Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনা গুজবে অতিষ্ঠ তমলুকের সুচিকিৎসক

করোনা গুজবে অতিষ্ঠ তমলুকের সুচিকিৎসক। বাড়ির কাজের মেয়ে, গৃহশিক্ষক, এমনকি গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত আসছেন না চিকিৎসকের বাড়ি।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে। ডক্টর অলোক শী।২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর…


করোনা গুজবে অতিষ্ঠ তমলুকের সুচিকিৎসক। বাড়ির কাজের মেয়ে, গৃহশিক্ষক, এমনকি গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত আসছেন না চিকিৎসকের বাড়ি।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে। ডক্টর অলোক শী।২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রাইভেটে চেম্বার করছেন তমলুক শহরে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীদের চিকিৎসা করেন।২০০৪ সালে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি থেকে MS এ প্রথম হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র গোল্ড মেডেল পরিয়ে দেন চিকিৎসক অলোক শী গলায়। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা করার ফলে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী শংসাপত্র দিয়েছিলেন চিকিৎসক অলোক শী কে। গত কয়েকদিন ধরে গুজব রটেছে ডাক্তার অলোক শী র করোণা পজেটিভ হয়েছে। এরপর থেকে লাগাতার ফোন আসতে থাকে চিকিৎসকের বাড়িতে। কোণঠাসা হয়ে পড়ে চিকিৎসক। এই গুজবে সাড়া দিয়েছেন খোদ চিকিৎসকের বাড়িতে আসা পরিচারিকা, মেয়ের গৃহশিক্ষক, এমনকি গাড়ির ডাইভার পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসকের বাড়িতে কেউ আসছেন না। ফলে একরকম সামাজিক বয়কট এর মতই দিনযাপন করতে হচ্ছে সুচিকিৎসক অলোক শী সহ পরিবারকে। বাধ্য হয়ে সংবাদমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়েছেন চিকিৎসক। রাজ্য নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। যারাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেই এভাবে অপপ্রচার মেনে নেওয়া যায় না।