Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লকডাউনের জের, ক্ষতির মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের পানচাষ

লকডাউন এর ফলে সবাই প্রায় গৃহবন্দী। কিন্তু এই বন্ধের বাজারে অনান্য খাদ্য কৃষিজাত দ্রব্য বাজারে বিক্রির নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও গুল্ম জাতীয় শস্য পানের ক্ষেত্রে তা হচ্ছেনা। সমস্যায় যেমন পান চাষিরা তেমনি পান প্রিয় মানুষরা।
লকডাউন প্রা…



লকডাউন এর ফলে সবাই প্রায় গৃহবন্দী। কিন্তু এই বন্ধের বাজারে অনান্য খাদ্য কৃষিজাত দ্রব্য বাজারে বিক্রির নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও গুল্ম জাতীয় শস্য পানের ক্ষেত্রে তা হচ্ছেনা। সমস্যায় যেমন পান চাষিরা তেমনি পান প্রিয় মানুষরা।
লকডাউন প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল, আরো কত দিন থাকবে সে বিষয়ের ও কোনো নিশ্চয়তা নেই।  তাই আতঙ্কের প্রহর গুনছে পূর্ব মেদিনীপুরের  কয়েক হাজার পানচাষি।মূলত পানের যোগানের প্রায় ৯০% এই জেলাতে হয়।এই পান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিন রাজ্য ও ভিন দেশে ও রপ্তানি করা হয়।লকডাউনের ফলে জেলার সমস্ত পান মন্ডি বন্ধ। চাষীরা তাদের পান  পাঠাতে পারছেনা। তাই  গাছেই পাতা নষ্ট হচ্ছে।অনেক চাষি আবার গাছ বাঁচাতে পাতা তুলে ফেলে দিচ্ছে। লকডাউন এর ফলে লেবার সমস্যায় পড়েছে পানচাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় 16টা পান মার্কেট রয়েছে যেখানে চাষীরা তাদের পান বিক্রি করতে আসে। সব মার্কেটে এখন বন্ধ রয়েছে। সবথেকে বড় সমস্যা বেশির ভাগ চাষি ই গাছে পান পাতা রেখে দেয় মার্চ ও এপ্রিল মাস বাজারে বিক্রি করার জন্য।কারন এই সময় ই পানের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়।এই দুই মাসের পান বিক্রির টাকা দিয়ে তার সংসারে আভিজাত্য আনার অনেক স্বপ্ন দেখে,। তার ফলেই মাথায় হাত চাষিদের। কি হবে?  কি করে সংসার চলবে এই চিন্তাতেই তাদের কপালে ভাঁজ। বেশির ভাগ চাষিই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে পান চাষ করে।পান বিক্রি করতে পারছে না লোন মেটাবে কি করে?  লকডাউন যত দীর্ঘ হবে চিন্তা আরও ওদের গ্রাস করবে।অনান্য জিনিস কেনার টাকা মেটানোর EMI তিন মাস বাড়ালেও লোন মেটানোর টাকা মার্চ মাসের শেষে কিংবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই দিতে হবে।যেখানে সংসার চালানোর পয়সা নেই সেখানে লোন মেটানো? পানচাষিদের পাশাপাশি যারা পান ব্যবসা করে তারাও সমস্যায় পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পান বিভিন্ন রাজ্যে যায় পাশাপাশি বাংলাদেশেও সবথেকে বেশি পান যায় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। লকডাউন এর কারণে সমস্তটাই বন্ধ। হলে মাথায় হাত পান ব্যবসায়ীদেরও।
করোনা আতঙ্কের থেকেও লকডাউন আতঙ্ক ওদের তাড়া করছে বেশি।