সঙ্কটজনক অবস্থাতে পাঁশকুড়া কভীড হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় মৃত্যু হল রোগীর। অভিযোগ পরিবারের।। তমলুক জেলা হাসপাতাল কোন রিপোর্ট হাতে না দেওয়ায় দীর্ঘক্ষন পরিবার বসে রইল জেলা হাসপাতালের বাইরে।।
কয়েকদিন ধরেই জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিল…
সঙ্কটজনক অবস্থাতে পাঁশকুড়া কভীড হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় মৃত্যু হল রোগীর। অভিযোগ পরিবারের।। তমলুক জেলা হাসপাতাল কোন রিপোর্ট হাতে না দেওয়ায় দীর্ঘক্ষন পরিবার বসে রইল জেলা হাসপাতালের বাইরে।।
কয়েকদিন ধরেই জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন পাঁশকুড়ার গোগ্রাস গ্রামের 65 বছর বয়সের এক ব্যক্তি। কয়েকদিন পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।,প্রথমে রোগীকে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় এবং রেপিড টেস্ট করা হয়।পরে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় রিপোর্ট আসতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।তার কিছু সময় পরেই হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় রোগীর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে । জেলা হাসপাতাল থেকে পাঁশকুড়া নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়। পাঁশকুড়ার বড়মা কোভীদ হাসপাতালে যাওয়ার পর সেখানে বেড খালি না থাকায় রোগীকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।সেখান থেকে রোগীকে চন্ডিপুরে বা অন্য কোন কোভিদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় ।ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালের সামনে মৃত্যু হয় ওই রোগীর। পাঁশকুড়া থেকে মৃতদেহ পরিবারের লোকজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সারা রাত্রি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে মৃতদেহ পড়ে থাকে। এদিকে মৃতের বৌমা এবং মেয়ে দুজনেই কি করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মৃতদেহ কে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কোন কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে দুই মহিলা। পরে মৃতদেহটি তমলুক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এখনো পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় পরিবারের দুই মহিলা জেলা হাসপাতালের বাইরে বসে রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারে সুচিকিৎসার কথা বললেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের চিত্রটা আলাদা।