Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কোলাঘাট ফুল বাজার কমিটির পক্ষ থেকে তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে স্মারকলিপি দিল বাজারের আধুনিককরণের জন্য।

বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক : রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলের বাজার হোল-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ফুলবাজার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কোলাঘাট স্টেশন ডাউন এক নম্বর প্লাটফর্মের নিচে গড়ে ওঠা এই ফুলবাজার প্রত্যহ ভোর ৩ টে থেকে সকাল …


বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক : রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলের বাজার হোল-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ফুলবাজার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কোলাঘাট স্টেশন ডাউন এক নম্বর প্লাটফর্মের নিচে গড়ে ওঠা এই ফুলবাজার প্রত্যহ ভোর ৩ টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বসে। ওই প্লাটফর্ম সংলগ্ন রেলের খাদের এক কোণে মাত্র ১৪৬৯ বর্গ মিটার জায়গার উপর বসা এই ফুলবাজারে হাওড়া,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী প্রত্যহ ফুল কেনাবেচার কারণে আসে। বাজারে নেই মাথার উপর আচ্ছাদন,নেই ফুলবিক্রির জন্য মেঝে,পানীয় জল ও পর্যাপ্ত আলো,শৌচাগার প্রভৃতির বন্দোবস্ত। ফলস্বরূপ বাজারে আগত ক্রেতা,বিক্রেতা সহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক মানুষজনদের প্রত্যহ এক পুঁতিগন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল কেনাবেচা করতে হয়। এহেন গুরুত্বপূর্ণ এই ফুলবাজারটিতে ফুল সংরক্ষণ ব্যবস্থা সহ আধুনিক ফুলবাজার হিসেবে গড়ে তোলার দাবীতে সোমবার কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে তমলুকের সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নূতন জেলা শাসককে স্মারকলিপি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রাখে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা তথা সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক,সহকারী সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ কোলে।  

 নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গত ২০০০ সালে এই বাজারের বিষয়ে রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী শৈলেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী মহোদয় ২০০১ সালের ২৯ শে জানুয়ারি ফুলবাজারটি পরিদর্শন করেন এবং ২রা এপ্রিল রাইটার্সের রোটান্ডায় রেলওয়ে দপ্তরের খড়্গপুরের উচ্চ আধিকারিকের উপস্থিতিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তমত বাজারের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে সেই সময় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আজো এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় যাহাতে উপরিউক্ত পরিষেবামূলক ব্যবস্থা সহ বাজারটিকে দ্রুত আধুনিক ফুলবাজার হিসেবে গড়ে তোলা যায়,তার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এই স্মারকলিপি প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপরোক্ত দাবীতে গত ২২ সেপ্টেম্বর সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় ও সচিব স্মারকি মহাপাত্রকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারক লিপি দেওয়ার পরেও বর্তমান তৃণমূল চালিত সরকার এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলেও দাবি কোলাঘাট ফুল ব্যবসায়ী সমিতি। সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে স্মারকলিপি দেওয়ার পর ব্যবসায়ী সমিতির আশা আগামী দিনে যথোপযুক্ত সুরাহা পাবে কোলাঘাট ফুল বাজারের।