Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাসিওপিয়া-সাহিত্য-পত্রিকার-দৈনিক-সেরা-সম্মাননা

নাটোরের সুখে উদ্ভাসিত কান্নার রোল!---------------রমেন মজুমদার১৪/১০/১৯একদিন ক্ষয়ে ক্ষয়ে গলে গেছে বরফের চাই !বন্দি অরণ্যে বিশাল রাজ আসন---উদ্যানে ঘেরা গাছেদের পসলার আয়োজনসন্মুখে নিখাদ সরোবর,তবু ওঠে কান্নার রোল নির্জন মহল থেকে......…

 


নাটোরের সুখে উদ্ভাসিত কান্নার রোল!

---------------রমেন মজুমদার

১৪/১০/১৯

একদিন ক্ষয়ে ক্ষয়ে গলে গেছে বরফের চাই !

বন্দি অরণ্যে বিশাল রাজ আসন---

উদ্যানে ঘেরা গাছেদের পসলার আয়োজন

সন্মুখে নিখাদ সরোবর,

তবু ওঠে কান্নার রোল নির্জন মহল থেকে.......

পেছনে রাজপরিবার, রাজদরবারে বন্দি মহল।।


যাকে নিয়ে এত ইতিহাস,

আমি সেই, আমি সেই বন্দি কাব্য গাঁথা অমর বন্ধন!

সময়ের কাল চক্রে বন্দি জীবন কাটাই----

রাতগুলো ফিকে হয়ে যায় দহিত যন্ত্রনায়,

পা'ছুড়ে মারি তখন পালংকের উপর !

একদিন কাব্যগাঁথা কবিদের সরস, আমি সেই নারী!

নাম রাখে বনলতা সেন !


রাতগুলো দক্ষিণ্যের পসার বসায় চাঁদনী জোছনায়,

ঢেউ খেলে দুইতীরে আমার যৌবন !

চিরে চিরে খায় রাজা যমুনার জল ; 

যত ইচ্ছা ঢেউ তুলে সাগর সমাপনে---

একদিন দক্ষিণ্যে দেয় ইচ্ছার ভান্ডার !

লুফে নেয় কৃপা করে জীবনানন্দ দাস ---

কাব্য বাসরে সেই মহান শ্রষ্ঠা কবিতার সমাধি !!


রাত নামলেই আমি হতাম সরোবরে গা'ঘেঁষা 

বাগিচার সফর সঙ্গী, 

দিন হলে মহলে কড়া প্রহারা !

খেজুর ও বাতাবির ঝোপ আলাপনে ধীরে ধীরে 

রেখে যেতাম  চরণের  চিহ্ন !

রাজন্যর সাথে আমিও স্বপ্নচারি রাতের কুহুক !

সময়ে সময়ে আলতো হাতে বোলানো চমক

চমকে দিত আমার  সমস্ত শরীর !


অবগুণ্ঠিত মস্তক উন্মোচন করে স্বাক্ষী হতাম

কোনো এক আরবের কুহুক রজনী !

রোমাঞ্চিত হতাম নদী থেকে সাগরে মিশে ----

মহামান্য আমার সহস্র খচিত অপরূপ দেখতো

আলতো নয়নে;

আমি হয়ে যেতাম নগ্ন রাতের অন্ধকারে রূপকথার

রাজকন্যা !


এখনো কান্নার বিগরিত শব্দ শোনা যায় প্রতিটি

দেয়ালের ইট পাথরের আস্তরণ হতে ! 

আমি একচ্ছত্র উপাদেয় পণ্য ছিলাম রাজন্যের হাটে

মন্দিরের ওপাশ থেকে ভেসে আসে সন্ধ্যার

জ্বালিত ধূপের গন্ধ,

আমি তখন শায়িত শয্যায় রাজর্ষিক সুখের আকাশে মুক্ত তারা।।


নিয়ম করে তুলসী তলায় পিদিম জ্বালাতে হতো

ভোক্তার নামে,

টানটান সুখে আমাকে হতে হতো রাজন্যের খিচুরিপ্রসাদ !

এখনো মানুষ উকি দিয়ে আমাকে খুঁজে 

পাঁচিল টপকে,

দুচোখ ভরে দেখতে পায় সরোবর আর বাগিচায়

বৃক্ষলতা ।

শুধু গন্ধ সুখে যায় বন্দিশালায় বনলতাকে?

হ্যাঁ,

পথিক একবার দাঁড়াও!

আমি সেই নাটোরের বনলতা সেন বেঁচে আছি,

থাকবো অনন্তকাল তোমাদের দহিত অন্তরে ।।।


হরিদেবপুর,১৪/১০/১৯ দ্বিপ্রহর।