দুই মেদিনীপুর থেকে প্রকাশিত 'জ্বলদর্চি' পত্রিকার ফেব্রুয়ারি সংখ্যার বিষয় 'প্রেম ও ভালোবাসা'। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে এক ঘরোয়া আড্ডায় সংখ্যাটি প্রকাশ করেন সিনেমা বিশেষজ্ঞ ও কবি সিদ্ধার্থ সাঁতরা। উপস্থিত…
দুই মেদিনীপুর থেকে প্রকাশিত 'জ্বলদর্চি' পত্রিকার ফেব্রুয়ারি সংখ্যার বিষয় 'প্রেম ও ভালোবাসা'। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে এক ঘরোয়া আড্ডায় সংখ্যাটি প্রকাশ করেন সিনেমা বিশেষজ্ঞ ও কবি সিদ্ধার্থ সাঁতরা। উপস্থিত ছিলেন সুব্রত দাস, সীমি সাঁতরা, শঙ্খ ঘোষ,তাপসকুমার দত্ত,মৃণালকান্তি সামন্ত, সুজাতা কয়াল, গৌতম মাহাতো প্রমুখ।
২৮ বছরে ধরে নিয়মিত জ্বলদর্চি এখন মাসিক। ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় 'প্রেম প্রসঙ্গ' গদ্যে ঋত্বিক ত্রিপাঠী লিখেছেন বাল্যবন্ধু গৌতমের প্রেম অনুভব। টিফিনের সময় ছাত্রীরা ক্লাশের বাইরে চলে গেলে সঞ্চিতার সিটে গিয়ে গৌতম চুপটি করে বসে থাকতো। অথচ সে মুখ ফুটে কোনও দিন তার প্রেমের কথা বলেনি সঞ্চিতাকে। গৌতম আসলে নির্লোভ স্বভাবে সঞ্চিতাকে অনুভব করতে চেয়েছে। এই হল প্রেম। প্রকৃত প্রেমই জানে দূরত্ব বজায় রাখতে। এ সংখ্যায় কবিতা লিখেছেন সন্দীপ কাঞ্জিলাল, নরেন হালদার, ভবেশ মাহাতো, অমর সাহা,রথীনকুমার পাল,তুলসীদাস মাইতি,মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি, সুভাষ জানা,সিদ্ধার্থ সাঁতরা,শম্ভুনাথ শাসমল,বনমালী মাল,নারায়ণপ্রসাদ জানা,অনির্বাণ দাশ,অনিমেষ মণ্ডল, সেখ মনুয়ারুল হক। সন্দীপ কাঞ্জিলালের কবিতার বই 'ভাইসব কেউ যাবেন না' নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন সাহিত্যিক মন্মথনাথ দাস। অসাধারণ প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিল্পী সোমা ভট্টাচার্য।
সামনেই ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার বিশেষ দিন।আশা করাই যায়, জ্বলদর্চির এই 'প্রেম ও ভালোবাসা' সংখ্যা পাঠক সমাজে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।