#বিষয়- গদ্য কবিতা #শিরোনামঃ মেয়েলীকথা #কলমেঃ মধুপর্ণা বসু
মেয়েদের এতো ভাবতে হয় কেন? কেন এতো মাথা ব্যথা, অবসাদ, অতৃপ্তি , ঘুমের বড়ি? কেন সারাদিন চার দেওয়ালে আঁচড় কেটে সকাল থেকে রাত?আবার কখনো টেবিলের শেষ কোণা? কেন মানানো বা মেনে নে…
#বিষয়- গদ্য কবিতা
#শিরোনামঃ মেয়েলীকথা
#কলমেঃ মধুপর্ণা বসু
মেয়েদের এতো ভাবতে হয় কেন?
কেন এতো মাথা ব্যথা, অবসাদ, অতৃপ্তি , ঘুমের বড়ি?
কেন সারাদিন চার দেওয়ালে আঁচড় কেটে সকাল থেকে রাত?
আবার কখনো টেবিলের শেষ কোণা?
কেন মানানো বা মেনে নেওয়া?
কেন মৃত্যুর সাঁকো পার হতে হতে ব্যালেন্সের খেলায় ক্লান্ত, রাগী অথবা জেহাদী?
এর বিকল্প ধারার শুরু বা স্থিতি কোথায়? এও এক থেকে বহু ভাবনার,
পথের অভিযানে বুক বেঁধে বেড়িয়ে পড়া--
নদী ও নারী, জীবন ও জল, গর্ভ এবং প্রবহমানতায় তেমনিই তো..
এসবেরই যেমন যত্ন মায়া আর সস্নেহে রক্ষা তেমনই তো গৌরবের এই কন্যা জন্ম।
জলের মতো স্বচ্ছ জীবন লুঠ হয়ে যায় ধুলোর সংসারে।
এমন সুন্দরী সম্পদের নিরাশ্রয় জীবন মাটির বুকে এক মহামারী।
তাই জীবনের বহমানতায় প্রকৃতির জীবনস্রোতও বয়ে যাক ঝর্ণা ধারায়, পাথর দিয়ে, বাঁধ বেঁধে তাকে ঘর আর আলোর আড়ালে রেখে দিলে কি?
জড়িয়ে রাখলে বজরার রুটি আর আঁতুড়ঘরে।
আর কেউ দেখবেনা সৃষ্টি স্থিতি, প্রগতি।
এমন করেই হারিয়ে যাবে পুরুষের মুখও একদিন,
মুছে যাবে মানুষের কাহিনী।
জলের মতো বয়ে চলা, রমনীয় মেয়েদের যত্নে রেখো...
নারীই যে মানুষের জীবনে নিরন্তর জন্ম দেয় পরিবর্তনশীলতা--
সে বড়ই অনায়াস কিন্তু দুর্লভ মুল্যবান
সচল সম্পদ।