দেখছি ।
দেখলাম ক্লাস টিচারকে কিছু বলে এইটের শুভম, ঋষভ, শাহজাদ, হর্ষ , স্যামুয়েল আর কৌস্তুভ বাউন্ডারির বাইরে গেল। একটু পড়েই উর্দ্ধশ্বাসে ছয়জন দৌড়ে আসছে আর ওদের পেছনে টিয়াদাদু দৌড়ে আসছে হাতে লাঠি নিয়ে। টিয়াদাদু হলো টিয়া পাখিকে দিয়ে ভাগ্য দেখেন বহু বছর ধরে। অনেক বয়েস হয়ে গেছে। কিন্তু খুব রাগী।
আর ওই সময় কত্তা স্কুলে ঢুকলো আমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে । দেখলাম কত্তার কাছে টিয়া দাদু নালিশ করছে বুঝতে পারছি।
হঠাৎ আমার পেছনে ওই ছয়জন লুকিয়ে পড়লো আর তখনি কত্তা ঢুকে আমাকে বলল সরে যাও আজ ওদের মার দেব "বল কে কথাটা বলেছিস টিয়াদাদুকে"। আমি কি হয়েছে কি হয়েছে বলছি কিন্তু কেউ কিছু বলছে না।
যদিও এখন আর মারা বারন । কিন্তু উঁচু ক্লাসের গার্জিয়ানরা আমাকেই কমপ্লেন করেন যে বাচ্চা শুধু স্যারকে ভয় পায় বাড়িতে কাউকে ভয় পায়না তাই ওরা বাঁদরামি করলে আপনি স্যার কে বাধা দেবেন না। যাইহোক ওরা ছয়জন দুঘা করে খেলো কিন্তু মুখ খুললোনা এতো ভালো বন্ধু ওরা। আমি যথারীতি ওদের বাঁচিয়ে ক্লাসে পাঠিয়ে দেই।
পরে কত্তার কাছে জানলাম যে দুষ্টুগুলো টিয়াদাদুকে বলেছে "বলতো আমাদের মধ্যে কার টা পুরো নেই?" প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি পরে বুঝতে পেরে খুব হেসেছি।