ডিইউর শিক্ষার্থীরা জেএনইউতে এবিভিপি গুন্ডাদের দ্বারা গুন্ডামি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা ডিইউর উত্তর ক্যাম্পাস থেকে এলজি হাউসে যাত্রা করছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় জেএন ইউ তে হামলায় অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংগঠন…
ডিইউর শিক্ষার্থীরা জেএনইউতে এবিভিপি গুন্ডাদের দ্বারা গুন্ডামি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা ডিইউর উত্তর ক্যাম্পাস থেকে এলজি হাউসে যাত্রা করছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় জেএন ইউ তে হামলায় অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে।প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী 15জন পড়ুয়াকে এএমসে ভর্তি করা হয়েছে। তান্ডব চলাকালীন গেটের বাইরে পুলিশ নীরব দর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বলেঅভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি -র পাশাপাশি নয়া নাগরিকত্ব আইন, এন আর সি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সক্রিয় ছিল জে এন ইউ এর পড়ুয়ারা।
জেএন ইউ এর রেজিস্টারের কথায়,ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ডাকেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন
, যাদবপুরে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করার সময় কেউ মুখ খোলেনি। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেননি। বছরের পর বছর ধরে এসএফআই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। সবার মুখ তখন বন্ধ ছিল। আর এখন যেই কমিউনিস্টরা মার খেয়েছে তখনই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে কি এবিভিপি-র এই হামলাকে সমর্থন করছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, “কে বা কারা মেরেছে সেটা জানি না। অভিযোগ উঠলেই তো কিছু প্রমাণিত হয় না। তবে এটা মানতে হবে যে কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসেছে।”
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবং জামিয়া মিলিয়ায় প্রহৃত পড়ুয়াদের সমর্থনে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে জেএনইউ-তে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, এই অবস্থায় গেরুয়া বাহিনীর নজরে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আর তার থেকেই এই হামলা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যও নতুন বিতর্ক তৈরি করবে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
আজ দিল্লীর সাথে সাথেই বোম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।