বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকপূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ময়না ,পটাশপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কাঁসাই নদীর বাঁধে বেশ কয়েকটি ধসের সৃষ্টি হওয়াতে কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক সহ …
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ময়না ,পটাশপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কাঁসাই নদীর বাঁধে বেশ কয়েকটি ধসের সৃষ্টি হওয়াতে কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক সহ আশপাশের মানুষজন আতঙ্কগ্রস্ত । শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক অফিস জলের তলায় । অফিস টাইমে মানুষজনদের হয়রানির শেষ নেই, জল পেরিয়েই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে। উল্লেখ করা যায় গত দু'বছর আগেও এই ব্লক অফিস সম্পূর্ণটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিলেন । মূলত এখানে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকার জন্যই বারবার এই ব্লক অফিস জলমগ হয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় মানুষজন বলছে। কোলাঘাটের কাঁসাই নদীর উপর যে কয়েকটি বাঁশের সেতু ছিল জলের চাপে প্রত্যেকটি সেতু রূপনারায়ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে খবর। ডিভিসি কংসাবতীর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ব্যাপক পরিমাণে জল ছাড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ থেকে শুরু করে কংসাবতী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে । ইতিমধ্যে এলাকায় রাস্তা পুকুর ধান ক্ষেত জলের তলায়। জলমগ্ন গ্রামের গবাদিপশু গুলিকে উঁচু জায়গাতে সরানো হয়েছে। কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রামের বাসিন্দা শান্তনু মুখার্জি ও অজিত দাস জানান কাঁসাই নদীর বাঁধ বরাবর ভৌমিক ও দোলুই পাড়ায় নদীর বাঁধে বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে । বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। গ্রামের মানুষজন বাঁধ মেরামতির কাজে সর্বদা দৃষ্টি রেখেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক বলেন গত দু'বছর আগে বন্যা ও জলবন্দী পরিস্থিতির পর সেচ ও প্রশাসন দপ্তর কোন নদী এবং নিকাশি খাল সংস্কারের কাজে হাত দেয় নি। শুধু তাই নয় জল নিকাশিতে বাধা সৃষ্টিকারী নদী ও নিকাশি খাল গুলির ভিতরে থাকা অবৈধ ভেড়ী ইঁটভাঁটা এবং নির্মাণ কোনটাই উচ্ছেদ করেনি। আর সে কারণেই এবারেও বেশ কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হল। নারায়ণ বাবু জানান এই বন্যা ও জলবন্দী পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকার' ম্যানমেড 'বলে অবহিত করেন। সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও জেলা প্রশাসককে আবেদন জানানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে যাতে জলাধার থেকে একসঙ্গে বেশি পরিমাণ জল না ছাড়া হয় সেই বিষয়টিও আবেদন করা হয়েছে।