অরুন কুমার সাউ, তমলুক:গতকাল ২৯ শে সেপ্টেম্বর তমলুকের ধর্মশালা সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো প্রয়াত শিক্ষক সুধীর চন্দ্র ভৌমিকের স্মরণ সভা । মাতৃভাষা দিবস পালনের বলিষ্ঠ কান্ডারী, লেখক, কবি, সাহিত্য প্রেমী, আঞ্চলিক ইতিহাসের অনুসন্ধানী, শিল্…
অরুন কুমার সাউ, তমলুক:গতকাল ২৯ শে সেপ্টেম্বর তমলুকের ধর্মশালা সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো প্রয়াত শিক্ষক সুধীর চন্দ্র ভৌমিকের স্মরণ সভা । মাতৃভাষা দিবস পালনের বলিষ্ঠ কান্ডারী, লেখক, কবি, সাহিত্য প্রেমী, আঞ্চলিক ইতিহাসের অনুসন্ধানী, শিল্পী এক কথায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সুধীরবাবু। এদিনের এই স্মরণ সভাটিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষারত্ন দিলীপ কুমার রায়, প্রধান শিক্ষক ফনিভূষণ রাউত, ডা: তুফান মন্ডল অধিকারী, শিক্ষক গনেশ চক্রবর্তী, শিক্ষক তাপস মুখার্জি, শিক্ষক সোমপ্রকাশ মাইতি, কবি তাপস বৈদ্য,শিক্ষক গোরাচাঁদ সাহু, শিক্ষক ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক জয়দীপ পান্ডা, সুধীরবাবুর পত্নী সুষমা ভৌমিক, সুধীরবাবুর ভাই রঘুনাথ ভৌমিক, বুদ্ধদেব পন্ডা, সুধীরবাবুর কন্যা সুদীপ্ত ভৌমিক সহ বিশিষ্টজনেরা । এদিন উপস্থিত সকলে প্রয়াত শিক্ষক সুধীরবাবুর স্মৃতিচারণা করেন।
গত বাইশে মে ২০২৪ সালে তিনি পরলোক গমন করেন। প্রয়াত শিক্ষক সুধীর বাবুর বাবা বামাপদ ভৌমিক ছিলেন একজন বিপ্লবী। এই রূপ বৈপ্লবিক পরিবেশে জন্ম নিয়ে তিনি নিজের বাল্য জীবন শুরু করেছিলেন। বৈষ্ণবচক মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক ছিলেন। ছবি আঁকা, কবিতা লেখা ,গল্প লেখা, অভিনয়, নাট্যনির্দেশনা, মুখাভিনয়, ভাস্কর্য, বৃক্ষরোপণ, সমাজ সেবা, আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষণা ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি পারদর্শী ছিলেন। ৩০-৩৫ বছর বয়সে বহিচার গ্রামের সীতা পুকুর সংস্কারের সময় কারুকার্য খচিত এক পাথর তুলে আনেন বৌদ্ধ সংস্কৃতির অনাবিষ্কৃত এক অধ্যায়। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। তিনি ১৯৮৬ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি স্কুলে মাতৃভাষা পালনের ব্যবস্থা করেন। তার বহুমুখী প্রতিভা মুগ্ধ করে অসংখ্য মানুষকে।