Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, পোস্টার টাঙিয়ে লাঠি হাতে গ্রাম পাহারায় যুবকরা

তমলুকঃ রাজ্যে তথা গোটা দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছে। যার ফলে এখন ভিন রাজ্যে কর্তব্যরত শ্রমিকরা যে যার নিজের বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবা…





তমলুকঃ রাজ্যে তথা গোটা দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছে। যার ফলে এখন ভিন রাজ্যে কর্তব্যরত শ্রমিকরা যে যার নিজের বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার যান চলাচল না হওয়ার কারণে ভিন রাজ্যেই আটকে পড়েছেন। তবে যারা যারা এ রাজ্যে ফিরে আসছেন তারা যাতে চিকিৎসা না করিয়ে  নিজেদের গ্রামের মধ্যে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক হয়েছে গ্রামবাসীরাও। এবং আশেপাশের কোনো বহিরাগত যুবক রা গ্রামে আড্ডা দিতে বাইরে থেকে  গ্রামের মধ্যে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য দিনভর  পালি করে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের যুবকরাই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার জানুবসান ও পাঁচবেড়িয়া গ্রামের যুবকদের করোনা রোধে এইরূপ উদ্যোগে এখন সুরক্ষায় দুই গ্রামের মানুষ।
বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায়  যে যার নিজের বাড়ি ফিরে আসছেন ভিন রাজ্যে কর্তব্যরত শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে যাতে ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়েছে তমলুকের জানুবসান ও পাঁচবেড়িয়া গ্রামের যুবকরা। সারাদিন ধরে লাঠি হাতে গ্রামের প্রবেশপথে পাহারা দিচ্ছে তারা। কোনরকম বহিরাগত কাউকে দেখলেই তেড়ে যাচ্ছেন তারা। গ্রামের মানুষের সুরক্ষার জন্য এই  যুবকদের ধরনের উদ্যোগে খুশি এখন গ্রামবাসীরা। এমনকি ওই যুবকদের উদ্যোগে বিশেষ সতর্কতা পন্থাও অবলম্বন করা হয়েছে। গ্রামের মানুষজন হাটে বাজারে বের হলে তাদেরকে পরানো হচ্ছে মাস্ক এবং বাজার থেকে ফিরে আসার সময় যখন তারা গ্রামে প্রবেশ করছেন তখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পা হাত জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করছেন তারা। মূলত ভিন রাজ্য থেকে বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা ফলে এরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই গ্রামের মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি বহিরাগত আগমন ঠেকাতে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামের তরুণ-যুবকরা। গ্রামের যুবক সন্টু মাইতি বলেন, "গ্রামের সকল মানুষদের সুরক্ষার জন্য আমরা এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করছি। করোনা রোধ করতে এখন কয়েক মাস আমাদের গ্রামে বহিরাগত কোন আগমন চলবে না।" সুমিত সামন্ত বলেন, "গ্রামের মানুষজন হাটে বাজারে যাওয়ার সময় আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে তাদের হাত পরিষ্কার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এতে কিছুটা হলেও বাইরের রোগজীবাণু আমাদের গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না।"

সবমিলিয়ে গ্রামের যুবকদের এই ধরনের সচেতনতা এখন খুশি গ্রামের সকলে। আবার গ্রামের মধ্যে কোথাও অবাঞ্ছিত জটলা দেখলে সরকারি নিয়ম মেনে সম দূরত্বে সরিয়ে দিচ্ছেন আর বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ।