নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরআসানসোল থেকে দীঘা যাওয়ার পথে শনিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার রানীসরাই এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে স্করপিও গাড়িতে থাকা চারজনের মৃত্যু হয়েছ…
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর
আসানসোল থেকে দীঘা যাওয়ার পথে শনিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার রানীসরাই এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে স্করপিও গাড়িতে থাকা চারজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ট্রাকের চালক ও খালাসি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে খড়্গপুর থেকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে দীঘার দিকে যাওয়ার সময় স্করপিও গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেলদা থানার রানীসরাই এলাকায় রাস্তার ডিভাইডার টপকে অন্য অন্য লেনে গিয়ে পড়ে স্করপিও গাড়িটি। ওই সময় খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি টমেটো বোঝাই ট্রাক। যার ফলে ট্রাক ও স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ এর ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বেলদা থানার পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে গিয়ে ইলেকট্রিক কাটার ও ক্রেনের সাহায্যে স্করপিও গাড়িতে থাকা চারজনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে ট্রাকের চালক ও খালাসি কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্করপিও গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে দুমড়ে মুজড়ে গিয়েছে এবং ট্রাকের সামনের অংশের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।মৃত চারজনের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পৌর নিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের করুণাময়ী হাউজিং স্টেট এলাকায়। মৃত চারজনের মধ্যে অতনু গুহর বয়স ৪৫ বছর, হিমাদ্রি শেখর পালের বয়স ৪১ বছর, কার্তিক চন্দ্র লাহিড়ীর বয়স ৪৬ বছর ও বিশ্বজিৎ মন্ডলের বয়স ৪৫ বছর। মৃত চারজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল, তারা দীঘা যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্করপিও গাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল পৌর নিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনির্বাণ দাস মৃত চারজনের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ওই চারজনের মৃত্যু সংবাদ আসানসোল পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের করুণাময়ী হাউজিং টেট এলাকায় পৌঁছলে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন স্কুলশিক্ষক,একজন ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী, একজন ছিলেন আসানসোল পৌর নিগমের ঠিকাদার ও একজন ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
পুলিশ ট্রাকটি কে আটক করেছে এবং আহত অবস্থায় ট্রাকের চালক কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঠিক কি কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বেলদা থানার পুলিশ তদন্তের কাজ শুরু করেছে।যার ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলদার রাণীসরাই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বেলদা থানার পুলিশ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে । চারজনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর দেহগুলি তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে বেলদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।