তমলুক, কাজল মাইতি,দেশ মানুষউত্তুরে হাওয়ার শিরশিরানি আর ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৫শে ডিসেম্বর— এই দুইয়ের মেলবন্ধনে প্রতি বছরের মতো এবারও চেনা ছন্দে ফিরল পূর্ব মেদিনীপুর। দিঘা বা মন্দারমণির সমুদ্রতট তো বটেই, বড়দিনের ছুটিতে জেলার অন্যত…
তমলুক, কাজল মাইতি,দেশ মানুষ
উত্তুরে হাওয়ার শিরশিরানি আর ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৫শে ডিসেম্বর— এই দুইয়ের মেলবন্ধনে প্রতি বছরের মতো এবারও চেনা ছন্দে ফিরল পূর্ব মেদিনীপুর। দিঘা বা মন্দারমণির সমুদ্রতট তো বটেই, বড়দিনের ছুটিতে জেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠল তমলুকের রূপনারায়ণ নদীর পাড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর চরে জমে উঠেছে পিকনিকের আসর।
শীতের মরশুম মানেই বাঙালির কাছে চড়ুইভাতি। আর সেই আমেজ গায়ে মাখতে এদিন সকাল থেকেই রূপনারায়ণের তীরে ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকরা। কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে, কেউ আবার সপরিবারে। মেদিনীপুর শহর এবং লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের ভিড়ে কার্যত তিল ধারণের জায়গা নেই নদীপাড়ে।
উৎসবের মেজাজে কোনো খামতি নেই। কেউ বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসে নদীর শীতল হাওয়ায় বসে খাওয়া-দাওয়ায় মেতেছেন, আবার অধিকাংশ দলই নদীর পাড়ে উনুন ধরিয়ে জোর কদমে রান্নাবান্নার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। মেনুতে কোথাও দেশি মুরগির ঝোল, তো কোথাও কচি পাঁঠার মাংস। সকালের জলখাবার থেকে বিকেলের চা— সারাদিনের রুটিন একেবারে নদীর ধারের এই অস্থায়ী আস্তানাতেই।
পিকনিক করতে আসা এক গৃহবধূর কথায়, "সারা বছর কাজের চাপে নিজেদের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের দিনটা তাই সব ভুলে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করার। নদীর ধারে এমন পরিবেশে পিকনিক করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।"
পর্যটকদের এই ভিড় সামাল দিতে এবং কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসনও। তমলুক থানার পক্ষ থেকে এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে পানীয় জল ও শৌচাগারের বিশেষ ব্যবস্থা করেছে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা। সব মিলিয়ে রোদঝলমলে বড়দিনের দুপুরে রূপনারায়ণের পাড় যেন এক টুকরো মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
