ফের রাজধানী শহর কলকাতার বুকে মৃত দেহ আগলে রাখার ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায়।বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৮ বছরের বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃদ্ধ সম…
ফের রাজধানী শহর কলকাতার বুকে মৃত দেহ আগলে রাখার ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায়।বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৮ বছরের বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃদ্ধ সমীররঞ্জন সুরের স্ত্রী ও মেয়ে বেড়াতে যাওয়ায় শ্যালক বিশ্বনাথ দেখাশোনা করত। অভিযোগ, এই সুযোগেই ভগ্নিপতিকে খুন করেছে সে।সন্দেহ জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে বৃদ্ধের শ্যালক খুন করেছে তাঁকে।
প্রমান লোপাট করতে এক হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছ থেকে এক ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে দেহটি তোশকে মুড়ে, বরফে চাপা দিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, যখন একটি ম্যাটাডোর ডেকে এনে সেখানে সমীরবাবুর দেহ চাপানো হয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তা করতে গিয়েই ধরা পড়ে যায় প্রতিবেশীদের হাতে। এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রোগীকে না দেখেই ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
যদিও পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বনাথ। তার দাবি, শারীরিক অসুস্থতার জেরে দু’দিন আগে স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয়েছে সমীরবাবুর। কিন্তু তার দিদি অর্থাৎ সমীরবাবুর স্ত্রী বাইরে থাকায় দেহটি বরফ দিয়ে রেখেছিল। এমনকি তিনি মৃত্যুর খবরও দিয়েছেন তাঁর দিদি অর্থাৎ সমীরবাবুর স্ত্রীকে। তাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরছেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সম্পত্তি নিয়ে শ্যালক সমীর বাবুর উপর অত্যাচার করত। তার জেরেই বচসা আর তা থেকেই এই খুন বলে অনুমান। পুলিশ সূত্রে খবর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।মৃত্যু কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।