Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাসিওপিয়া-সাহিত্য-পত্রিকা-দৈনিক-সেরা-সম্মাননা

#  দৈনিক সেরা কলম সম্মাননা
     প্রতিযোগিতা পর্ব (১০ )।
#  বিষয়   : উন্মুক্ত।

#  কবিতা -- সে দোষ সময়েরও।
   # শম্পা দাশগুপ্ত (মল্লিক)।

গোলাকার পৃথিবী ঘুরে চলেছে আবর্তে । 
  দিনের শেষে ক্লান্ত সুর্যের মুখচ্ছবির সাথে
দূরাগত সে ন…


#  দৈনিক সেরা কলম সম্মাননা
     প্রতিযোগিতা পর্ব (১০ )।
#  বিষয়   : উন্মুক্ত।

#  কবিতা -- সে দোষ সময়েরও।
   # শম্পা দাশগুপ্ত (মল্লিক)।

গোলাকার পৃথিবী ঘুরে চলেছে আবর্তে । 
  দিনের শেষে ক্লান্ত সুর্যের মুখচ্ছবির সাথে
দূরাগত সে নামখানি এলো কানে ভেসে
ঝড়ের বেগে মেঘ উড়িয়ে দাঁড়াল ঠিক পাশে।
টেনে নিয়ে চললো আমায় মেয়েবেলায়
ফেলে আসা দিন গুলির দ্বিতীয় এক ভাগে।

 নিতান্তই সে আমার অবুঝ জীবনযাপন
 বাড়ির শাসন ছিলো কড়া খুবই তখন।
 না ছিলো সাহস , না স্মার্টফোন,
ছিলো না উপায় তাই মেলা হয় নি ডানা।
নিজের মধ্যে গুটিয়ে ছিলাম নিজেই,
মুখ তুলে আকাশ দেখার ও
সাহস ছিলো না কোনো।
কল্পনা আর স্বপ্ন দেখা ? ওরে বাবা!!!
Possible ছিলো না তখনও।

তবু ডাকে এলো চিঠি!!
আমার নামে; ভয়ার্ত আমি !
তবু খুশি হই। ভীষণ খুশি! তবে চুপিচুপি।
কে জেনো পাঠিয়েছে আমায় এক ঝাঁক বৃষ্টি
বন্ধ এক খামে। আমারই তো নামে !
আমি সে চিঠি হাতে পেয়ে,
প্রথমে ভয়ে,বিষ্ময়ে তাকাই এদিক ওদিক।  চাপা ভালোলাগা ক্রমে এসে মেশে।
দুরু দুরু বুকে, খুলে ফেললাম খাম।
একি দেখি!!
এতো New year greetings !
ভিতরে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা
প্রিয় ,   'মেঘবালিকা '
 চিনলি আমায়? মেঘ নই সূর্য নই, ইতি ---
 'তোর শান্তনু ' লেখা।

নীল রঙের উপর সাদা বর্ডার,
ভিতরে ফুলের সমারোহ,
সে ছবির আকারটা পান পাতার ও
মনে আছে এখনো,,   
 সূর্যের দিকে মুখ তুলে যেই বলি জানো ??
জানাই ছিলো না তখন ও,
ওটা ভালোবাসারই  চিহ্ন।
পরন্ত বিকালেও সূর্য আমাকে ঝলসে দিলো।
হারানোর ভয়টা হিংসে হয়ে আমাকে ছুঁলো।

তাকে আশ্বস্ত করে বলতে থাকি,
 শোনো কথা ,,গ্রিটিংস পেয়ে জমানো ছিলো
 আমার তখন hobby।
এখন ও তার কিছু খুঁজলে মিলে যাবে ঠিক।
তবে এখন নেশা গেছে কেটে,
অবশ্যই তা বাস্তবতার চাপে।
আজ ও জমাই কিছু কিছু।
প্রতিনিয়ত পাওয়া যে ব্যথাগুলো
ছাড়তে চায় না পিছু ।

বয়েস যে বাড়ছে , সেটা বুঝি তখন ,
পুরোনো স্মৃতি হঠাৎ করেই যখন
 ব্যথিত হৃদয়ে একঝাঁক ঠান্ডা স্পর্শ দিয়ে, যায় হারিয়ে , বা পরে থাকে দেরাজের ফাঁকে
 বাস্তবতার রুক্ষতায় পারিনি রাখতে ধরে
সেই একটুতে খুশি হওয়া মেয়েবেলাটা কে।
 কবেই তাই গেছে সেটা ঝরে।
আজ দিনান্তের ক্লান্ত অবসরে
তোমার মুখের দূরাগত ডাকে
সেই নাম ভেসে এসে,হঠাৎ ই মনে পড়লো
সেই কবে পাঠানো তার চিঠির কথা।

উদাস নয়নে চেয়ে থাকি দূরে,
ভেসে যাওয়া মেঘেদের মাঝে
 অতীতের সে বেহাগ, সকরুণ সুরে
 বেজে ওঠে আজও পাঁজরে পাঁজরে।
সেদিনের ভালো লাগার প্রাপ্তি টুকু,
 এখন ও রয়ে গেছে, মনের কানাচে,
 তুই ও  যে ভালোবেসেছিলি
 আজ তা আবার বুঝালি।
কিন্তু  তুই কেনো বুঝিস নি
ভালোবাসতে তখন ও শিখতে পারিনি আমি,
বুক জুড়ে ছিলো শুধু ভয়,
কিছু না থেকেও তবু অগোচরে যেন কি রয়।

তাই যেদিন তুই বলতে এলি,
ভালোবাসিস ! ভালবাসিস আমায়..!
নিতান্তই অবহেলা ভরে
 দিয়েছিল নির্দয় মন তোকে ফিরিয়ে।
 যেনো ভালোবাসা অন্যায় কোনো
 ভালোবাসার অধিকার তোর, সেও আমায়!
 ফিরিয়ে দেওয়ার নিষ্ঠুরতা
 জমে আছে আজও এক কোনায়।

আজ জীবনের সায়াহ্নে এসে,,
দুরে দিগন্তের ওই পাড়ে থাকা,
শান্ত, সমাহিত, ক্লান্ত সূর্যকে ভালোবেসে,,
 বলতে চাই বারবার,
 একটি কথাই শুধু, "ক্ষমা কোরো।"
ভালো না বাসতে শেখার দোষ  সময়েরও।