অরুন কুমার সাউ, ময়না: মাছ চাষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না আজ রাজ্য মডেল। এটা অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়। বর্তমানে রাজ্যে মৎস্য চাষ ব্যাপক আকার নিয়েছে। নীলবিপ্লবে এই ময়না আজ দারুণ সাড়া ফেলেছে।এটা প্রসংশার দাবি রাখে। একশ্র…
অরুন কুমার সাউ, ময়না: মাছ চাষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না আজ রাজ্য মডেল। এটা অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়। বর্তমানে রাজ্যে মৎস্য চাষ ব্যাপক আকার নিয়েছে। নীলবিপ্লবে এই ময়না আজ দারুণ সাড়া ফেলেছে।এটা প্রসংশার দাবি রাখে। একশ্রেণীর মানুষ ঝিল বা ভেড়ির ধারে জাল দিয়ে পাখিদের হত্যা করছে! অপরাধ পাখিরা মাছ খেয়ে নিচ্ছে।
জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে বক, সারস, পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গা, ডাউক ,শামুকখোল ইত্যাদি পাখি। এর ফলে পাখির সংখ্যা কমছে।এখন তো বাজপাখি চিল প্রায় দেখাই যায় না!অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে যেসব পাখি মাছ খায় না তারাও জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে এরা হলো কাঠঠোকরা শালিক ঘুঘু মৌটুসি ছাতার হাঁড়িচাঁচা ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, কোথাও কোথাও ছোট ছোট মাছ মৌরলা , পুঁটি ইত্যাদি -তে বিষ ভরে সারস, পানকৌড়ি ,ডাহুক মাছরাঙ্গাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। কোথায় আবার পাখি মারা বন্দুক দিয়ে আঘাত হানা হচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।
এমনিতে পাখিদের সংখ্যা আজ তলানিতে ঠেকেছে। এভাবে পাখিদের নিধন করলে বহু পাখি হয়তো একদিন এই পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাবে।ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে ,নষ্ট হবে খাদ্য শৃঙ্খল । প্রায় সময় বেশ কিছু পরিবেশপ্রেমী ও পাখি প্রেমী মানুষজন গিয়ে ফিসারীর মালিকদের পাখি না মারার জন্য অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। কিছুদিন আগে একটি স্কুলের কয়েকজন ছাত্র গিয়ে বেশ কয়েকটি পাখিকে জাল থেকে মুক্ত করে উদ্ধার করে পরিবেশে আবার ফিরিয়ে দেয়।
পরিবেশপ্রেমী দিলীপ কুমার পাত্র বলেন, "প্রকৃতিকে সুন্দর করে রাখে পাখি। আর পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। অনেক পাখি ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসলকে রক্ষা করে থাকে। ফসলের ওপর থেকে বিরূপ প্রভাব ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতির বন্ধু পাখি রক্ষায় প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এ বিষয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পাখিদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।