দৈনিক প্রতিযোগিতা
বিভাগ- গদ্য কবিতা
শিরোনাম- "উল্টো রথের যাত্রী"
তাং- 30/06/2020 খ্রিস্টাব্দ
------------------------------------------
আমার কবিতা
"উল্টো রথের যাত্রী"
অমল কুমার ব্যানর্জী
30/06/2020
----------…
দৈনিক প্রতিযোগিতা
বিভাগ- গদ্য কবিতা
শিরোনাম- "উল্টো রথের যাত্রী"
তাং- 30/06/2020 খ্রিস্টাব্দ
------------------------------------------
আমার কবিতা
"উল্টো রথের যাত্রী"
অমল কুমার ব্যানর্জী
30/06/2020
----------------------------------------------------------------
সুখ পাখিটা দুঃখের দিনে সুখের কথা বলে
মনকে শান্তনা দেয়,
জীবন তরঙ্গে সুখ সাগরের নাব্যতা মাপতে গিয়ে দেখি শুধু বালুচর।
দুঃখ সাগরের অতলে তলিয়ে গেছে সুখ সাগরের ইতিকথা,
সুখ বাতিটার রসদ ফুরিয়ে গেছে, জ্বলছে কি না ঠাওর করতে পারছি না।
সন্ধের শেষ ভাগে রাত্রি আসে, জোনাকিরা আপ্রাণ চেষ্টা করে সুখ বাতিটা জ্বালিয়ে রাখতে।
ওদের শরীরের রেডিয়েশন আলো ছড়ায়।
সুখের কথা আজ আর মনে পড়ে না।
সে আজ বহুদিন সমাধিস্থ দুখ নামক সমুদ্র গহ্বরে।
দুঃখের আসে পাসে সবাই সুখের সন্ধান করে বেড়াই হন্যে হয়ে।
সন্ধে হয়ে আসে, জীবনের সাঁঝবাতির তেল শেষ হয়ে গেছে,
নদীর পাড়ে ভগ্ন শিবমন্দিরে বসে অন্ধ দীননাথের দিব্য চক্ষু দেখে-
শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী নারায়ণ দাঁড়িয়ে তার পাসে।
চল দীননাথ, সারাজীবন তোর নামের মূল্য তো তুই পাসনি,
আমি দীন আমিই নাথ, আমি যে তোর দীননাথ।
অন্ধ দীননাথের দিব্য চক্ষু দিয়ে জল ঝরে পড়ে।
আনমনে গেয়ে চলে, জীবন আমার হয়নি শুরু,
সন্ধে আমার জীবন ভরে, এবার প্রভু নিয়ে চল
ভবনদীর পারাবারে।
আমি আজও আধো ঘুমের মাঝে দেখি অনাথের নাথ দীননাথকে।
প্রশ্ন করি, কে তুমি, তুমি তো অন্ধ বধির কাপুরুষ ?
তুমি কি দেখতে পাও সমাজে অত্যাচারের শৃঙ্খল ?
তুমি কি শুনতে পাও আর্তের আর্তনাদ ?
তোমার সুদর্শন চক্র কি আজও পারে অন্যায়ের প্রতিকার করতে ?
নিশ্চুপ নিথর ভাবে দাঁড়িয়ে শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম হাতে।
ভিলদের ছেলেমেয়েগুলো আজও খেলা করে ওগুলো নিয়ে,
আমি যে দীননাথকে দেখি, সে তো আজ উল্টো পথে উল্টো রথের যাত্রী,
পরিহাস আজ পরিণতি খুঁজে মরে।
অমল কুমার ব্যানর্জী
Copyright reserved
30/06/2020