তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । বিহার বিধানসভা ভোট তো গতকাল শুরু হয়ে গেছে।আর নভেম্বর 10 তারিখেই পরিস্কার হয়ে যাবে আগামী পাঁচ বছর বিহার রাজ্যের স্টিরায়িং বসতে চলেছে কোন দল।কাদের হাতে উঠে আসবে বিহার মসনদের চাবিকাঠি ।আর বিহার ভোটের পরেই …
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।বিহার বিধানসভা ভোট তো গতকাল শুরু হয়ে গেছে।আর নভেম্বর 10 তারিখেই পরিস্কার হয়ে যাবে আগামী পাঁচ বছর বিহার রাজ্যের স্টিরায়িং বসতে চলেছে কোন দল।কাদের হাতে উঠে আসবে বিহার মসনদের চাবিকাঠি ।
আর বিহার ভোটের পরেই লাইনে বাংলা।সেই একই কথা।তৃনমূল আবার মসনদে নাকি পরিবর্তনের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজেপির হাতে উঠবে বাংলার চালনা শক্তি ।
নির্বাচন ছাড়া তো আর ক্ষমতায় আসা যায় না।তাই দু দলেই এখন চরম ব্যস্ততা।মসনদের দখলে আদা জল খেয়ে মাঠে নামা।আর এই করোনা আবহেই বাংলা দেখতে চলেছে মিছিল মিটিং এর ছবি।
কিন্তু তার আগে হোম ওয়ার্ক ।গা ঘামিয়ে নেওয়া ।
2019 এর আগেই তৃনমূল ভেঙে বিজেপি দলে যোগদানের একটা হিড়িক পড়েছিল।ফলশ্রুতি বাংলা থেকে আঠারোটি আসন গেল বিজেপির দখলে।তার পরেও দলত্যাগ থামেনি।
কিন্তু এই মুহূর্তে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে ফেরার একটা হাওয়া বইতে শুরু করেছে।জোয়ার ভাঁটার মতোই।
বিজেপির পালে হাওয়া টেনেছিলেন মুকুল রায় ।আর এখন তৃনমূলের সেই ঘরে জোয়ার টানতে ভোট কুশলী পি কে মাঠে।সঙ্গে কুনাল ঘোষ।
প্রথমেই যাদের নিয়ে দড়ি টানাটানি তাঁরা হলেন শোভন ও বৈশাখী।এক সময় কলকাতার মেয়র শোভন ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাধের কানন।ভাল নেই তিনি এখন বিজেপি দলে।তাই তাঁর দলত্যাগ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ।
রাহূল সিনহা।বিজেপি দলে ঘাম ঝরালেও তিনি এখন পদহীন ।ইতিমধ্যেই রাহূল সিনহার কাছে হেভিওয়েট তৃনমূল দের থেকে ফোন গেছে।একথা নিজেই তিনি জানিয়েছেন ।যদিও বিজেপি হাই কমান্ড তাঁকে বলেছেন মুখে কুলুপ আঁটতে।ভাবনা চিন্তা চলছে বিজেপি দলে।
সৌমিত্র খাঁ কে নিয়ে ও চলছে জল্পনা।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কলমের আঁচড়ে তাঁর তৈরি কমিটি একদিন ও কাজ করতে পারেনি।যদিও সব ঠিক হ্যায় বলে দিলীপ ঘোষ কে বিজয়ার প্রনাম সারলেন।তবুও জিজ্ঞাসা চিহ্ন থেকেই গেছে।
চন্দ্র বসু।পরিবারের প্রথা ভেঙে তিনি বিজেপি তে।কিন্তু সুবিধা করতে পারছেন না।
ফলে সকলের ওপর নজর রয়েছে তৃনমূল দলের ভোট মাস্টার পি কের গোড়া থেকেই।
এতো গেল তৃনমূলের ঘর গোছানোর রোড ম্যাপ ।
কিন্তু বিজেপি দল ও বসে নেই।তাঁদের পাখির চোখ তৃনমূলের এক হেভিওয়েটের দিকেই।আর সে চেষ্টা শুরু হয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই।সেই হেভিওয়েট এর তৃনমূল দলে যতই ডানা ছাটা হবে লাভ হবে বিজেপির ।
এ কথা পিকে নিজেও জানেন।এখন জল মাপছেন সকলেই।কে কার ঘর থেকে কতজন কে ভাঙিয়ে আনতে পারেন।
এক সময় ফুটবলের দল বদল এখন ছায়া ফেলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় ।
কে যে কবে কোন দলে সে কথা জানেন দু দলের মাত্র কয়েকজন হেভিওয়েট ।
মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করছেন মেঘনাদেরা।ভোটের আগেই শুরু হয়েছে দল বদলের তরজা।রিং মাস্টারদের নোট বুকে সব নাম লেখা আছে।