Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে একটি কথাও না বললেও পশ্চিমবঙ্গের চাষীরা বঞ্চিত একথা জানালেন রাজ্যপাল

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।একদিনের সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুজো দিলেন তমলুকের বর্গভীমা মন্দির।একদিনের পূর্ব মেদিনীপুরের সফরে এসে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ সকাল 11টা নাগাদ তি…



 তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।

একদিনের সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পুজো দিলেন তমলুকের বর্গভীমা মন্দির।

একদিনের পূর্ব মেদিনীপুরের সফরে এসে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ সকাল 11টা নাগাদ তিনি মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং মন্দির কমিটি থেকে তাকে সম্বধনা দেওয়া হয়। রাজ্যপালের মন্দিরে আসাকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তা মতায়েম করা হয়। পূজা দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের  সম্মুখীন হন এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজনৈতিক হিংসা ও রক্ত পাত নিয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনকে ব্যাপক তুলধনা করেন। 

পুজো দিয়ে তিনি জানান, নতুন বছরে গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই ভোট যেন রক্তপাতহীন হয়। পাশাপাশি বহিরাগত ই্যসুতে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। তমলুক থেকে ফিরে কোলাঘাট গেস্ট হাউস কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জাগদীশ ধনকড়।

আজ সকাল এগারোটায়  তমলুকের আসেন রাজ্যের রাজ্য পাল জগদীশ ধনকড় ।সস্ত্রীক রাজ্য পাল মিউজিয়ামের অনুষ্ঠান সেরে যান দেবী বর্গভীমার দর্শনে ।তমলুক ঐতিহাসিক শহর।তার রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও মহান।সেই কথা বার বার উঠে আসে রাজ্যপালের কথাবার্তা তেই।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল আসবেন আর সেখানে রাজনৈতিক কথা থাকবে না এমনটি আবার হয় নাকি।তাই তাঁর ভাষনে রাজ্য সরকারের বঞ্চনাও ঠাঁই পায় পদে পদে।
দু হাজার বিশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন সেটি ছিল দুঃখের বছর।তাই যেন দুহাজার একুশ কাটে সুখে সকলের।
প্রজাতন্ত্রের কথা বার বার করে উল্লেখ করে তিনি বলেন গনতন্তের মূল হলো জনতা।সেই জনতা একুশে আবার সরকার গড়বেন।দেখতে হবে মানুষ যেন নিজেরা রায় দিতে পারেন।
রাজ্য পালের ভাষনে উঠে আসে স্বাধীনতার জন্য মাতঙ্গিনী হাজরার গুলি খাওয়ার কথা।ক্ষুদিরাম বসুর নাম করে তিনি বলেন মাত্র আঠারো বছরের কম বয়সেই তিনি দেশ মাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে ছিলেন।আর এই সমস্ত কাজ করেছেন স্বাধীন ভারত গড়তে।সেই রাজ্যে আজ প্রজাতন্ত্র কোথায়।চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন সমগ্র ভারতের কৃষকেরা চোদ্দ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।কিন্তু রাজ্য সরকারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা বঞ্চিত ।70লক্ষ কৃষক কে বঞ্চিত করেছেন এখানকার সরকার ।তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি লিখেছেন কৃষকদের জন্য ।কিন্তু কোন উওর আসেনি। 
রাজ্য সরকার ও রাজ্য পাল সংঘাত প্রথম দিন থেকেই চলে আসছে।আর রাজ্য পাল ও তাঁর ভাষনে তৃনমূল সরকার কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না।
দিল্লির কৃষক বিদ্রোহ ও কৃষি বিল নিয়ে একটি কথাও তিনি না বললেও রাজ্যের কৃষকেরা যে বঞ্চিত তা তিনি বারে বারেই উল্লেখ করলেন তমলুকের মাটিতে।
আর ভোট যাতে শান্তি তে হতে পারে সেই বার্তা ও দিয়ে গেলেন তমলুক বাসীকে।