গাছকেটে নগর গড়ায় সমতলে আর সেভাবে দেখা মেলে না শিমুল পলাশ এর। তবুও বসন্তের কোকিলের ডাকে যেন দোলের আগেই দোলা দিল মন।করোণা পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুন ছন্দে জীবনের জয়গানে হোলির আগেই দোল উৎসবে মাতলো তমলুকের কচিকাঁচারা। নাচ, গান, আবৃত্ত…
গাছকেটে নগর গড়ায় সমতলে আর সেভাবে দেখা মেলে না শিমুল পলাশ এর। তবুও বসন্তের কোকিলের ডাকে যেন দোলের আগেই দোলা দিল মন।
করোণা পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুন ছন্দে জীবনের জয়গানে হোলির আগেই দোল উৎসবে মাতলো তমলুকের কচিকাঁচারা। নাচ, গান, আবৃত্তিতে বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া মনের মাধুরী যেন নতুন করে খুঁজে পেল ওরা।
বিগত দিন ১৫ ধরে যার মহড়া চলছিল তমলুকের এই রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল ময়দানে। রবিবার বিকেল গড়িয়ে তমলুকের রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল ময়দানে তারি পরিস্ফুটন ঘটে এই আগাম বসন্ত উৎসবের আসরে। তবে তার আগে শহর জুড়ে পথপরিক্রমার মধ্য দিয়ে আগমনীর গান নাচের ছন্দে যেন বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে সারা শহর।
কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, কবিতা আবৃতি একে একে গীতি আলেখ্যর ডালি সাজিয়ে নৃত্য পরিবেশনে মনের মনিকোঠায় হিল্লোল তুলে অমৃত খাটুয়া, নিবেদিতা পাত্র, অভিলাষা মান্না, পারমিতা মুখোপাধ্যায়রা।তমলুক জার্নালিস্ট রেক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে সামগ্রিক অনুষ্ঠানের পরিচালনায় ছিলেন তমলুকের সাংবাদিক বন্ধুরা।
গীতি আলেখ্য থেকে নাচ গান এবং গ্রুপ নৃত্যে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় চার শতাধিক। তমলুকের বিদ্বজন কবি-সাহিত্যিকদের মাঝে এক মনোরম পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন তমলুকের মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ এম এম হাসান, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তমলুক শহরে সাংবাদিকদের উদ্যোগে এই বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষজনেরা।