Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মা-মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু,খুনের অভিযোগ চন্ডিপুর থানায়

মৃত মিনতি সাহু এবং মেয়ে  মমতা সাহু চন্ডিপুর থানার নয়া গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রবিবার সকালে জেলা হাসপাতাল এবং মেয়ের মৃত্যু হয়। নয়া গ্রামের বাসিন্দা গরুর সঙ্গে চ…



মৃত মিনতি সাহু এবং মেয়ে  মমতা সাহু চন্ডিপুর থানার নয়া গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রবিবার সকালে জেলা হাসপাতাল এবং মেয়ের মৃত্যু হয়। নয়া গ্রামের বাসিন্দা গরুর সঙ্গে চন্ডিপুরের গোপালপুর গ্রামের মিনতির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে মেয়ে মমতা খাগদা কল্যান চক বিপ্র প্রসাদ বালিকা বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণীতে ছাত্রী। গৌতম সাহু পেশায় শ্রমিকের কাজ করতো। প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি প্রায় দিন লেগেই থাকত। মিনতির বাপের বাড়ির অভিযোগ জামাই গৌতম সাহুর সঙ্গে এক মহিলার অবৈধ সম্পর্কের জেরে পরিবারে অশান্তি বেধেছিল। দুই পরিবারের মধ্যে অনেকবার সালিসি সভা ও বসেছিল। গত শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় গৌতম সাহু বেধড়ক মারধর করে স্ত্রী মিনতি এবং মেয়ে মমতার উপর। এরপর গৌতম সাহু স্ত্রী এবং মেয়েকে বিষ খাইয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় মা এবং মেয়েকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মিনতির বাপের বাড়ির কাউকে জানানো হয়নি। পরে খবর পেয়ে মিনতির বাপের বাড়ির আত্মীয়-পরিজন তমলুক জেলা হাসপাতালে যায়। তমলুক জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে চন্ডিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মিনতির বাপের বাড়ির লোকেরা। গৌতম সাহুর বাড়িতে চন্ডিপুর থানার পুলিশ যায়। পুলিশ যাওয়ার আগেই পরিবারের লোকেরা পালিয়ে যায়।সোমবার বিকেলে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে মৃতদেহ দুটি সৎকারের জন্য চন্ডিপুরের বাপের বাড়িতে নিয়ে যায় সৎকারের জন্য। চন্ডিপুর থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।