অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: ম্যাজিক দেখতে ও দেখাতে কে না ভালোবাসে। আর সেই ম্যাজিক যদি হাতে কলমে শিখতে পারা যায় তার থেকে আনন্দ বোধহয় আর হয় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিশু-কিশোর একাডেমী পশ্চিমবঙ্গ তথ…
অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: ম্যাজিক দেখতে ও দেখাতে কে না ভালোবাসে। আর সেই ম্যাজিক যদি হাতে কলমে শিখতে পারা যায় তার থেকে আনন্দ বোধহয় আর হয় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিশু-কিশোর একাডেমী পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতিক দপ্তরের আয়োজনে শুরু হল তিন দিনব্যাপী ম্যাজিক কর্মশালা। এই অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে - এসো ম্যাজিক শিখি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের জেলা শাসক করনের মঙ্গলবার সকালে এই কর্মশালা শুরু হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয়। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী, অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অনির্বাণ কোলে, শিশু-কিশোর একাডেমির সচিব মন্দাকান্তা দেবী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের আধিকারিক মহুয়া মল্লিক, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ম্যাজিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রঞ্জন সিনহা সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।
এদিনের কর্মশালায় প্রায় ৫০ জনের অধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। কর্মশালায় ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে কলমে ম্যাজিক শেখার আনন্দ পায়। এদিন ম্যাজিক শেখার কর্মশালাতে - ম্যাজিক কি? ম্যাজিক কেন শেখা প্রয়োজন? ম্যাজিক কিভাবে ছেলেমেয়েদের মানসিক চাপ কমায় - এ সকল বিষয়ে আলোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতিক শিশু কিশোর একাডেমি বিভাগের সচিব মন্দাকান্তা দেবী। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী বলেন, ছোটবেলা থেকেই ম্যাজিক দেখতে খুব উৎসাহী ছিলাম। আজও এই কর্মশালাতে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ছেলে মেয়েদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য অবশ্যই ম্যাজিক শিখে রাখা প্রয়োজন। ম্যাজিক মনে আনে আনন্দ। মনকে অনেক মুক্ত রাখে। আগামী দিনের সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।