প্রতিযোগিতা --০২
কবিতা ---কিসের তরে।
শ্বেতা ব্যানার্জী
১৬,৩,২০
নকশীকাঁথার মতন এই জীবন যেন ....
সুনিপুণ হাতে সূচিশিল্পে যে রকম ফুল তুলবে
সংসারের সীমান্তরেখায় ......
দক্ষতার কোন রকমফের হয়না,
রঙের কেরামতিই হলো আসল।
বয়ে চলা নদীকেও ম…
প্রতিযোগিতা --০২
কবিতা ---কিসের তরে।
শ্বেতা ব্যানার্জী
১৬,৩,২০
নকশীকাঁথার মতন এই জীবন যেন ....
সুনিপুণ হাতে সূচিশিল্পে যে রকম ফুল তুলবে
সংসারের সীমান্তরেখায় ......
দক্ষতার কোন রকমফের হয়না,
রঙের কেরামতিই হলো আসল।
বয়ে চলা নদীকেও মেপে নিতে হয় গভীরতা,
নাহ'লে দুকূল প্লাবিত হবার যে ভয়
জলধারণের ধারক হয়ে গভীরতায় ডুব দিয়ে--
নদী খোঁজে তার আপন জীবনসুখ।
তুমি বোঝনি অনির্বাণ হয়তো
এই জীবনের মানে।
চকমকি পাথর ঠুকলেই কি আগুন জ্বলে !
ধৈর্যের পরীক্ষাও তো দিতে হয় ....
আকাশে মেঘ দেখলে যারা ছাতা খোলে --
তারা বৃষ্টিমাখা সুখ চেখে যে দেখেনি।
মেঘ ও নদীর অবিরাম যে চোখাচোখি,
তাকে তুমি ধৃষ্টতা বলোনা, বলো সুখ ....
যে সুখে পার্থিব মিলন,
অথচ অপার্থিব পাওনা ও আদায়।
গোটা জীবনের বহমনতাকে
কালের গন্ডিতে বেঁধে, অলিখিত লক্ষণরেখা
টেনে..... বলো , কি পেলে !!
দু'দন্ড বিশ্রামের ছায়াটুকু যে ছোট হয়ে এলো।
তুমি বলবে---
বিপদসীমার উচ্চতা খালি চোখে ঠাহর হয়না।
যে জল প্লাবন আনে---
তা'কে তুমি বাড়তে দিলে কেন !
আমার চালসে ধরা জীবন, মাইনাস - প্লাসে সীমাবদ্ধ রেখে, যেভাবে চলছিল...
গতিপথ বদলের প্রয়োজন তো ছিলনা।
চোখে ব্যথার অনুভব মানেই কি চোখ খারাপ ?
আমি মৃণালিনী, জলই তো আমার সাজ।
#শ্বেতা ব্যানার্জী #