বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ। কিন্তু এখনো অর্ডার না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় তমলুকের মৃৎশিল্পীরা।।তমলুক শহরের বিভিন্ন কল-কারখানা, বাসের গ্যারেজ, কিংবা নার্সিংহোম গুলিতে ধুমধাম সহকারে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হতো বিগত বছরগুলোতে।…
বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ। কিন্তু এখনো অর্ডার না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় তমলুকের মৃৎশিল্পীরা।।
তমলুক শহরের বিভিন্ন কল-কারখানা, বাসের গ্যারেজ, কিংবা নার্সিংহোম গুলিতে ধুমধাম সহকারে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হতো বিগত বছরগুলোতে। কিন্তু এ বছর মহামারী করোনার প্রভাব কোথায় যেন থমকে গিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। তাই মনের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ না থাকলেও জাঁকজমক হীন ছোট করে বিশ্বকর্মা পুজো হবে মনে করছেন মৃৎশিল্পীরা। তাই তমলুক শহরের মৃৎশিল্পীরা আগে থেকেই আঁচ পেয়ে বিগত বছরগুলোর মতো বড় করে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরীর সাহস দেখাননি। মৃৎশিল্পীরা ছোট প্রতিমার ওপর জোর দিয়েছেন। তাই প্রত্যেক মৃৎশিল্পীরা দুই থেকে চার ফুটের মধ্যে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরি করেছেন। কিন্তু এর পরেও এখনো পর্যন্ত বিশ্বকর্মা প্রতিমা অর্ডার মৃৎশিল্পীরা পাননি। হাতে মাত্র আর দুদিন। তারপরই বিশ্বকর্মা পুজো।অর্ডার না আসায় দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন মৃৎশিল্পী থেকে মৃৎশিল্পের পরিবাররা।
প্রতিমা তৈরি করতে যেসব কাঁচামাল লাগে, তা আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই খরচ বেড়েছে। মৃৎশিল্পী অনুপ ভট্টাচার্য এর কথায় 'বিগত বছরগুলোতে যারা বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিয়ে যেত তাদের কথা ভেবেই প্রতিমা তৈরি করেছি, এরপরে পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে মানুষের রোজগার কমেছে, ফলে এবারের বিশ্বকর্মা পুজো খুব একটা বড় করে হবে বলে মনে করেন না মৃৎশিল্পীরা।