Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার মা মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ৪ অভিযুক্ত দণ্ডিত হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ডে

অরুণ কুমার সাউ, তমলুক , পূর্ব মেদনীপুর : হলদিয়ার মা মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পাঁচ বছর পর অবশেষে রায় শোনালো তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত,৪ অভিযুক্ত দণ্ডিত হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ডে।২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়া পৌরস…

 


অরুণ কুমার সাউ, তমলুক , পূর্ব মেদনীপুর : হলদিয়ার মা মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পাঁচ বছর পর অবশেষে রায় শোনালো তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত,৪ অভিযুক্ত দণ্ডিত হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ডে।

২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়া পৌরসভার ঝিকুরখালি এলাকার হলদি নদীর ধারে মা মেয়ের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় জোড়া খুনে অভিযুক্ত হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন।

পাঁচ বছর আগে হলদিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল তমলুক জেলা আদালত৷ অভিযুক্ত সাদ্দামের সঙ্গে মা এবং তার ১৮ বছরের কন্যার সঙ্গে একযোগে সম্পর্ক৷ দু জনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বিপদ৷ শেষে মা এবং মেয়েকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মেরেছিল যুবক৷পাঁচ বছর আগে হলদিয়ায় হলদি নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মা এবং মেয়ে অর্ধদগ্ধ দেহ৷ তদন্তে জানা গিয়েছিল, মা এবং মেয়েকে একসঙ্গে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক৷সেই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল তমলুক জেলা আদালত৷ 

২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ জানা গিয়েছিল, সাদ্দামের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল উত্তর চব্বিশ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রমা দে নামে ওই মহিলার৷ সেই সম্পর্কের সূত্রেই রমা এবং তাঁর ১৮ বছরের মেয়েকে অভিযুক্ত সাদ্দাম হলদিয়ায় নিয়ে আসে। এবং সেখানেই একটি বাড়ি ভাড়া করে তাদের রেখে দেয়।

রমার পাশাপাশি তাঁর মেয়ে সঙ্গেও সাদ্দাম প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরে সাদ্দাম মেয়েকেই বিয়ে করে। মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে গিয়ে তৈরি হয় বিবাদ। সাদ্দাম সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাও চালায়।শেষ পর্যন্ত ঘটনার দিন রমা দে এবং তাঁর মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হলদি নদীর পাড়ে ঝিকুরখালি এলাকায় নিয়ে যায় সাদ্দাম৷ দু জনের মৃত্যু হয়েছে ভেবে নিয়ে সে রমা দে এবং তাঁর মেয়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এলাকার বাসিন্দারাই ঘটনার কথা জানতে পেরে সাদ্দামকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন৷ ঘটনার ৯০ দিন পরে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। পাঁচ বছর মামলা চলার পরে শনিবার সাজা ঘোষণা করে তমলুক জেলা আদালত। মূল অপরাধী সাদ্দাম সহ বাকি বাকি ৩ অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত।

প্রসঙ্গত ব্যারাকপুরের রমা দে নামক এক মহিলার সাথে অভিযুক্ত সাদ্দামের সম্পর্ক গঠনের পরে রমা এবং তার ১৮ বছরের মেয়ে জেসিকাকে নিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম হলদিয়ায় চলে আসে, এবং এখানেই এক বাড়ি ভাড়া করে তাদের রেখে দেয়। রমার পাশাপাশি তার মেয়ে জেসিকার সাথেও সাদ্দামের একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে সাদ্দাম জেশিকাকে বিয়ে করে। মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে গিয়ে তৈরি হয় বিবাদ। সাদ্দাম সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালায়।তারপরেই ঘটনা মোড় নেন নৃশংসতার। দুই মা মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা মেয়েকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে ঝিকুর খালি এলাকায়। মৃত ভেবে দুই মা মেয়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে।এলাকাবাসী জানতে পেরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সাদ্দামকে।ঘটনার ৯০ দিন পরে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

পাঁচ বছর কেস চলার পরে শনিবার সাজা ঘোষণা করে তমলুক জেলা আদালত।মূল অপরাধী সাদ্দাম সহ বাকি বাকি ৩ অপরাধীকে ৩০২ (খুন) এবং ২০১(প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত।