হাইকোর্টের নির্দেশে তমলুকে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি ভেঙে দিলো পুলিশ প্রশাসন। পূর্ত দপ্তরের জায়গায় গড়ে ওঠা ওই বাড়ির পেছনের জমির মালিক আদালতে মামলা করায়, তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু পূর্তদপ্তরের জায়গায় কিভাবে পেলো আবাসয…
হাইকোর্টের নির্দেশে তমলুকে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি ভেঙে দিলো পুলিশ প্রশাসন। পূর্ত দপ্তরের জায়গায় গড়ে ওঠা ওই বাড়ির পেছনের জমির মালিক আদালতে মামলা করায়, তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু পূর্তদপ্তরের জায়গায় কিভাবে পেলো আবাসযোজনার বাড়ি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে পূর্বতন পুরবোর্ড়ের দিকে আঙুল তুলে এর দায় সেরেছে বর্তমান তৃনমূল পরিচালিত পুরবোর্ড়।
সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি নিয়ে সামনে এসেছে নানান অভিযোগ। আবাস যোজনার বাড়ি পেতে কাটমানি থেকে সিন্ডিকেট এমনকি টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরী না করে হাজতবাসের নজির রয়েছে। আর সেই আবাসযোজনার ঘর পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তমলুক পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মধুসূদন দাস ২০১৪-২০১৫সালে পুরসভা থেকে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়। সেই টাকায় তিনি বাড়িও করে ফেলেন। কিন্তু সেই বাড়ি কিনা ভাঙা পড়লো আদালতের নির্দেশে। পুলিশ সূত্রে খবর মধুসূদনবাবুর ওই বাড়িটি পূর্ত দপ্তরের জায়গায় গড়ে উঠেছে। সেই বাড়ির পেছনে যার রায়ত জায়গা রয়েছে। তিনি কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর আদালত সেই বেআইনি বাড়িটি ভেঙে দিতে বলে। সেই মত সোমবার পূর্তদপ্তরের লোকজন, তমলুক মহকুমা শাসকের নির্দেশে তমলুক থানার বিশাল পুলিশবাহিনি গিয়ে বাড়িটি ভেঙ্গে দেয়।
আর পূর্ত দপ্তরের জায়গায় কি করে তমলুক পুরসভা সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি বরাদ্দ করলো তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি। পাশাপাশি কাটমানি, সিন্ডিকেটরাজের খোঁচাও দিয়েছেন তারা। অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্বতন পুরবোর্ড়ের দিকে আঙুল তুলেছেন বর্তমান তৃনমূল পরিচালিত পুরবোর্ড়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাম্রলিপ্ত পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায়।