Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অন্য পুজো ।ভাঁটা পড়ুক সংক্রমণে, উৎসব থাক না বন্ধ কটা দিন

তরুন চট্টোপাধ্যায় চলে গেল শারদ উৎসবের কাশফুল আর ঢাকের বাদ্দি।করোনা আবহ কে সঙ্গী করে জনশূন্য মন্ডপের ছায়া দেখতে দেখতে এবারের পুজো শেষ হলো।হাই কোর্টের রায় দানে মন্ডপে ঢোকার মুখে দর্শনার্থী দেখলেন নো এন্ট্রি বোর্ড ।আর মন্ডপের ভিতর কন…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায়

চলে গেল শারদ উৎসবের কাশফুল আর ঢাকের বাদ্দি।করোনা আবহ কে সঙ্গী করে জনশূন্য মন্ডপের ছায়া দেখতে দেখতে এবারের পুজো শেষ হলো।হাই কোর্টের রায় দানে মন্ডপে ঢোকার মুখে দর্শনার্থী দেখলেন নো এন্ট্রি বোর্ড ।আর মন্ডপের ভিতর কনটেন্ট মেন্ট জোন।

তবুও জয় মহামান্য আদালতের ।জয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকা পুলিশের ।সবার আশঙ্কা কে মিথ্যা প্রমাণিত করে কারাগারে ভরে দিল করনাসুর কে।অবশ্যই পুজোর কটা দিন।সংক্রমণ হতে দেওয়া হলো না।সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আছড়ে পরতে পারলো না সংক্রমণের রাশ।লক ডাউনের দিনগুলি তে যা করা যায় নি সেই কাজ করে পুলিশ দেখিয়ে দিলেন ক্ষমতা হাতে থাকলে তাঁরা অসাধ্য সাধন ও করতে পারেন।একদিনের প্রচেষ্টায় বদলে দিতে পারেন মানচিত্রের রঙ।

ঘরের দুয়ারে লক্ষী পুজা আসছে।ধনসম্পত্তির দেবতা লক্ষী পুজা সে ভাবে সার্বজনীন আকার যে নেয় না তা তো আমরা জানি।তাই এই পুজোর জন্য সংক্রমণ খুব একটা বাড় বাড়ন্ত হবে না।

কিন্তু ভয় শ্যামা পুজো।দুর্গার পরেই এই পুজো মানুষ টানে।তাই আবার যদি মন্ডপে মন্ডপে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাসের কনা।আতস বাজির জৌলস তো আছে সঙ্গে রয়েছে বোমা পটকার ছড়াছড়ি ।কিন্তু এই আতস বাজীর দাপট পরিবেশ দূষন ঘটালেও করোনা কে সরিয়ে দিতে সক্ষম নয়।তাই আরো একটা ক্ষীন হলেও মনের কোনে উঁকি দিয়ে যায় ।কি হবে এবার কালী পুজোর দৌলতে।

প্রশাসন অবশ্যই তার ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।উৎসবের আলোর রোশনাই থাকবে না ম্রিয়মান হবে সে কথা এখনো বলা যাচ্ছে না।উড়ন্ত তুবড়ির আলো আকাশ ময় ঘোরা ফেরা করবে কি করবে না সে কথাও বলা যাচ্ছে না।

তবে একটা কথা বলা যেতেই পারে এবার দুর্গা এসেছিল অন্য রুপে।অসুর নিধনে।কতটুকু অসুর নিধন হয়েছে তা এক্ষুনি সম্ভব নয় বলা।তবে সংক্রমণের রাশ বন্ধে সবার সহযোগিতা ছিল এক দৃষ্টান্ত ।

দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সমগ্র বাংলা দেখলো অন্য পুজো।আমরাও দেখলাম অন্য পুজোর ও একটা রুপ লাবন্য আছে।আর তাও ফেলনা নয়।

অন্য পুজো নিয়ে অনেক গল্প তো এবার হলো।নানা অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরলো আমাদের।

2020 সাল ছিল বিশে বিষ।তাতো সকলেই লকডাউন শুরুর দিন থেকেই বলে আসছেন।

সংক্রমণ রুখতে এরকম অন্য পুজো এখন খ্যাতির চুড়োয় ।আর তাই যেন থাকে।

অন্য পুজোর গল্প এখন থাক না।সংক্রমণের রাশ সামান্য হলে ভাঁটার টানে এখন।সেই ভাটাই যেন সারাবছর থাকে।

দু একটি পুজোর ওপর থেকে উৎসবের তকমা যদি ওঠে উঠুক।সংক্রমণ হীন হোক বাংলার আকাশ বাতাস।