Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লক্ষী প্রতিমা কিনতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনা, শোকের ছায়া শালবনী জুড়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শালবনী : লক্ষী প্রতিমা কিনতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় সাতসকালেই প্রাণ গেল প্রাণকৃষ্ণের, শোকের ছায়া শালবনী জুড়ে। আবারও বাসের বেপরোয়া গতির শিকার হলেন পথচারী। লক্ষ্মীপূজার দিন সাতসকালেই দুর্ঘটনা ঘটলো শালবনীতে।বাড়ি থেকে …

 





নিজস্ব সংবাদদাতা, শালবনী : লক্ষী প্রতিমা কিনতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় সাতসকালেই প্রাণ গেল প্রাণকৃষ্ণের, শোকের ছায়া শালবনী জুড়ে। আবারও বাসের বেপরোয়া গতির শিকার হলেন পথচারী। লক্ষ্মীপূজার দিন সাতসকালেই দুর্ঘটনা ঘটলো শালবনীতে।বাড়ি থেকে সাইকেলে করেই বেরিয়েছিলেন প্রাণকৃষ্ণ মাহাতো।লক্ষ‍্য ছিল একেবারে প্রতিমা কিনে বাজার করে বাড়ি ফিরবেন। সেই মতো সকাল সকাল শালবনীর উদ্যেশ্যে রওনা হন। কিন্তু তার লক্ষী পুজোর সখ যে অপূর্ণই থেকে যাবে না তিনি বা তার পরিবারের কেউ ভাবতে পেরেছিলেন। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন শালবনীর আসনাশুলি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর প্রাণকৃষ্ণ মাহাত (৪৫)। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শালবনীতে। ঘটনায় জেরে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় তেমনই শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে। 

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত প্রাণকৃষ্ণ মাহাত প্রতিবছর বাড়িতে লক্ষী পুজা ঘটেই করেন। কিন্তু ছেলে বৌমার আবদার এবার ঘটে নয় পুজো হবে প্রতিমাতে। সেই মতো বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়৷ এদিন সকালে প্রাণকৃষ্ণ বাবু প্রতিমা এবং পুজোর উপকরণ কেনার জন্য সাইকেলে করে শালবনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শালবনী বাজার ঢোকার কিছুটা আগেই বড়ো পোলের কাছে তিনি যখন আসছিলেন সেই সময় মহেশপুর মেদিনীপুর রুটের আলিফ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস দুরন্ত গতিতে শালবনীর দিকে যাচ্ছিল। বড়ো পোলের সামনে বাসের চালক গতির উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে গিয়ে সাইকেল আরোহী প্রাণকৃষ্ণ মাহাতর পিছনে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় প্রাণকৃষ্ণ ছিটকে গিয়ে পড়ে কিছুটা দুরে পিচের উপর৷ মাথায় ধাক্কা লাগে সজোরে। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি৷ ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারাই শালবনী থানায় খবর দেন৷ এদিকে দুর্ঘটনার পরই বাসকর্মীরা পালিয়ে যায় বাস ফেলে রেখে৷ দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শালবনী থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 


এদিকে আকস্মিক এই ঘটনায় আসনাশুলি গ্রামে মৃতের পরিবারে নেমে এসেছে শ্মশানের নীরবতা । ছেলে বিপ্লব মাহাত বলেন এবার ঠিক করেছিলাম প্রতিমা নিয়ে এসে বাড়িতে লক্ষী পুজো করবো৷ সেই উদ্দেশ্যেই বাবা শালবনী যাচ্ছিল প্রতিমা কিনতে৷ কিন্তু এই রকম বিপদ হবে জানলে বাবাকে কখনোই পাঠাতাম না।