|| এক শতাব্দী ঘুম |||| বিষয় : রম্য রচনা |||| লেখক : চন্দন চক্রবর্তী |||| তারিখ : 09.08.2020 ||
একটা স্বজনহারা শকুন মনে চাপা ক্ষোভ নিয়ে উড়ে যাচ্ছিল নীল আকাশকে অতিক্রম করে । একটা ভিটেহারা কাক বিষাদে উড়ে শহর অতিক্রম করছিল ।
ঠিক তখনই …
|| এক শতাব্দী ঘুম ||
|| বিষয় : রম্য রচনা ||
|| লেখক : চন্দন চক্রবর্তী ||
|| তারিখ : 09.08.2020 ||
একটা স্বজনহারা শকুন মনে চাপা ক্ষোভ নিয়ে উড়ে যাচ্ছিল নীল আকাশকে অতিক্রম করে । একটা ভিটেহারা কাক বিষাদে উড়ে শহর অতিক্রম করছিল ।
ঠিক তখনই মুখ গোমড়া কালো মেঘ আকাশ ঢেকে দিতেই ওরা আশ্রয়ের খোঁজে নেবে এলো একটা ঘন প্রতিবাদী বটের পাতার আড়ালে ।
শকুনটা মনের দুঃখে কাককে জানাচ্ছিল তার ব্যথার কথা । কাক শুনে সেই একই গল্প তাকে বলছিল । বটও ওদের কথা শুনে নিজের দুঃখের কথা ভাবছিল ।
হঠাৎ বট রেগে গেল । অন্যায়ের প্রতিরোধ না করে তাদের আজ এই অবস্থা ! তাদের কেটে,ছেঁটে কিভাবে অত্যাচার হচ্ছে । সে ফুঁসে উঠে মেঘ কে বলল তার মনের কথা ।
মেঘ সব শুনে ভাবলো,তারও আজকাল শ্বাস ফেলতে বুক ভারী হয়ে যায় । না এভাবে আর পারা যায় না । মেঘ বিষণ্ণ ঝড়কে ডাকল ।
ঝড় সব শুনে ভাবছে তার দুরাবস্থার কথা । দালান কোঠায় বাধা প্রাপ্ত হয়ে তার কি করুন অবস্থা । এবার এসব বন্ধ করতে হবে !
সবাই ভাবছে,এতদিনে যখন এত জনকে সমব্যথী পাওয়া গেছে,একটা একযোগে প্রতিবাদ হয়েই যাক ।
ঝড় উঠল,আপ্রাণ বইতে লাগলো । মেঘ সজোরে জল ঝরাতে লাগলো ।
ফল ?
শকুন মরল,মরল কাক । বটের ডাল ছেঁটে,নেড়া করে,এক সময় ঝড় থামল ।
ঝড়ের সারা গায়ে ছাল উঠে,মাথায় বারি খেয়ে ফুলে উঠেছে ! মেঘ সব জল ঝরিয়ে কাঁন্না ভুলেছে । তার চোখের জল ফুরিয়েছে ।
প্রতিবাদ,প্রতিবাদকে উপহাস করে বলল ,খুব লেগেছে তাই না ! এবারের মত চুপ যা । সামনে তোদের সোনালী দিন উপহার দেব । সময়ে একটু দেখিস আমাকে ।
ভাবিস না ভুলে গেছি । তোদের জন্য রিলিফ আসছে ।
শুনেই সবাই আলাদা হয়ে গেল । কেউ কেউ হাত গুটিয়ে ঝোল টানার অপেক্ষায় রেডি হয়ে রইল ।
রিলিফটা পেলে ওরা নিজেরাই কামড়া কামড়ি করবে ।
তারপর ?
যেন কোন সরীসৃপ এক শতাব্দী লম্বা ঘুম ঘুমাবে ।