Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুরের লজ্জা, বাল্যবিবাহে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। জেলায় সাতশো স্কুলগুলিকে ভার্চুয়ালি সচেতন করলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী

তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর:  স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ব মেদিনীপুর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল, সারা রাজ্যে শিক্ষার হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর, কিন্তু লজ্জার বিষয় হল বাল্যবিবাহে রাজ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। বাধ্য হ…

 


তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর:  স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ব মেদিনীপুর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল, সারা রাজ্যে শিক্ষার হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর, কিন্তু লজ্জার বিষয় হল বাল্যবিবাহে রাজ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। বাধ্য হয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী জেলার প্রায় ৭০০ স্কুলকে নিয়ে ভার্চুয়ালি সচেতন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন। নাবালিকা বিয়ের লজ্জার রেকর্ড মুছতে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় ৭০০ স্কুলে প্রজেক্টর বসিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করলেন জেলাশাস পূর্ণেন্দু কুমার মাজী।

প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার ছাড়াও অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয়। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী তাঁর দপ্তর থেকে সমস্ত স্কুলের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন, উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা শাসক উন্নয়ন নেহা ব্যানার্জি, অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা পরিষদ অনির্বাণ কোলে, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা, নাবালিকা বিয়ে, নাবালিকা অবস্থায় গর্ভবতী, সামাজিক মূল্যবোধ, শব্দ দূষণ, প্লাস্টিক ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন জেলাশাসক, ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, তিনি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমানোর উপরে জোর দেন, স্কুলের পড়ুয়াদের মোবাইল ব্যবহারের ওপরেও পরামর্শ দেন। এদিন ভার্চুয়ালি বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজীকে।


স্কুল শিক্ষিকা মালবিকা দাস পন্ডা বলেন শিক্ষার দিক দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর যেমন এগিয়ে রয়েছে বাল্যবিবাহের দিক দিয়েও ঠিক তেমনি এগিয়ে রয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুব একটা খুশির খবর নয়। কম বয়সী মেয়েদের কি হলে তার কুপ্রভাব শুধু যে তাদের পরিবারে পড়ে তা নয় পুরো সমাজের উপরেই পড়ে। সেটা আমাদের দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

এদিন বাল্যবিবাহ রোধে সমস্ত স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা প্রশাসনিক আধিকারিকরা সবাই মিলে শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। শপথ বাক্য পাঠ করে শোনান অতিরিক্ত জেলা শাসক উন্নয়ন নেহা ব্যানার্জি। আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাল্যবিবাহ রোধে জেলা প্রশাসন কতটা রুখতে পারে এখন সেটাই দেখার বিষয়।