জীবনটা যখন হাল ছেড়ে দেওয়া নৌকোর মতো ভাসতে ভাসতে চলতে থাকে তখন সেই চলায় বৈচিত্র্য থাকেনা,সেই চলায় নতুনত্ব থাকে না,সেই চলার মধ্যে হঠাৎ করে কিছু পাওয়ার থাকেনা একটা সময়ের পর থেকে। থাকে সাময়িক কিছু আনন্দ, কিছু উদ্দীপনা , রোজক…
জীবনটা যখন হাল ছেড়ে দেওয়া নৌকোর মতো ভাসতে ভাসতে চলতে থাকে তখন সেই চলায় বৈচিত্র্য থাকেনা,সেই চলায় নতুনত্ব থাকে না,সেই চলার মধ্যে হঠাৎ করে কিছু পাওয়ার থাকেনা একটা সময়ের পর থেকে। থাকে সাময়িক কিছু আনন্দ, কিছু উদ্দীপনা , রোজকার একঘেয়েমি কাটানোর কিছু সাময়িক উপাদান।এইভাবে হেলতে দুলতে জীবনের নৌকা একসময় নোঙর বাঁধে কোনো আঘাটায় , সেখানে এসে বলে হাল তো ছিল , কিন্তু সেই হাল ধরে নৌকা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তোমার হাতে,মনের আনন্দে তুমি হাল ধরতে পারলে জীবনে আনন্দ নিতে পারবে আর না ধরলে ঐ দিনগত পাপক্ষয়ের বোঝা বয়ে বেড়িয়ে একসময়ে পরপারে পাড়ি!
বেশির ভাগ মানুষই সেইভাবেই চলে যেখানে ক্ষণিকের আনন্দ আর সংসারের যাঁতাকলের দীর্ঘ একঘেমির পথ ধরে এবং সেটাই স্বাভাবিক।
কখনো কারো জীবনে ভাঁটায় চলা নৌকায় হঠাৎ জোয়ার এসে যায় যেটার জন্য জীবন নৌকাও হয়ত তৈরী থাকেনা ,যে আসাটা তার নিজের কাছেও অনেকটা ঢেউয়ের মতো যেটায় তিরতির করে বয়ে চলায় ছন্দ আছে কিন্তু বানে ভাসিয়ে নেওয়ার মতো ছন্দপতন থাকেনা!
একটা মানুষ তার স্বল্প পরিসরের জীবনে নিজেকেই হয়তো পুরোপুরি চিনে উঠতে পারেনা! অবচেতনে অনেক কিছুই হয়তো সুপ্ত থাকে যা না খুঁজে পাওয়ার জন্য পরতে পরতে পলি জমে কখন যেন মোটা আস্তরণ পরে যায় ফলত তার গভীরতার তল হয়তো সারাজীবনে খুঁজে পাওয়াই যায়না।
এইভাবে চলতে চলতে হঠাৎ কারুর জীবনে কোনো দমকা হাওয়া এসে উড়িয়ে দিয়ে বলে চল ভেসে যাই এক এক করে ট্রপোস্ফিয়ার,আয়নোস্ফিয়ার,হোমোস্ফিয়ার,অতিক্রম করে । যেখান দিয়ে যেতে যেতেই সেই অচেনা নিজেকে হয়তো খুঁজে পায় কেউ,ফিরে পায় বেঁচে থাকার আনন্দ।
সেই আর এইয়ের মধ্যে হয়তো ফারাক হয়ে যায় অনেক।
#স্বরূপা