Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাসিওপিয়া সাহিত্য পত্রিকা দৈনিক সেরা সম্মাননা

#আমি_ডাক্তার
#সোমা_ত্রিবেদী

আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা.বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন। আজ দিনটিকে Doctor's day হিসেবেও পালিত হয়। আজকের দিন ডাক্তারদের  উদ্দেশ্যে আমার ক্ষুদ্র নিবেদন।

ঘরের ভেতরটা বড্ড গুমোট লাগছে। সামনে…

#আমি_ডাক্তার
#সোমা_ত্রিবেদী

আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা.বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন। আজ দিনটিকে Doctor's day হিসেবেও পালিত হয়। আজকের দিন ডাক্তারদের  উদ্দেশ্যে আমার ক্ষুদ্র নিবেদন।

ঘরের ভেতরটা বড্ড গুমোট লাগছে। সামনের খোলা জানালা দিয়েও একদম হাওয়া আসছে না। গাছের পাতা গুলো নড়তেই ভুলে গেছে যেন। সামনের ছোট মাঠটায় আট দশটা কচি ছেলে এই গরমেও দৌড়াদৌড়ি করে খেলছে। কি খেলছে কে জানে। এই মাঠটায় চিরকালই বাচ্চারা হৈহৈ করে খেলে। আমি একদিন মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মা, আমি কখনও এই ভাবে খেলেছি? মা নিরুত্তর ছিল। কি জানি আমার তো মনে পড়ে না।

ছোটবেলার দিনগুলো মনে পড়লে রাশিকৃত বিষন্নতা, অক্লান্ত পরিশ্রম, মায়ের হার না মানা জেদ আর কিছু পুরস্কার প্রাপ্তি মনে পড়ে। আর বাবা মানে শুধুই ঘুরতে যাওয়া মনে পড়ে। আরও একটা জিনিষও মনে আসে একটা সাদা এপ্রোণ, আর ওই এপ্রোণটার প্রতি বাবার ডেডিকেশান। বাবার সঙ্গে আমার শৈশবের বিশেষ স্মৃতি নেই দুই একটা এলবামের ঘুরতে যাওয়ার ছবি ছাড়া। বড়ো হয়ে হ্যাঙারে সব সময় ঝুলতে থাকা সাদা এপ্রোণটা সদা ব্যস্ত থাকা বাবার প্রতি সমীহ এনেছিল আমার অন্তরে। এই সমীহ কতোটা বাবার জন্য আর কতোটা ওই এপ্রোণটার জন্য এই তফাতটা আমি কোনদিনই করতে পারিনি।

চিরকাল বাবার লেগাসি বহন করার অদৃশ্য চাপ আমার ছিলই। বাবা ভীষণ ভাল ছিল লেখাপড়ায়। জীবনে কখনও প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি।

মাধ্যমিকে বোর্ডে র‍্যাঙ্ক করে তবে পঞ্চম স্থান ছিল বলে দাদুর খুব আফসোস ছিল। বাবা সেই আফসোস নিজের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে এসে মিটিয়ে দেয়। তারপর সরকারি মেডিকাল কলেজে পড়াশোনা। বিদেশ থেকে সার্জেন হয়ে আসা। বাবার সামনে মায়ের রেজাল্ট পত্র নিস্প্রভ লাগলেও মা বরাবরের ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়া মেয়ে। তারপর সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট হয়ে বাবার যোগ্য সহধর্মিনী। মা কখনও নিজের কথা বলতো না। সব সময় বলতো বাবার মতন হও। মা কখনই বাবার সময় দিতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ তো করেনইনি উপরন্তু আমায় বোঝাতেন তোমার বাবা কতো বড়ো সার্জেন জানো। তোমার বাবা কতো মানুষকে যমের নিশ্চিত থাবা থেকে জীবনের পথে ফেরত নিয়ে আসে জানো। তখন বাবা আমার চোখে ঠাকুমার গল্পের সুপার হিরোর মতন লাগতো, যে সাধারণ মানুষকে দুষ্টু রাক্ষসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। যে কোনো পারিবারিক নিমন্ত্রণে যেতাম আমি মা ঠাকুমা আর দাদু। সব সময় বাবা বাদ। সবাই প্রশ্ন করলে মা কি সুন্দর করে সামাল দিতো। এমনকি আমার জন্মদিনে পাড়ার লোক, আমার বন্ধুরা আমাদের আত্মীয়রা সবাই আছে, শুধু আমার বাবা নেই। হয়তো সেই রাতে বাড়িই ফিরতে পারবে না বাবা। একটু বড়ো হয়ে এই বাবা ছাড়াই দুর্গা পুজো, বাবা ছাড়াই জন্মদিন, বাবা বাদেই নিমন্ত্রণ যাওয়া বেশ অভ্যেস হয়ে গেলো। এমনকি দাদু ঠাকুমার মৃত্যুর পর ওই তেরো দিনও বাবা বাড়ি থাকেনি। আত্মীয়দের গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর মা পাত্তাই দেয়নি। মায়ের কাছে কিছু মেকি নিয়মের থেকে জীবন অনেক বড়ো ছিল আর বাবা ছিল সেই জীবন গুলোর রক্ষক।

আমি বড়ো হতে লাগলাম। আমাকে কেউ বলেনি ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও কিন্তু আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা আমার বাবাটা বলতো ডাক্তার হও। বিকেল হলে স্কুল থেকে ফিরে যখন পাড়ার বন্ধুরা খেলতো, আমি তখন এক বা দুই ক্লাস উঁচুর বই নিয়ে বসতাম-নিজেই। কখনো মাও সাহায্য করতো।বন্ধুরা জানালার সামনে আসতো ডাকতে, এই অভি আয়না খেলতে। আমি দুদিকে ঘাড়টা নাড়তাম। সব পেরেন্ট টিচার মিটিংয়ে ছিল আমার গর্বিত মায়ের একক উপস্থিতি। কখনই মা কে আমার বিরুদ্ধে কিচ্ছু শুনতে হয়নি। রেজাল্ট বেরোলেই দাদু বড়ো বড়ো মনীষীদের জীবনী কিনে উপহার দিতো। বাবা সেদিনগুলো রাতে ফিরে ঘুমন্ত আমার মাথায় স্নেহচুম্বন দিয়ে যেতো। বাবা হয়তো যানে না ওই দিনগুলো আমি ঘাপটি মেরে জেগে থাকতাম শহরের একজন নাম করা সার্জেনের বাবা হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। মা আমার ঘুম থেকে ওঠার আগে লুকিয়ে বড়ো চকলেটের প্যাকেট কিনে ফ্রিজে রেখে দিত। আমি উঠলে মা বলতো, এটা তোর বাবা এনেছে। আমি জানি মা মিথ্যে বলতো তাও খুব ভালো লাগতো।মা আরো অনেক সময় মিথ্যে বলতো-আমি দেখেছি। নিজের বিবাহ বার্ষীকির আগে নিজের জন্য শাড়ি গয়না কিনে রাখতো। ওই দিন ঠিক মাসি আসতই মা বাবার জন্য উপহার নিয়ে। তখন মা ওই শাড়ি গয়না বাবা কিনে দিয়েছে বলে মাসিকে দেখাতো যাতে বাবাকে খারাপ না ভাবে। এতো সব কি করে পারতো কে জানে। ভালোবেসে নাকি শ্রদ্ধা করে জানি না। মায়ের এইভাবে মিথ্যে বলা গুলোও আমাকে ডাক্তার হওয়ার প্রস্তুতি দিতে থাকে।

এভাবেই এসেছিল আমার জীবনে প্রথম বড়ো পরীক্ষার রেজাল্টের দিন। রেজাল্ট ভালোই হয়েছিল তবে বাবার রেজাল্টের ধারে কাছেও নয়। বাবা সেদিন সন্ধ্যায় চেম্বারে না গিয়ে ছুটে এসেছিল, জড়িয়ে ধরেছিল। চুমু খেয়েছিল কচি কচি দাড়ি ওঠা গালে। মা সেদিনও ফ্রিজ থেকে চকলেট বের করে বাবার হাতে লুকিয়ে দিয়েছিল আমাকে দেওয়ার জন্যে। না, আমার বাবা মিথ্যে বলতে পারে না। বাবা বলেছিল, নে এটা তোর মা কিনে রেখেছে আমি দেবো বলে। আমি তো জানিই না তুই কি খেতে ভালোবাসিস, কি পরতে ভালোবাসিস, কবে বড়ো হলি, কিভাবে বড়ো হলি কিচ্ছু জানি না রে। পারলে তুই তোর মায়ের মতন হোস। আমি জীবনে প্রথম বার শুনলাম কেউ আমাকে মায়ের মতন হতে বলছে তাও কে- যে আমার সুপারহিরো। সেদিন মায়ের চোখে জল দেখেছিলাম।

না, আমার মায়ের মতন হয়ে ওঠা হয়নি। সেদিনের পর থেকে আমার সুপার হিরোর মতো হয়ে উঠতে লাগলাম আরো আরো বেশি করে। আসতে লাগলো উচ্চ মাধ্যমিকের দিন কাছাকাছি। বহুদুরে থাকা মাইলস্টোনটার কাছে এসে পড়ছি রোজ একটু একটু করে। আমার স্বপ্নটা আমাকে ঘুমোতে দেয় না কিছুতেই। উচ্চ মাধ্যমিক আর জয়েন্টের রেজাল্ট বেরলো পরপর। উচ্চ মাধ্যমিকে বোর্ডে দশম আর জয়েন্টে তৃতীয়। সেই সরকারি কলেজে পড়বো যেখানে বাবা পড়তো। এবারও বাবার হাতে মা চকলেটের প্যাকেটটা এগিয়ে দিল তবে এবার আর লুকিয়ে নয়। মায়ের চোখে আজও জল দেখলাম।

বাবার যেন হঠাত করেই বার্ধক্য চেপে ধরছে। অপরিমিত ঘুম, অনিয়মিত খাওয়া আর মদ্যপান বাবা বার্ধক্য এগিয়ে আনছিল। আমার MBBS শেষ করে এখন আমি হাউস স্টাফ। ওই সাদা এপ্রোনটায় এখন আমার অধিকার তবে আমি বাবার মতন সার্জেন হতে চাই। সার্জারির নাইফ, সার্জারির নিডল আমাকে টানে। এমন সময় হঠাৎই এলো সেই দিন বাবা ঘুমের মধ্যেই চলে গেলো। মা এবারও কাঁদলো তবে সব কিছু নিজের দক্ষতায় সামলে নিল। আমাকে পড়তে বিদেশ পাঠালো, আমার সুপারহিরোর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে। আমি তারপর সরকারি হাসপাতাল জয়েন করি, ইচ্ছে করেই করি। ডাক্তারিটা আমার জন্য শুধুমাত্র পেশা নয়, ডাক্তারিটা এমন একটা স্থান যেখানে আমি আমার সুপারহিরোকে ছুঁয়ে থাকতে পারতাম। এটা আমার কাছে একটা আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সেই তবেকার যখন বাবার এপ্রোনটা আমার পায়ের প্রায় গোড়ালি পযর্ন্ত হতো। পোরলেই বাড়িতে সবাই হাসতো।

মনের অন্দরে কোথাও হয়তো মায়ের মতনও ছিলাম। জীবনে নেহা এলো, নেহা কক্কর। ও প্রফেসর। মা আপত্তি করেনি। অল্পদিনের মধ্যেই আমরা বিয়ে করি। কিছু মাসের মধ্যেই ওর আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করতাম। ওকে বোঝাতাম। মা সব বুঝতে পারতো। নেহার ধারণা হয়েছিল আমি ওকে সময় দিই না। কি করে বোঝাই ডাক্তারিটা কোনো পেশা নয়, ডাক্তারিটা সেবা। আমার বাবা বছর দু বছরে দিন সাতেকের জন্য ঘুরতে নিয়ে যেতো, স্বদেশে কখনও বিদেশে। সেটুকু সময়ই আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিল। তাই বাবা এতো ভালো ডাক্তার ছিলেন। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম ঠিকই তবে পেশার সঙ্গে আপোষ করে নয়। সম্পর্কটা টেঁকাতে পারিনি। উকিল আমার সপক্ষে অনেক যুক্তি খাড়া করেছিলেন। আমি স্পষ্ট বলি, ও যখন চাইছে না তবে থাক। মা সেদিনও বড্ড কেঁদেছিল। আমি মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। আমার জন্য মা প্রথম বার আহত হলো।

আমি নিজের কাজে আরো আরো বেশি করে ডুবে গেছিলাম। দিন আর রাতের ফারাক নিয়ন জ্বলা এসি ঘরে বিশেষ পাওয়া যায় না।

আজ ঘন্টা পাঁচেক অপারেশনের ধকলটা পেশেন্ট নিতে পারলো না। টেবিলেই মারা গেলো। আমার জুনিয়র, পেশেন্ট পার্টিকে খবর দিতে OT থেকে বেরলো। ওকে পেশেন্ট পার্টির দুর্ব্যাবহার, অকথ্য গালিগালাজের মুখে পড়তে হলো। সেই সময় আমি OT থেকে বেরিয়ে ক্যান্টিনের দিকে যাবো বলে এপ্রোনটা হাতে নিয়ে করিডোরের দিকে সবেই এগিয়েছি, হঠাৎ রে রে করে এগিয়ে এলো জনা পাঁচেক লোক। এসেই আমার গালে এক চড়। আমি হতভম্ব। গেটকিপার ছুটে এলো। পার্টির বক্তব্য আমি ইচ্ছে করেই পেশেন্টকে মেরেছি। কে বোঝাবে এদের।  পেশেন্ট আর যমের মাঝে আমরাই ঢাল হয়ে দাঁড়াই। ব্লাড লাগবে বললে এই পেশেন্ট পার্টিই জোগাড়ের চিন্তা করে। কেউ নিজে দেওয়ার কথা ভাবেও না।  আর আমরা কতবার হয় এক বোতল ব্লাড দিয়েই থাকি। যাকে দিলাম তাকে দু মাস পরে হয়তো চিনতেও পারবোও না আর আমরা নাকি ইচ্ছাকৃত অবহেলা করে রুগি মেরেছি। আমাদের কাছে জন্ম মৃত্যু দুইই অতি সাধারণ প্রাকৃতিক ঘটনা। জন্মে যেমন উচ্ছাস আসে না, তেমনই মৃত্যুও ব্যাথা দেয় না। পেশেন্ট যখন রোগে কষ্ট পায়, ওষুধে সাড়া না দেয়, তখন আমরা কষ্ট পাই। আমার সংসারটাও রক্ষা করতে পারলাম না শুধু এই পেশাটার জন্য।

আমাকে সরিয়ে ফেলল হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পিছনের গেট দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেলো। আমার শুধু মায়ের মুখটা মনে পড়ছে। মা কিভাবে সহ্য করবে আমার এই ব্যার্থতা। বাড়ি ফিরলাম। জুনিয়রের ফোনে জানলাম হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে। যারা ভাঙচুর করলো তারা হয়তো ছোটোবেলায় খেলাধুলো করেই বড়ো হয়েছে আর আমি তখন বইয়ে মুখ গুঁজে পড়েছি। এরা যখন দুর্গা পুজোয় ঠাকুর দেখে বেড়িয়েছে তখন আমি উঁচু ক্লাসের বইয়ে বুঁদ হয়ে থেকেছি। এরা আড্ডা দিয়েছে প্রেম করেছে আর আমি সংসারটাও রক্ষা করতে পারিনি। আর আজ এরা আমার ভুল বিচার করছে, চড় মারছে, ভাঙচুর করছে। একজন ডাক্তার কতো শত ভালো লাগা জলাঞ্জলি দেয় সেটা সমাজ বুঝতেও পারে না। বড্ড গুমোট লাগছে আজ। আমি আর বাঁচতে চাই না। মা কোথাও গেছে। মা আসার আগেই....

"অভি" বলে মা ডেকে উঠলো। একি! মা এতো তাড়াতাড়ি ফিরে এলো! পাশের বস্তির খান তিনেক বাচ্চাকে মা পড়ায়। মা অনেক দিন পর আমার ঘরে এলো। আলো জ্বেলে দিলো ঘরে।মায়ের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। মা হয়তো এতক্ষণে সব জেনে গেছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল, সেই ছোটোবেলার মতন। কাঁধের ব্যাগ থেকে একটা চকলেট বের করে হাত দিল। কপালে চুমু খেয়ে বললো, "নে, এটা তোর বাবা দিলো"। আমি চমকে গেলাম। মা বললো, "সাফল্যে উপহার তো সবাই দেয়। ব্যার্থতার দিনে পাশে কেউ থাকে না। মনে কর তোর বাবা আছেন আমাদের মাঝে আর এটা ওই দিলো। ব্যার্থতা আসবেই কিন্তু তা বলে..." মায়ের গলাটা বুজে এলো। আমি ভাবলাম মা কিভাবে জানলো। মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো "মায়েরা সব বোঝে। নে, এবার তৈরী হয়ে নে। আমরা বেরোবো।"

আমরা দুজনে গিয়ে সেই পার্কে গিয়ে অনেকক্ষণ বসলাম যেখানে ছোটোবেলায় খুব খেলতে যেতে ইচ্ছে করতো। মায়ের সঙ্গে অনেক কথা হলো যা জমে গেছিল। সময়ের অভাবে বলে ওঠা হচ্ছিল না। দুরে কোনো এক পাড়ার ফাংশানে নকল নচিকেতা গান গাইছে "ও ডাক্তার...মানে সে তো মানুষ নয়, আমাদের চোখে সে তো ভগবান"
            __________________