Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কবিতা-কুটির-সাহিত্য-পত্রিকা-সাপ্তাহিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

এ দেশ,এ সময়
অনমিত্র সান্যাল
২৪ /০৭ /২০২০
বাস্তবিক  শূন্যতা, এলোমেলো তাৎপর্যহীন বিকেলের মতো গাঢ়, অথচ জড়িয়ে ধরতে পারবে না,শীতের সন্দিগ্ধ বাতাসের মতো ছ্যাঁকা আছে। 
এখন আবার আকাশজোড়া ধুমকেতু ফুটে আছে,অবিশ্বাস-কে স্বচক্ষে দেখলেও,প্রত…



এ দেশ,এ সময়

অনমিত্র সান্যাল

২৪ /০৭ /২০২০

বাস্তবিক  শূন্যতা, এলোমেলো তাৎপর্যহীন বিকেলের মতো গাঢ়,
অথচ জড়িয়ে ধরতে পারবে না,শীতের সন্দিগ্ধ বাতাসের মতো ছ্যাঁকা আছে। 

এখন আবার আকাশজোড়া ধুমকেতু ফুটে আছে,অবিশ্বাস-কে স্বচক্ষে দেখলেও,প্রতিহিংসার কোনো সুস্পষ্ট
ঈশারা পাবে না,কিন্তু বুকের পাটাতনে আঁচ পাবে...
ভালোবাসা এখন পাঁজর ফাটিয়ে উদ্বেল। 

যদি ধর্মপুত্র হতে চাও তবে মাদল বাজিও না,শঙ্খ বাজাও,মিথ্যে বাজাও শব্দের আড়ালে,
ঘন্টা বাজিয়ে পুষ্প নাও হাতে,
প্রদীপ জ্বেলে সিদ্ধি  নাও,
প্রসাদী বিল্বপত্র দাও,সরস্বতী বীণা-য়,বেজে ওঠো সুপ্তি  দুপুরে,

এ পুজোটা সেরে নাও,ও পুজোটা তোলা থাক,পাশ্ববর্তী নারী হ্রদ হলে,চর খুঁজে পেতে,বিচ্ছিন্ন সন্ধ্যের পর,উপাসনা স্থগিত রেখোনা,কক্ষ বদলে নিও।

চারনীর তথাস্তু মন্ত্রে,সুবিচার বিগ্রহ দিয়েছে,
বিদ্যা, বিশ্রাম নয়,ধর্মপুত্রও সৃষ্ট পাপে    "রক্ষা করো... " বলে নির্দিষ্ট তিথিতে...
ধর্মান্ধ মিত্রতার মিথ্যে ব‍্যাভিচার..
সন্ন্যাসী-র ভান,সব সত্য উলঙ্গ আজ,ক্রমাগত মিথ্যের পাহাড়ে।

ধর্মের অশ্বথামা আজ বিপুল গিলেছে,
অন্ন-ভার, দেহে মনে উত্তরের শীর্ণ বীরাসনে,নির্লজ্জ ব‍্যয়ভারে দগদগে ঘা
অর্থনীতি কবেই পচেছে...!

কৃষ্ণের ফুৎকারে যে শঙ্খ অছিলায় বাজে,
সেখানেও কপটতা,
পাঁজি পুঁথি,বন্ধ কবিতার খাতা,
খানাখন্দে আলগা পড়ে নষ্টসুখ,মুখ গুঁজে ধন্বন্তরী লাগামে বেঁধেছে। 

যে ধর্মে অস্তিত্ব সঙ্কট,যে ধর্মে ধস্তাধস্তি, চুরমার  সাহস,সে ধর্মে ঘট নেই,
প্রেম শুধু পাথর,দেশ যেন পিতৃদত্ত ভীষণ আত্মজ,দেশপ্রেমের কৃত্রিম প্রজনন গনতন্ত্রের বদ্ধভূমিতে...

বজ্রকন্ঠ কেউ নেই,
পৃষ্ঠে পৃষ্ঠে শ্যাওলা সবুজ,অনর্থের দমবন্ধ ধোঁয়া,
আমি তাকে শুদ্ধ হস্তে অবসাদ  ধার  দিতে পারি..সর্বনাশের সাতকাহন 
মুখরতা বধির করেছে।

এর চেয়ে চালু পথে জলে নেমে গেলে,
কিম্বা শুদ্ধ  হাওয়ায় কিছু পুস্তিকা  উড়োলে,বিপনন 
চিত্রপটে আকাঙ্ক্ষা  বিলোতো,
বালি ধুয়ে ঝিরঝির জলে ধর্ম ধুয়ে যেত,

মনের ছায়ায় বসে আর একটু ঋষি হলে পারতে,
সম্ভ্রান্ত  পোষাক পরেছো,অথচ দিব্যি  উলঙ্গ  মন,
মানুষের জীবিকাকে পণ্য করে মিত্রতার খোলসে,
মিথ্যাচারে বেদনা ভরেছো...ধর্ম দিয়েছো ঠুসে,

পরিণাম....যে জানে সে জানে,
ধর্মের শীত সরে গেলে, সব খুচরো লুটোবে মাটিতে ,
অস্থির  প্রাঙ্গনে...ফুসফুসে জল জমে আছে...মুক্তি তোমার রোয়াকের কাপড় টাঙানো তারে লটকানো চাঁদ নয়..

"উলুবনে মুক্তো ছড়িও না..." ছ-শো তালি,হাজার জোড়া জুতো কুচকাওয়াজ তুলে বললো..
" ক্ষান্ত দেশপ্রেম...!! 
যা যা.. তোর মা-কে আজ চিতায় তুলেছি,
ভস্ম হলে নিয়ে যাস..প্রসূতি বিভূতি.. গঙ্গা-যাত্রা শেষ করে, প্রসন্ন বিয়োবি...।"

আমার কেউ সঙ্গী হয়নি ভুলেও, আকাশ জোড়া তারা,এমনকি হেরে যাওয়া মানুষের মিছিল-ও...

আমি এখন কংক্রিটের বাঁধানো ছাদের নীচে প্রখর দিনের আলোকে আড়াল দিয়েছি...এখন আমি অন্ধকার ভালোবাসি...

তবুও এসো একদিন...

যেখানে মধ্যাহৃ পুড়ছে,
নির্জন দুপুর আলোর ফাঁকে দুলছে,
যেখানে হাজার প্রতিভা বৃত্তমধ্যে ঘুরপাক খায়,
সেখানে গিয়ে দাঁড়ায়,
ওখানে সোনার সন্ধান  আছে , 
ব‍্যর্থ তিমিরে কাব্যপাঠ নয়,কোনো ধর্ম যুদ্ধ নয়। 
আত্মহনন,প্রয়োজন ছিল খুবই,
দেশের প্রতিমা,বদলে গিয়েছে সবই
বদলে গিয়েছে অনুষ্ঠানের ছবি । 

স-বুদ্ধ শ্বেতশুভ্র পোষাকেও এত ঈর্ষা এত নগ্নতা ,
দু-চোখে তার এত গরল,
ইচ্ছে করে অগ্নি হয়ে জ্বলি,
ইচ্ছে করে প্রতিহিংসা-য় গলি।