রুদ্র আচার্য্য
(বাংলাদেশ)
----------------
হৃদয়াকুতি
ইচ্ছা হয় বিষ পানে আত্মাহুতি দেই,
কিন্তু পারি না।
এ ভূবন নহে,শুধু তুমি আছ বলে।
এ জীবনের প্রতি কিঞ্চিত ভক্তি নেই আমার।
আছে,শুধু চাপা কষ্ট আর অগোছালো ব্যর্থতা।।
মাঝে মাঝে মনে হয়,…
রুদ্র আচার্য্য
(বাংলাদেশ)
----------------
হৃদয়াকুতি
ইচ্ছা হয় বিষ পানে আত্মাহুতি দেই,
কিন্তু পারি না।
এ ভূবন নহে,শুধু তুমি আছ বলে।
এ জীবনের প্রতি কিঞ্চিত ভক্তি নেই আমার।
আছে,শুধু চাপা কষ্ট আর অগোছালো ব্যর্থতা।।
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি
আমি আত্মাহতির চেয়েও পাপ বাড়িয়ে চলছি
মরার মতো বেঁচে থেকে।
বড় কষ্ট হয় তখন,যখন আমি আমার পানে চাই আর,আমার হতে গ্রহণ করার মতো কিছু ই পাই না।বড় অসহ্য লাগে,যন্ত্রনা বেড়ে চলে, যখন আমাকে কেউ ধিক্কার দেয়।
আর আঁচড় কাঁটা মনে ভেবে ফিরি,আমি—
আমার শৈশব,বাল্য,কিশোর-যৌবনে।
যদি ভুলেও আমার সেই মূল্যবান সময়কে মূল্যায়ন করতে পারতাম।
বুঝি,ছুঁতে পেতাম সাফল্য
আর পাশে পেতাম তোমায়।
কিন্তু তা আর হলো না
নিষ্ঠুর নিয়তিতে মুছলনা ব্যর্থতা।
যে তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্নগুনা সে তোমাকে ছুঁবার সাদ্য টাও আমি হতে কোটি ক্রোশ দূরে দন্ডায়মান
আর ছুঁবার আশায় পথ চলতে শুরু করলে, গোঁপে চুলে পাক ধরবে কিন্তু পথ শেষ হবে না।
তাই,তুমি কখনো আবার কিংবা আমি কোন কালে তোমার এ ভাবনা, অপূর্ণ স্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়।
তাই,এমন জীবন টা কে বয়ে চলছি
অন্ধকারের পথে,যে পথে কাঁটা জন্মায়
কিন্তু কমল ফোটে-না।
যেথা ভবিষ্যৎ নিশ্চিহ্ন আর স্বপ্ন আবিষ্কার করা দুষ্কর। আর আমি আমার অপূর্ণতা-কে সঙ্গি করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজেকে বেয়ে চলছি।
তুমি আমার,তুমি শুধু ই
অতৃপ্ত স্বপ্ন ই হয়ে রইলে,
আর ঐ স্বপ্নটা কে বুকে চেপে
আমি বেদনাকুতি বলছি।
.............................
বেওয়ারিশ পূর্তি
-- রু দ্র আ চা র্য্য
আজ খুব মনে পড়ছে তোমায়-
এতোটা ই মনে পড়ছে যে,
হটাৎ হটাতে ই বুকের ভিতর কম্পন হচ্ছে—
উষ্ণ কম্পন।
আবার হটাতেই বৃষ্টি!
স্পর্শের বাহিরে একাকিত্ব,
ঠোঁটের দূরত্ব অনন্তকাল।
তবুও কেন জানি,
বারবার চোখের কোনে
বিন্দু বিন্দু জল হয়ে তুমি - তোমার স্মৃতি।
চিঠির ভাঁজে লুকায়িত বেদনগুলো যেমন
কথা কয় শব্দ হয়ে, ঠিক তেমনি-
রহস্য সম্যক তোমার কামনা বিলাপ।
বহুকাল আলোহীন ল্যাম্বপোস্টির মতো
ঠায় দাঁড়িয়ে আছি স্মৃতি আলিঙ্গনে,
হয়তো আলো হয়ে ফিরবে... নব জৌলুসে
প্রিয় নামটি ধরে ডাকবে চেনা স্বরে।।
আজ আমার বেওয়ারিশ পূর্তি....
আমি স্বাধীন,তবুও আনন্দ কই...?
আমার চোখে মুখে লেগে আছে
অভিযুক্ত অভিব্যক্তি,বিষাদের ছাপ -
রক্ত খনন অতৃপ্ত মনে,পিপাসিত পাওয়ার স্বাধে।
তোমায় যতটা ভুলতে চাই -
তার চেয়েও বেশি মনে পড়ে।
তুমুল স্মৃতি স্রোত আমায় মোহনায় ফেরায়।
আমি বড্ড বেশি বোকা -
তাই না নীলাদ্রিতা...?
তুমি আমায় আড়াল করেছো অনেকদিন গত-
অথচ,আমি পড়ে আছি ঝুলে যাওয়া অতীতের মুছে যাওয়া স্মৃতিতে।
সত্যি ই কি মুছে যাওয়া!!!
হয়তো তাই, নয়তো তোমার সাবলীল কারুকাজ থমকে যেতো আর খুঁজে নিতো সে-ই পুরনো আমি কে।
নীলাদ্রিতা,তুমি ই ঠিক, বড্ড অাধুনিক
কেবল এক আমি ই নিজস্বতা হারিয়ে পড়ে আছি অতীতে।
আদ্রি,একটা কথা জানতে খুব ইচ্ছে করছে-"অতীত টা কি আসলে ই ভুলের ছিল?"
যদি ভুলে ই হয়,তাহলে কতটা ভুলের পূর্ণ সমাধি আমি..?
সেই প্রথম আলাপ,
তারপর চেনা জানা,পরিচয়।
তুমি ই বন্ধনে এঁকে দিলে দূরুত্ব
দাঁড়ালো দেয়াল,খুঁজে নিলে নতুন জীবন
আর আত্মমগ্ন কবি আমি,
একা রচে যাই জীবনের গীতিকা।।
(বাংলাদেশ)
----------------
হৃদয়াকুতি
ইচ্ছা হয় বিষ পানে আত্মাহুতি দেই,
কিন্তু পারি না।
এ ভূবন নহে,শুধু তুমি আছ বলে।
এ জীবনের প্রতি কিঞ্চিত ভক্তি নেই আমার।
আছে,শুধু চাপা কষ্ট আর অগোছালো ব্যর্থতা।।
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি
আমি আত্মাহতির চেয়েও পাপ বাড়িয়ে চলছি
মরার মতো বেঁচে থেকে।
বড় কষ্ট হয় তখন,যখন আমি আমার পানে চাই আর,আমার হতে গ্রহণ করার মতো কিছু ই পাই না।বড় অসহ্য লাগে,যন্ত্রনা বেড়ে চলে, যখন আমাকে কেউ ধিক্কার দেয়।
আর আঁচড় কাঁটা মনে ভেবে ফিরি,আমি—
আমার শৈশব,বাল্য,কিশোর-যৌবনে।
যদি ভুলেও আমার সেই মূল্যবান সময়কে মূল্যায়ন করতে পারতাম।
বুঝি,ছুঁতে পেতাম সাফল্য
আর পাশে পেতাম তোমায়।
কিন্তু তা আর হলো না
নিষ্ঠুর নিয়তিতে মুছলনা ব্যর্থতা।
যে তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্নগুনা সে তোমাকে ছুঁবার সাদ্য টাও আমি হতে কোটি ক্রোশ দূরে দন্ডায়মান
আর ছুঁবার আশায় পথ চলতে শুরু করলে, গোঁপে চুলে পাক ধরবে কিন্তু পথ শেষ হবে না।
তাই,তুমি কখনো আবার কিংবা আমি কোন কালে তোমার এ ভাবনা, অপূর্ণ স্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়।
তাই,এমন জীবন টা কে বয়ে চলছি
অন্ধকারের পথে,যে পথে কাঁটা জন্মায়
কিন্তু কমল ফোটে-না।
যেথা ভবিষ্যৎ নিশ্চিহ্ন আর স্বপ্ন আবিষ্কার করা দুষ্কর। আর আমি আমার অপূর্ণতা-কে সঙ্গি করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজেকে বেয়ে চলছি।
তুমি আমার,তুমি শুধু ই
অতৃপ্ত স্বপ্ন ই হয়ে রইলে,
আর ঐ স্বপ্নটা কে বুকে চেপে
আমি বেদনাকুতি বলছি।
.............................
বেওয়ারিশ পূর্তি
-- রু দ্র আ চা র্য্য
আজ খুব মনে পড়ছে তোমায়-
এতোটা ই মনে পড়ছে যে,
হটাৎ হটাতে ই বুকের ভিতর কম্পন হচ্ছে—
উষ্ণ কম্পন।
আবার হটাতেই বৃষ্টি!
স্পর্শের বাহিরে একাকিত্ব,
ঠোঁটের দূরত্ব অনন্তকাল।
তবুও কেন জানি,
বারবার চোখের কোনে
বিন্দু বিন্দু জল হয়ে তুমি - তোমার স্মৃতি।
চিঠির ভাঁজে লুকায়িত বেদনগুলো যেমন
কথা কয় শব্দ হয়ে, ঠিক তেমনি-
রহস্য সম্যক তোমার কামনা বিলাপ।
বহুকাল আলোহীন ল্যাম্বপোস্টির মতো
ঠায় দাঁড়িয়ে আছি স্মৃতি আলিঙ্গনে,
হয়তো আলো হয়ে ফিরবে... নব জৌলুসে
প্রিয় নামটি ধরে ডাকবে চেনা স্বরে।।
আজ আমার বেওয়ারিশ পূর্তি....
আমি স্বাধীন,তবুও আনন্দ কই...?
আমার চোখে মুখে লেগে আছে
অভিযুক্ত অভিব্যক্তি,বিষাদের ছাপ -
রক্ত খনন অতৃপ্ত মনে,পিপাসিত পাওয়ার স্বাধে।
তোমায় যতটা ভুলতে চাই -
তার চেয়েও বেশি মনে পড়ে।
তুমুল স্মৃতি স্রোত আমায় মোহনায় ফেরায়।
আমি বড্ড বেশি বোকা -
তাই না নীলাদ্রিতা...?
তুমি আমায় আড়াল করেছো অনেকদিন গত-
অথচ,আমি পড়ে আছি ঝুলে যাওয়া অতীতের মুছে যাওয়া স্মৃতিতে।
সত্যি ই কি মুছে যাওয়া!!!
হয়তো তাই, নয়তো তোমার সাবলীল কারুকাজ থমকে যেতো আর খুঁজে নিতো সে-ই পুরনো আমি কে।
নীলাদ্রিতা,তুমি ই ঠিক, বড্ড অাধুনিক
কেবল এক আমি ই নিজস্বতা হারিয়ে পড়ে আছি অতীতে।
আদ্রি,একটা কথা জানতে খুব ইচ্ছে করছে-"অতীত টা কি আসলে ই ভুলের ছিল?"
যদি ভুলে ই হয়,তাহলে কতটা ভুলের পূর্ণ সমাধি আমি..?
সেই প্রথম আলাপ,
তারপর চেনা জানা,পরিচয়।
তুমি ই বন্ধনে এঁকে দিলে দূরুত্ব
দাঁড়ালো দেয়াল,খুঁজে নিলে নতুন জীবন
আর আত্মমগ্ন কবি আমি,
একা রচে যাই জীবনের গীতিকা।।