---------------------------------
লিটল ম্যাগাজিন মানে শুধু পত্রিকা প্রকাশ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশেষ দর্শন। আত্মজিজ্ঞাসায় সে নিরপেক্ষ হতে চায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় হাজারো বিতর্ক।
'লিটল ম্যাগাজিন অন্তর বাহির' বইতে লিটল …
---------------------------------
লিটল ম্যাগাজিন মানে শুধু পত্রিকা প্রকাশ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশেষ দর্শন। আত্মজিজ্ঞাসায় সে নিরপেক্ষ হতে চায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় হাজারো বিতর্ক।
'লিটল ম্যাগাজিন অন্তর বাহির' বইতে লিটল ম্যাগাজিনের গুরুত্ব ও সমস্যার সূত্র ধরেই এসেছে ধর্ম, রাষ্ট্র, ভাষা,স্বাধীনতা, ইত্যাদি প্রসঙ্গ। লিটল ম্যাগাজিন আসলে মুক্ত, স্বাধীন।
ঋত্বিক ত্রিপাঠী মূলত কবি ও সম্পাদক। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সম্পাদনা করে চলেছেন 'জ্বলদর্চি' নামে একটি পত্রিকা। রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি কবিতার বই। প্রথম কবিতার বই 'জ্যোতিবাবু ও তুমি' প্রকাশ পেলে অনেকেরই বিরাগভাজন হন। একসময় আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন। এটি তাঁর প্রথম গদ্য বই। বইটিতে রয়েছে বেশকিছু প্রাসঙ্গিক ও বিতর্কিত বিষয়। তাঁর প্রশ্ন, আজও কেন লিটল ম্যাগাজিনের সরকারি রেজিষ্ট্রেশন হয় সংবাদপত্র হিসেবে! তাঁর যথার্থ প্রস্তাব : লিটল ম্যাগাজিন সংরক্ষণাগার হোক সরকারি উদ্যোগে। পাশাপাশি বিতর্কিত বক্তব্য : ধর্ম থাকবে আর ধর্মের গোঁড়ামি থাকবে না-- এ কোনও দিনই হতে পারে না। তাই তাঁর আপ্তবাক্য : "ধর্মের হাত ধরে অধর্মের পরিণাম যখন খুন-হত্যা-ধর্ষণ-হাহাকার এসে উপস্থিত হবে,তখন অবাক হয়ে আর কীবা লাভ!" লেখকের ব্যাখ্যা : স্বাধীন অভিমতকে রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা দিলে ট্রাজেডি। সবচেয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, লেখকের আত্মহত্যার স্বীকৃতি দাবিপ্রসঙ্গকে ঘিরে। তাঁর যুক্তি : "আত্মহত্যা আর হত্যা এক হতে যাবে কেন, আজকের দিনে!"
এই সব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে যে বই, তার প্রকাশক পাওয়া সহজ নয়। তাই গত একবছর সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শেষমেষ সপ্তর্ষি প্রকাশন দেখিয়েছে সেই সাহস।
সময় বিচার করবে বিতর্ক প্রসঙ্গ। পাঠক বিচার করবে নাস্তিক ঋত্বিক কতখানি দেশদ্রোহী ! তিনি কি বিকারগ্রস্ত! না কি লিটল ম্যাগাজিনকে হাতিয়ার করে নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে দীর্ণ!
-------------