সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব -১৫
বিষয় -মজার ছড়া
তারিখ -৪|৭|২০
পরশ পাথর
সাইদীপা বসু
চলতে চলতে থমকে গিয়ে
দৃষ্টি গেল সেথায় ,
চকচকে গোল পাথর এক
পড়ে পথের কোণায়।
টুক করে নিলাম তুলে
কেউ দেখার আগে,
বেশ দেখতে পাথর খানি
যত্নে রাখি …
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব -১৫
বিষয় -মজার ছড়া
তারিখ -৪|৭|২০
পরশ পাথর
সাইদীপা বসু
চলতে চলতে থমকে গিয়ে
দৃষ্টি গেল সেথায় ,
চকচকে গোল পাথর এক
পড়ে পথের কোণায়।
টুক করে নিলাম তুলে
কেউ দেখার আগে,
বেশ দেখতে পাথর খানি
যত্নে রাখি ব্যাগে ।
বাড়ি ফিরে ভুলেই গেছি
পাথরখানির কথা,
ফাই ফরমাশ খাটছি শুধু
লকডাউনের গোঁতা।
ভুলে গেছি দুটো মশলা
ছিল গিন্নির ফরমাশে ,
ব্যাগ ঝেড়ে পরীক্ষা করে
পাথর মেলে অবশেষে ।
এটা আবার কী, যত্তোসব
ফেলছিল ওটা ছুঁড়ে,
করো কী , করো কী বলে
টেবিলে রাখি ঝেড়ে ঝুড়ে।
চমকে গেলাম কর্তা গিন্নী
হঠাৎ একী দেখি ,
হলুদ বরণ টেবিল খানি
বদলালো রূপ একি !
টপাস করে তুলে নিয়ে
ভ্রূ কুঁচকে তাকায় ,
সিঁধেল চোর পড়েছে ধরা
এমন ভাবটি বোঝায়।
কোথায় পেলে এই বস্তুটি
বলি , পথের ধারে,
গিন্নি গেলেন রান্না ঘরে
পাথর হাতে ধরে ।
হাড়ি , কড়া ,খুন্তি, হাতা
সবই যে ঝলমলে,
কী কান্ড এ যে দেখি
পরশ পাথর আনলে ।
আনন্দেতে ডিগবাজি খাই
তাইরে নাইরে বলে,
সোনায় মোড়া জগত আমার
পাথর খানি ছোঁয়ালে।
এত সোনা কোথায় রাখি
ই-ডি যদি ধরে,
কী গেরো, তখন কি জানি
এমন ফ্যাসাদ হবে ।
ঘুম ছুটেছে কেরানির
মুখটি করি বেজার ,
ঝলমল করে ঘর দুয়ার
সুখ পগার পার ।
পিঠের কাছে দিচ্ছে গুঁতো
কণ্ঠ অতি সুরেলা,
বলি , আপিস বন্ধ বলে
ঘুমিয়ে কাটবে বেলা।
খাটের পাশে খুঁজি তারে
করছি না মশকরা,
হায় রে আমার পরশ পাথর
কেন দিলি না ধরা !!
