তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।বাঘ ছাল পড়া বেড়াল বলে যে শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করলেন কুনাল ঘোষ সেই কুনাল কে নিয়ে এখন বঙ্গের রাজনীতি সরগরম ।এই কুনাল ঘোষ জেল বন্দী থাকার সময় সারদার সব দায় চাপিয়ে ছিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্…
ছবি সংগৃহীত |
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
বাঘ ছাল পড়া বেড়াল বলে যে শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করলেন কুনাল ঘোষ সেই কুনাল কে নিয়ে এখন বঙ্গের রাজনীতি সরগরম ।এই কুনাল ঘোষ জেল বন্দী থাকার সময় সারদার সব দায় চাপিয়ে ছিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপরেই।সেই কুনাল ঘোষ এখন মমতার দলের প্রধান মুখপাত্র ।রাজনীতি তে সব কিছুই সম্ভব তা আবার প্রমাণ করলো বঙ্গের রাজনীতি ।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় যিনি দলবদলের হিরো বলে খ্যাত তিনিও শুভেন্দু অধিকারীর দল বদল নিয়ে নানা কটাক্ষ করেই চলেছেন।
বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ও শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে ক্রমাগত কটাক্ষের সুর বাড়িয়ে চলেছেন।আর এসব দেখে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি দল এখন আনন্দে আত্মহারা ।কারন তৃনমূল দলে শুভেন্দু কাঁটা যে গভীর ভাবে বিঁধছে তা বোঝা যাচ্ছে তৃনমূল নেতাদের নানা কটাক্ষ থেকেই।যত দিন যাচ্ছে ততই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তৃনমূল শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই।
বিজেপি আবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের দিকেই বার বার ভাইপোর নাম নিয়ে কটাক্ষের সুর চড়া করছেন।
কে বলবে এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে ভয় পেয়েছে মানুষ ।রাজনীতির গরমা গরম খবর শুনতে শুনতে করোনা ভীতি কবেই যেন ম্লান হয়ে গেছে।
এ রাজ্যের রাজনৈতিক তরজা চলছে অহরহ।যে কুনাল ঘোষের গলার স্বর আটকাতে একসময় রাজ্য পুলিশ টিন বাজানো শুরু করেছিলো সেই কুনাল ঘোষ এখন ক্যামেরার একেবারে সামনে।
হায়রে রাজনীতি ।ভোট যুদ্ধে কে যে কখন কাকে কি বলে কটাক্ষ করবেন তা আগাম বলা যাবে না।
আর এই সব কথাবার্তা শুনে বঙ্গ রাজনীতির সাড়ে সর্বনাশের কথা বলছেন জনগন।
এতদিন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় একাই চেঁচিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে ।পুরসভার সামনে আলু বেচার কথাও বলেছেন।কিন্তু দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুভেন্দু অধিকারী কে দলে নেওয়ার পর অনেক মুখই সামনে।
তবে কি এতদিন শুভেন্দু ফিরবে ভেবেই সকলেই চুপ ছিলেন।আর তিনি তৃনমূল দলে ফিরবেন না ভেবে কি এই সব বাক্যবান।
আর শুভেন্দু অধিকারী যাঁকে নিয়ে এই সব কটাক্ষ তিনি বলছেন আমি বিদ্যাসাগরের দেশের ছেলে।কটু কথা বলবো না।
তবে প্রতিদিন ই তিনি চষে বেড়াচ্ছেন বাংলা।বড়দা অমিত শাহ কে যে কথা দিয়েছেন বঙ্গ থেকে তৃনমূল কে না হঠিয়ে তাঁর ছুটি নেই।
জমে গেছে বঙ্গ ভোট।দু দলের সভা পাল্টা সভাতে সরগরম বাংলা।
কে হবেন বাংলার অধিশ্বর।আগামী পাঁচ বছর কারা শাসন করবেন।বিনা যুদ্ধে যে কেউ দেবেন না সূচাগ্র মেদিনী তা তো বোঝাই যাচ্ছে ।