অরুণ কুমার সাউ,তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অধীন খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খসরেখা গ্রামটি রূপনারায়ণ নদীর একেবারে প্রান্তেই। কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে এলাকা জলমগ্ন। তার ওপর নদীর জল বর্ষাকা…
অরুণ কুমার সাউ,তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অধীন খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খসরেখা গ্রামটি রূপনারায়ণ নদীর একেবারে প্রান্তেই। কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে এলাকা জলমগ্ন। তার ওপর নদীর জল বর্ষাকালে নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলিতে বেশ কিছুটা অংশে ঢুকে পড়ে। এর ফলে ফসলের জমি সহ গ্রামের নানান অংশে সাপের উপদ্রবটা মারাত্মক। গত কয়েক বছরে গ্রামে সাপে কাটার সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান। প্রতিবছর এই সময় গোখরো, চন্দ্রবড়া সহ বিভিন্ন বিষধর সাপের উপদ্রবটা মারাত্মক থাকে। ফলে জনগণের মধ্যে সাপের উপদ্রবের আতঙ্ক বেশ ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রূপনারায়ণ নদীর প্রান্তে থাকা বিদ্যুৎ মাইতির মাছের ঝিল থেকে মাছ ধরার মুগরিতে এক জোড়া বড় আকারের বিষধর ধরা সাপ পড়ে। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন সাপ দুটিকে মেরে ফেলতে চাইলেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য শিক্ষক সেতু সামন্ত অনুরোধ করে সাপগুলোকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। ফোন মারফত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দপ্তরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দুই সদস্য নকুল চন্দ্র ঘাঁটি ও প্রলয় ঘোষের মাধ্যমে সাপটি উদ্ধার হয়। কোলাঘাট থানার প্রলয় ঘোষ একজন একজন সর্প বন্ধু। তিনি উদ্ধার করা সাপ দুটি বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন।