বাসবদত্তা দে- গুচ্ছ কবিতা
************************
(1) নদী থাকলেও যেও না
নদী থাকলেও যেও না
যেও না যার সীমরেখা নেই তার কাছে
নদী বড়োজোর দুটো গল্প শোনায় রোজ
তারপর ফিরে এসে
তুমি হয়ে ওঠো উত্তাল
ছায়ায় নীচে বসে অঙ্ক কষো
মাটি খুঁড়ে কী…
বাসবদত্তা দে- গুচ্ছ কবিতা
************************
(1) নদী থাকলেও যেও না
নদী থাকলেও যেও না
যেও না যার সীমরেখা নেই তার কাছে
নদী বড়োজোর দুটো গল্প শোনায় রোজ
তারপর ফিরে এসে
তুমি হয়ে ওঠো উত্তাল
ছায়ায় নীচে বসে অঙ্ক কষো
মাটি খুঁড়ে কী যেন খোঁজো আর পাশে লিখে রাখো
তা এমনই যেন খোদাই করছো
অথচ তা কী বুঝতে যেই ঝুঁকি
লেখাদের ফু দিয়ে উড়িয়ে দাও তুমি
রোজ এই খেলা চলে দুপুরে ও সাঁঝে
আমি চালাক হয়ে উঠি
সকাল ও রাতে ঐ মাটিগুলো খুঁড়ি, বিয়োগ কষি , পাশে লিখে রাখি
শব্দ পাই তুমি আসছো, জল দিয়ে সে সব মুছে শুকিয়ে দিই মাটিতেই
সেই মাটি নদীতে যায়, নদী নিয়ে চলে যায় রোজ
তারপর তুমি আসো
আমি উনুনে গিয়ে জ্বাল দিই মাঝআকাশে ভুরুতুলে---
(2)
"যে আশ্রয়ে"
যে আশ্রয়ে বুক জুড়ায়
তা স্নেহ
তার আধিক্য তাকে দরদী করে তোলে
গাছের স্নেহ ছায়া বিলিয়ে দেয়ার পর
চারাগাছ শান্তিতে বেড়ে ওঠে।
মাটিও শেকড়ে তার আশ্রয়
বাস্তবে মানুষের আশ্রয়ে মানুষই আশ্রয়হীন হয় দেখি।
(3) 'যোগ'
প্রতিটি দেশে বিশেষ নদী থাকে
প্রতিটি নদীর একটি দেশ থাকে
দেশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে নদী অনন্তের পথে চলে যায়
নদীর রেখায় দেশ
গড়ে দেয় সাম্রাজ্য
প্রতিটি নদীই তার দেশের সম্পদ
প্রতিটি দেশ তার নদীর সম্বল
(4) "মাঝেমাঝে"
মাঝেমাঝে আমরা এসে পড়ি
একই বৃত্তে
মাঝেমাঝে আমরা দূরে যাই
সমকোনে
কেন যে আসি _ কেনই বা দূরে যাই
কখনও মনে হয় আমরাই হয়তো বহন করে চলি
সান্নিধ্য ও আলাদা হওয়ার প্রকৃত সূত্র
এতকিছু জানি, এতসব করি
তবুও গোপনে গোপনে অশান্তির ঠেলাঠেলি
এমনই সেই ভাব যেনো সুখ আমাদের পাওনা তবু কোনোকালেও তাকে বাঁধা যাচ্ছে না
এভাবেই বৃত্ত থেকে সমকোনে-
আর
সমকোন থেকে বৃত্তে আমারা খেলতে খেলতে ঘুরে বেড়াই।