Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অপু-দুর্গা-সাহিত্য-পত্রিকা-বিজয়ী-লেখনি-সম্মাননা

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা, পর্ব–১৬
বিভাগ–পদ্য কবিতা
শিরোনাম–অলিন্দ যুদ্ধ
সৃজনে–অমিত মণ্ডল
তাং–০৭/০৭/২০২০

বাংলা মার দুর্নিবার তিনটি সন্তান,
মুখে তাঁদের সর্বদা মাতৃ জয়গান।
একসাথে নামগুলি হয় উচ্চারিত,
বিনয়-বাদল-দীনেশ নামে সূচিত।
অত্যাচ…


সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা, পর্ব–১৬
বিভাগ–পদ্য কবিতা
শিরোনাম–অলিন্দ যুদ্ধ
সৃজনে–অমিত মণ্ডল
তাং–০৭/০৭/২০২০

বাংলা মার দুর্নিবার তিনটি সন্তান,
মুখে তাঁদের সর্বদা মাতৃ জয়গান।
একসাথে নামগুলি হয় উচ্চারিত,
বিনয়-বাদল-দীনেশ নামে সূচিত।
অত্যাচারী সিম্পসনে করিবে নিধন,
দৃঢ় চিত্ত হয়ে করে শপথ গ্রহণ।
উনিশ শত তিরিশ আট ডিসেম্বর,
পকেটে নিয়ে গুলিভর্তি রিভলবার;
ব্রিটিশের ছদ্মবেশ করিয়া ধারণ,
নিরাপত্তা বেষ্টনীকে করিয়া ছেদন;
মহাকারণের মধ্যে করিল প্রবেশ।
কারারক্ষী সিম্পসন হইল নিকেষ।
রিভলবারের গুলিতে বক্ষ বিদ্ধ করে,
গুলিবিদ্ধ শয়তান লুটে ভূমি পরে।
ব্রিটিশ পুলিশ ধায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে,
সম্মুখ সমরে লড়ে তাহাদের সাথে।
অসম লড়াই তাঁরা করে প্রতিহত,
‛অলিন্দ যুদ্ধ’ নামে যা ইতিহাসে খ্যাত।
হঠাৎ রিভলবারের গুলি হল সারা,
প্রাণ দেবে তবু তাঁরা নাহি দেবে ধরা;
পটাশিয়াম সায়ানাইড বিষ পানে,
বাদল ত্যাজিল তাঁর প্রাণ খুশি মনে।
বাকী দুইজনে করে নিজ মাথে গুলি,
রিভলবারের গুলিতে বিদ্ধ হয় খুলি।
আহত বীরদ্বয়কে নিয়ে গেল ধরে,
মেডিকেলে তাঁদেরকে দেয় ভর্তি করে।
বিনয় বিষাক্ত করে মস্তিষ্কের ক্ষত,
তেরো ডিসেম্বর হয় পরলোকগত।
দীনেশ সুস্থ যখন একবছর পরে,
ফাঁসির আদেশ হয় ফিরিঙ্গি বিচারে।
জুলাই সাত তারিখ আলিপুর জেলে,
ফাঁসি-মঞ্চে প্রাণ গেল চিরতরে চলে।
এই তিন মুক্তিযোদ্ধা চির স্মরণীয়,
দেশের জন্য শহীদ রবে বরণীয়।
শত শহীদেরা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে,
এদেশের স্বাধীনতা এনেছে ছিনিয়ে।