Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মিঠু ভট্টাচার্য -এর লেখনী সম্ভার

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷: মানব পুত্রকলমে,, মিঠু ভট্টাচাৰ্যসৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানবপুত্র শান্তির দূত তুমি পারাবার,নবজীবন করো প্রজ্জ্বলিত বিজয়কেতন ওড়াও বারংবার।বেথেলহেমের আকাশে নবসূর্য এনেছে নতুন সংবাদ,মা মেরি র কোলে যীশু স্বর্গ দূতে …


 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

: মানব পুত্র

কলমে,, মিঠু ভট্টাচাৰ্য

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানবপুত্র শান্তির দূত তুমি পারাবার,

নবজীবন করো প্রজ্জ্বলিত বিজয়কেতন ওড়াও বারংবার।

বেথেলহেমের আকাশে নবসূর্য এনেছে নতুন সংবাদ,

মা মেরি র কোলে যীশু স্বর্গ দূতে রা দেয় আশীর্বাদ।

পন্ডিত গণ আহ্বান জানায় উপঢৌকন সাথে,

বিশ্বজয়ী রাজার রাজা আজ এসেছে এই রাতে।

এমন বিশ্ব প্রেমিক তোমরা দেখেছো কি কখনো,

এমন ভালোবাসার কথা তোমরা শুনেছ কি কখনো।

বলগা হরিণ সওয়াড়ি হয়ে সান্তাক্লস আসে,

ভালোবাসার উপহার বিলোন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে।

হিমেল রাতে খুশির আমেজ যীশুর জন্মক্ষনে,

রাজার রাজা এলো যে মর্ত্যএ ঈশ্বর দূত মেনে।

প্রেমের দেবতা তিনিও যে হন এই হিংসার বলি,

ঈশ্বর কে অপমান একী অন্যায় ঘন ঘোর কলি।

ক্রুশের ওপর হতে দু বাহু বাড়ায়ে যীশু ডাকে তাঁর মায়,

পবিত্রতার মূর্তি মেরি ডাকে চিরশিশু ফিরে আয়।

লাল টকটকে রক্ত বাছা কোথায় কোথায় ঝরে,

সেতো তোমার ঘরে, সেতো আমার ঘরে।

তুমি আঘাত করেছো যারে সে তো তোমারি মুক্তিদাতা,

তুমি হত্যা করেছো যারে সেতো তোমারি পরিত্রাতা।

মৃত্যুঞ্জয় জীবনবাণী তুমি রাজার রাজ,

কাঁটার মুকুট তবু সেটাই তোমার হলো তাজ।

চিরশিশু তুমি থাকো সব শিশুদের মাঝে,

খুঁজে দেখো কোথায় দুঃখ কোথায় ব্যাথা বাজে।

এমন বাণী কে বলেছে শতাব্দীর ইতিহাসে,

তোমার জন্মদিন বড়দিন এই আকাশে বাতাসে।

আলো ঝলমল উৎসবে গির্জার ঘন্টায় আহ্বান,

মেরি খ্রীস্টমাস জোসেফ মা  মেরি গাই যীশুর জয়গান।

সবাই মিলে গাই রাজার রাজা র গান।

সবাই মিলে গাই বিশ্বপিতার   গান।

Merry christmas ❤❤❤❤


🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄🍄 

কলমে.. মিঠু ভট্টাচাৰ্য.. ❤🙄😄


আজকের দৃশ্যপট.... Baishali যখন বুড়াটাকে অবেলার গরম ভাত বলে ঠোনা দেয় papri তাকে সাত সকালে মোলো যা বলে.. Ritu র সেই পচা র বাপ তখন sreemonti র গল্পে love n romance খোঁজে.. Sujatadir ফুলমনি ও রাখাল ছেলেও কম যায়না তারাও debjanir র ভাষায় কুছ কুছ হোতা হ্যায়র রাহুলের মতো বলে কোই মিল গয়া.... সেখানেই saswati র টুরু লাভ এর প্রাপ্তি... Riya র পুঁটি মাছের ঝোলে anniversary সেরে anuka র ফোকলা  দাঁতের অষ্টদশী নায়িকা শাহরুখের বাহুতে ধরা দেয়.. Subhra laal এর ভাষায় যে পরান সখা... Mita যাকে বলে unconditional love. Nupurdi জানাই আসলে ওরা মানেনা মানা.. তখন suchorita র ভাষায় তারা প্রেমের জোয়ারে ভেসে বেড়ায়....

স্বামী বলে.... দ্বন্দে দাপটে খাংড়া ঝাপটে.. জীবন বিষালে তুমি..

জিবের বচনে অশন বসনে.. মশলা পিসেছো তুমি.... তবু উচ্ছে যেমন সুক্তার বুকে বেগুনের সাথে ভাসে.... আমার হৃদয়ে তুমি শুধু তুমি.. দাঁত টি বাড়িয়ে হাসে....

স্ত্রী বলে....

এতোই দ্বন্দ্ব এতোই দাপট এতোই যদি বিষ...

আমাকে ছাড়িয়া তোমার জীবন একদম নিরামিষ...

আমি টেসে গেলে একথালা আর জুটবেনা তোমার ভাত...

এই সংসারে কুটটি নেড়ে বিকল হয়েছে হাত...

তোমার সুক্ত জেনে রেখো প্রিয় উচ্ছে নয়কো আমি...

জীবনে তোমার সুগন্ধি ভরা ঘি যে হলাম দামি....

জবা টি দিয়া পুজো কোরো মোরে..

কালী হয়ে নাচি তাধিন ধিন...

শিব টি আমার শুয়ে থেকো তুমি হয়ে শুধু পরাধীন......

 🙏🙏🙏❤❤❤❤

🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

: কবিতার আলাপন

মা আসছেন সবার ঘরে আবেগ সবার প্রাণে ,

যে যার তার সাধ্য মতো মা কে ডাকে মনে,,,

কে প্রথম কে দ্বিতীয় কে বা সেরার সেরা,,

মা এর ঘরে সবাই সমান সন্তান সব যারা,,,

তাই তো আজ সবাই মিলে আগমনী গাই,,,

কবিতা থেকে শব্দ নিয়ে সম্মাননা দিয়ে যাই,,,


মা ধ্বনিতে বাজবে যে সুর প্রাণেতে নিরন্তর ..

গজের পিঠে আগমনী আকাশ বাতাস মধুর ..

ঢাকের বাদ্য ধুনোর গন্ধ কাশ শিউলির মালা .

মেনকার আর্তি বিরহ আমার কন্যা গৌরী বালা ...

শিষ্টের পালন অসুর দমন চালাও তুমি বাণ,, ...

মহান শরৎ মহৎসবে ঢাকের গন্ধ ছড়ায় বনে 

শারদীয়ায় মর্তলোকে দূর্গা আসেন মনে প্রাণে ...

মহালয়া চন্ডীপাঠ নতুন জামা জুতোর সারি 

মধুকর গুনগুনিয়ে সুগন্ধ ধূপের গন্ধ তারি,, .

দ্যুলোক ভুলোক ঝংকারেতে আশিস পেলাম তোমার মা.

আগমনী দুগ্গা এলো মাগো তোমার মহিমা,,, .

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

ধন্যবাদ

💮💮💮💮🌸🌸💮💮💮🌸🌸🌸 

মহানায়ক

লেখিকা। মিঠু ভট্টাচাৰ্য

ওনার সিনেমার নাম নিয়ে ছোট প্রয়াস

🙏🙏🙏🙏

হে স্রষ্টা হে শিল্পী তুমি বিধাতা র উত্তম সন্তান।

প্রিয় সব্যসাচী।দেবদাস মরুতীর্থ হিংলাজের পথে শিকারে গিয়েছিলো। সঙ্গে ছিল পাঁচ নায়িকা সংবাদ।

শ্যামলী বিপাশা সাগরিকা বকুল ইন্দ্রানী। তাঁরা সেই ইন্দ্রাদমোনের রাজদ্রোহীতায় ঝিন্দের বন্দী হলো।

কিন্তু তুমি নায়ক চন্দ্রনাথ, অগ্নিশ্বর তুমিই। সবাইকে বললে ওগো শুনছো ধন্নি মেয়ে রা মাধবীর জন্য পথে হলো দেরি। দেয়া নেওয়া চাওয়া পাওয়া পথের দাবি কিছু নেই তোমার। শিল্পী তুমিই তাই বনপলাশির পদাবলী তে ভোলা ময়রা আর এন্টোনি ফিরিঙ্গির অসাধারণ গান গাইলে। এক কেন দুই পৃথিবী থাকলেও বলি তুমিই সবার ওপরে।হারানো সুর কে হার মানা হার করলে তুমিই।

চৌরঙ্গী তে দেখেছি তোমাকে মেমসাহেব এক রাজকুমারীর সঙ্গে। একটি রাত এ পাশের বাড়ী নিমন্ত্রণ এ এসেছিলে তুমি। শাপমোচন হলো যেন সবার। সেদিন ছিলে তুমি ছদ্মবেশি তে। সন্ন্যাসী রাজার বেশে।

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের দিন তুমি একে আনন্দ আশ্রমে নগরদর্পণের জন্য।

বন্দী হলাম আমরা তোমার মন নিয়ে। ত্রিযামা হলাম নিশি পদ্ম টি নিয়ে শুধু একটি বছর নয়, শুধু তোমার জন্য। যত ওগো বধূ সুন্দরী রা আজ হলো সাথীহারা। বাঘবন্দী খেলাতেও ছিলে তুমি পটু বিচারক। তোমার অকাল প্রয়ানে আমাদের জীবন তৃষ্ণা যেন ফুরিয়ে গেলো।

             মহানায়ক লহ প্রণাম। 🙏🙏🙏🙏

🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻: 

সাতকাহন

সকলের লেখা থেকে রসদ নিয়ে বানানো।

সময়,,,

অভিজ্ঞ বলবান নদীর স্রোতের ন্যায়,

সময় হলো মূল্যবান সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়।

আনন্দ

পাখির কলতান জীবনের ঔষধ দেহের শক্তি,

আপেক্ষিক স্রোতের মত আশীর্বাদ মুক্তি।

বন্ধু

বন্ধু ছাড়া জীবন বৃথা শব্দ ছোট পরিধি বড়,

পবিত্রতার পরিপূরক আত্মার উপলব্ধি দড়।

স্বপ্ন

স্বপ্ন হলো শক্তি প্রেরণা একটি আদুরে রোদ,

কালাম সাহেবের ভাষায় স্বপ্ন জীবন বোধ।

আশা

নতুন সূর্য গোলাপি ভোর জীবনের মাস্তুল গতি,

সম্ভাবনার প্রতীক আশা প্রেরণার মতি।

ভালোবাসা

ভালোবাসা সোনার কাঠি ডানা মেলে ওড়া,

জয়ের মূলমন্ত্র যথার্থ মনুষ্যত্ব গোলাপের পশরা।

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যই সম্পদ শক্তিশালী মূলমন্ত্র,

সাতকাহন রচনাকারদের আজ জয় দিক দিগন্ত।

🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️

 বিষয়..মানবতা

শিরোনাম.. বিশ্ববিধাতার সৃষ্টি.

কলমে মিঠু ভট্টাচাৰ্য

বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু মানুষের পরিত্রাতা..

মানুষ কেন যে ভুলে গেলো তাঁর পবিত্র মানবতা...

দিকে দিকে আজ লেলিহান শিখা দেখি সংকীর্ণতা....

হিংসা দ্বেষ হানাহানি কোথায় সে নির্ভরতা....

মৌন আজকে ভ্রাতৃত্ব বোধ উগ্র সাম্প্রদায়িকতা...

প্রেম তিতিক্ষা তুচ্ছ আজকে কোথায় মানসিকতা...

শ্রেষ্ঠ জীব ভুলেছে আজকে একতা উদারতা...

ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে উগ্র আজ চঞ্চলতা...

মানষ তুমি শ্রেষ্ঠ প্রাণী কোরো জাগ্রত বিবেক....

দোলাচলে আজ না থেকে তোমার সংহত হোক আবেগ....

মানবতা কে শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করো দৃষ্টি..

সুকৃতি সদাচারে তুমি বিশ্ব বিধাতার সৃষ্টি..... 🙏🙏🙏🙏

🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺

 ছন্দবানী 

শিরোনাম.. বর্ষবরণ

কলমে. মিঠু ভট্টাচাৰ্য

...........................

নতুন বছর এলো আবার

নিয়ে আশা র আলো

বন্ধু আমার থেকো সুখে

কাটুক বছর ভালো..

নতুন তোমায় করতে বরণ

বসেছিলাম আসন পেতে

আপন ঘরের দুয়ার খুলে

তারায় ভরা নিশীথ রাতে...

নবীন আশায় নতুন বছর

শান্তি সুধা ঢালুক প্রাণে..

পৃথিবী আবার সেজে উঠুক

রামধনু রঙে দূর গগনে...

🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼

: স্বরচিত

সৌমিত্র বন্দনা

যদি জানতাম বেলাশুরুতে অপুর সংসারে অপরাজিত হয়ে বসন্ত বিলাপ হবে, তবে চারুলতা কে বলতাম ঝিন্দের বন্দী কে আলেয়ার আলো দেখিয়ে সংসার সীমান্তে নিয়ে আসতে, সাঁঝবাতির আলোয় গণশত্রু না হয়ে গণ দেবতা হয়ে অভিযান করতে, আকাশ কুসুম ভেবে দেখলাম স্বরলিপির শাখা প্রশাখা দেবী রুপী তিন কন্যা যে দেখেছেন তিন ভুবনের পারে, বুঝেছেন ইনি কাচ কাটা হীরা অতল জলের আহ্বান শুনেছেন,বিরাজ করেছেন সোনার কেল্লায় হীরক রাজার দেশের উদয়ন পন্ডিত হয়ে, পরিণীতার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা প্রথম কদম ফুল টি যে ফুটিয়েছিলেন বেলাশেষে তিনি মহিমায় ঘরে বাইরে জয় বাবা ফেলুনাথ রূপে। প্রণাম পুন্যতিথি তে

🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

: অনু গল্প..

শিরোনাম.. মায়ের আশীর্বাদ..

স্বরচিত...মিঠু ভট্টাচাৰ্য

তারিখ.7.11.22

শীতের সন্ধ্যা... কৈলাশে আরো তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়.. মা দূর্গা সবে আহনিক সেরে উঠেছেন.. এমন সময় সরস্বতী হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকলো. হাতে নিউসপেপার EVENING KAILASH TIMES... উত্তেজিত স্বরে বললেন.. "মা করোনার  vaccine আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে.....2020.8 ডিসেম্বর ইংল্যান্ড এর শ্রীমতি মারগারেট কিনন 90 বছর বয়স প্রথম   vaccine  নিলেন."..

মা নিশ্চিন্ত  আরাম বোধ করলেন.. করোনার অত্যাচারে মর্ত লোকের মানুষের কষ্ট মা সহ্য করতে পারছিলেন না... লক্ষ্মী  তো    একদিন বলেই ফেলেছিলো.." মা এককালে তুমি তো শুম্ভ নিশুম্ভ মহিষাসুর রক্তবিজ ধুমড়োলোচন অসুর বধ  করেছো... আজ করনাসুর কে কেন পারছোনা., "

মা বিচলিত  হয়ে উত্তর দিলেন. " ওরে  সেদিন কি আর আছে... তোর বাবা র ত্রিশূল দিয়ে এটা হবেনা.. "

ছেলেমেয়েরা তখন বাবা কে গিয়ে ধরে.. "কি গো  বাবা সমুদ্র মন্থনে বিষ পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছো.. তা মর্তের এই বিষ টা  তো  কিছু করো.."

মা তো ঝাঁপিয়ে উঠলেন.. " না না ওটাতো বাসুকি কে সৃষ্টি ধ্বংসর থেকে রক্ষা করার জন্য করেছিল... এটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর. এ আমি করতে দেবোনা.. "

এই বলে মা গনেশ আর সরস্বতী কে duty  দিলেন জানালেন যে তারা দুজন মেধা বুদ্ধি তে শ্রেষ্ঠ তো তারাই কিছু ভাবুক...

এরপর শুরু হলো অক্লান্ত পরিশ্রম.. অথর্ব বেদ  চরক সংহিতা  খুঁজে.. অশ্বিনীকুমার দের সঙ্গে ঘন ঘন মিটিং করে কৈলাস আর স্বর্গের lab  এ ছোটাছুটি করতে লাগলেন. ভাই কার্তিক এর mercedez (ময়ূর সে ডিজ ) করে... আর লক্ষ্মী ভালো ভালো খাবার বানিয়ে পাঠাতে থাকলেন..

অবশেষে vibration এর মাধ্যমে মর্তের lab এর scientist  দের.. সরস্বতী গনেশ সুক্ষ দেহে তাঁদের মধ্যে বিরাজমান থাকলেন...

মা ঘটনাগুলো ভেবে ভেবে একটা অপরাধবোধে ভুগতে থাকলেন... মনে পড়লো সেই দিনটির কথা..2019 এর শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে কিছু পশু পাখি এসেছিলো সারা পৃথিবীর প্রাণীদের প্রতিনিধিত্ব করে... জানায় তাদের দুঃখ... প্রদূষিত প্রকৃতি জল আকাশ বায়ু নদী মাঠ জঙ্গল... অধিক মোবাইলের ব্যবহার.. অত্যন্ত মানুষের দুর্ব্যবহার প্রকৃতি প্রাণীদের প্রতি... বর্ধিত জন্য বসতি... বর্জ্য পদার্থ গাছ কাটা... প্রাণীদের খাদ্য বাসষ্ঠান জলে আশ্রয় কিছু নেই... গর্ভবতী প্রাণী কে হত্যা.... মানুষের এই স্পর্ধা অধঃপতন নিষ্ঠুরতা শুনে মা হতে থাকলেন ক্রোধিত.... এ পৃথিবী সবার জন্য তিনি বানিয়েছিলেন.... একই চলছে... মা র শরীর কাঁপতে থাকে.. নিঃশ্বাসের গতি বাড়তে থাকে.... নিজেই যেন ভস্ম হয়ে যাবেন... সেই ক্রোধ থেকে গায়ে কাঁটা চ্যাপ্টা মাথা গোল মতো অনুরোধ তৈরি হয়ে মর্তের দিকে ছুটে যেতে থাকলো... মা এর control  এই থাকলোনা.... লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি... মা একটু শাস্তি দিতে চাইলেন..... জন্ম হলো করনা সুর  এর.. মা ভয় পেলেন.. একি কি হবে ভক্তদের.. প্রকৃতি তার নিয়ম অনুসারে তার প্রদূষণ  কে ঠিক করে নিলো.. আকাশ বায়ু জলে পঞ্চাভূত ধীরে ধীরে  শুদ্ধ হতে থাকলো....

কিন্তু মানুষের কি হবে... মা সায়েন্টিস্ট ডাক্তার এর মাধ্যমে কিছু rules regulations পাঠিয়ে দিলেন.... মাস্ক handwash স্যানিটাইজাশন সোশ্যাল ডিসটেন্সি কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ক  ফ্রম হোম no junk food... ঘরের খাবার... নিজের হাতে কাজ... মানুষ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে থাকলো..... প্রকৃতি পশু প্রাণী মানুষ আবার তাদের জীবন স্বাভাবিক হতে থাকলো.... মানুষের মধ্যে সুবুদ্ধি এলো.. ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা ভগবানের রূপে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলেন.... মা বলালেন.গো  করোনা.. গো...... দুগ্গা দুগ্গা বলে এলো প্রতিষেধক.... এ সব ই মায়ের আশীর্বাদ...🙏🙏🙏🙏

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

 শিরোনাম...সুন্দর ভবিষ্যৎ 

কলমে.. মিঠু ভট্টাচাৰ্য

নিপা শুভম বাস করে সুখী গৃহকোনে... শশুর শাশুড়ি বর ব্যাস এই সংসার নিপার... প্রেম করে বিয়ে.. বেশ কয়েক বছর হলো.. শুভম ভালো চাকরি করে.. নিপা স্কুলে পড়ায়... বেশিক্ষন সময় নয়.. ছোটদের স্কুল... তাই দুপুরেই চলে আসে বাড়ি... রিটায়ারড শশুর আর সিনেমা সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসা শাশুড়ির সঙ্গে খাওয়া গল্প এই করেই কাটছে... একটু করে শাশুড়ি আত্মীয় রা শোনাতে শুরু করেছে... আর কি অনেক দিন তো হলো.. এবার একটা কিছু আসুক ছানা পোনা.... নিপার অবাক লাগে মানুষ মেয়েদেরই জিজ্ঞেস করে.. সে বাপেরবাড়ি আর শশুরবাড়ি যেদিকেরই হোক না কেন... ডাক্তার বদ্দি শুরু হলো... এতেই চলে গেলো দু তিন বছর.. কোনো ফল নেই...কি হবে আমাদের ভবিষ্যৎ... এই বলে বেড়ে গেলো শাশুড়ির মুখ ঝামটা... শশুরের টিপ্পনি.. হরমোনের ইনজেকশন মন শরীর ঝাঁজরে যাচ্ছে... এমন সময় নিপা একদিন সন্ধে বেলা সবাইকে জানালো তাহলে একটা বাচ্চা দত্তক নেওয়া হোক..... লাফিয়ে উঠকেন শশুর... কোথাকার কি সে আমার ঘরের উত্তরসূরি.. শাশুড়ি গলা ছেড়ে কাঁদতে শুরু করলেন.. শুভম disgusting বলে উঠে গেলো... শুভম ট্যুর নিয়ে থাকে.. নিপার যেন এ বাড়ি থাকা দায় হয়ে গেছে... এই সময় নিপার বাবা বদলি হয়ে গেলেন কেরালা... নিপা বাঁচলো.. বাবা মা এর সঙ্গে চললো সেও.... দু তিন মাস.. কোনো খবর শশুরবাড়ি এমনকি শুভম ও নেয়না.... কানে খবর এলো ওনারা ছেলের ডিভোর্স এর বন্দোবস্ত করছেন... দাঁতে দাঁত চেপে নিপা... হটাৎ এ কি মিরাকেল... সে অনুভব করলো তার শরীরে একটি শিশুর উপস্থিতি.... আনন্দের বন্যা বয়ে গেলো... খবর গেলো কলকাতায়... শশুর শাশুড়ি মাতোয়ারা সকাল বি কাল ফোন...উপহার পাঠানো...সুন্দর ভবিষ্যৎ আসছে..বেয়ান বেয়াই কে বারবার অনুরোধ নিপা যেন শুয়ে বসে থাকে.. কলকাতা আসার চেষ্টা না করে.... শুভম কিন্তু চুপচাপ... সবাই মনে করলো যা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে লজ্জিত...সে কেরালা যেতেও চায়না... অবশেষে ফুটফুটে একটি মেয়ের জন্ম দিলো নিপা... কেরালা থেকে উড়ে এলো কিছু দিন পর.... বাড়িতে উৎসবের হাওয়া.. শাশুড়ি তো নাতনি ছাড়বেননা.. শশুর মিষ্টি বিলিয়ে যাচ্ছেন..সুন্দর ভবিষৎ এর নেশায় তাঁরা..শুভম ট্যুরে.... অফিস কে অনুরোধ করে শশুর ছেলে কে ডেকে আনলেন মুখে ভাতের জন্য... এসে রাগে ফেটে পড়লো শুভম... নির্লজ্জ.. এখানে concieve হলোনা কেরালা যেতেই????.. ছি এমন কথা বলেনা বাবু শুভমের মা তিরস্কার করলেন.. ও এখন থেকেই প্রেগনেন্ট ছিল.. আমরা কেউ বুঝিনি.... না আমি মানিনা এ বাচ্চা শুভম চিৎকার করে.. নিপা ধীর স্থির হয়ে শুভমের দিকে তাকিয়ে..... শুভমের বাবা রেগে বললেন লজ্জা করেনা এধরণের কথা বলতে... না করেনা..... করেনা.. কারণ আমি পিতা হতে অক্ষম..... ঘরে  বজ্রপাত হলো.... হ্যাঁ আমি অক্ষম.. ছুটে গিয়ে সব নিজের রিপোর্ট দেখালো তার মা বাপ কে... দেখো তোমরা.... ওনারা হতবাক হয়ে নিপার দিকে তাকালেন.. ধীরে ধীরে ঘৃণায় চোখ ভরে উঠলো.... বেড়ি ইয়ে যাও নিপা এখুনি এই পাপ নি য়ে বেড়িযে যাও...এই আমাদের ভবিষ্যৎ . মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেলো সব আদর ভালোবাসা... ব্যবহার..... হ্যাঁ এই দিন টার  জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম নিপা কঠিন ভাবে বলে উঠলো... আমি জানি শুভম অক্ষম.. সেও জানতো.. জেনেও দিনের পর দিন আমার প্রতি অবিচারে চুপ ছিল.. তাই আমি একটা game plan করেছিলাম সকলের মুখোশ খোলার জন্য... আমি প্রেগনেন্ট ছিলাম না.. এই মেয়ে আমার দত্তক নেওয়া... আমি এই মেয়ে নিয়ে এই মুহূর্তে এই নোংরা আবর্জনা থেকে চলে যেতে চাই.. দিন ছেলের হাজার টা বিয়ে....আমি চললাম আমি সক্ষম... সন্তানের জন্ম দিতে ও যে কোনো শিশুর মা হতে.. এই ব লে নিপা মেয়ে কে বুকে জড়িয়ে বেড়ি চললো এক সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে.... 🙏🙏🌹🌹