প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রথম রাজনৈতিক হাতেখড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে।
বীরভূমের কীর্নাহারের মিরিটী গ্রাম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান হলেও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ও তমলুক ছিল তার রাজনৈতিক …
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রথম রাজনৈতিক হাতেখড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে।
বীরভূমের কীর্নাহারের মিরিটী গ্রাম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান হলেও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ও তমলুক ছিল তার রাজনৈতিক ভূমি। কেননা মহিষাদল থেকেই তার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিল। প্রয়াত প্রবীন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়াই ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু।
সময়টা ছিল ১৯৬৭ সাল। তদানিন্তন কংগ্রেস নেতৃত্বর সাথে বিরোধ বাঁধে মেদিনীপুর কংগ্রেস কমিটির। প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ চন্দ্র সামন্ত, সুশীল ধাড়া, অজয় মুখোপাধ্যায়রা গঠন করেন বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস। প্রনব মুখোপাধ্যায় তখন আমতলা কলেজে রাষ্ট্রবিঙ্গানের অধ্যাপনা করতেন। কোলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বছর ৩২এর যুবার বুদ্ধিদীপ্ত বাচন ভঙ্গি, দৃঢতা নজরে আসে সুশীল ধাড়ার। তিনি প্রনব মুখোপাধ্যায়কে তার সংগে দেখা করতে বলেন। মহিষাদলে এসে সুশীল ধাড়ার সংগে দেখা করে রাজনীতিতে যোগ দেন প্রনব মুখোপাধ্যায়। সুশীলবাবুরা প্রনববাবুকে বাংলা কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভায় পাঠান।
রাজ্য সভার সংসদ অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর নজরে আসেন। তারপর তিনি যোগ দেন জাতীয় কংগ্রেসে। তারপর পাকাপাকি ভাবে দিল্লির রাজনীতিতে নাম জড়িয়ে ফেললেও মহিষাদল, তমলুককে কখনো ভোলেননি তিনি। ২০১১ সালের ২৮শে জানুয়ারি, তিনি তখন দেশের অর্থমন্ত্রী। সেদিন তার রাজনৈতিক গুরু সুশীল ধাড়া মারা যাওয়ার দিন দিল্লি থেকে সোজা চলে এসেছিলেন মহিষাদলে। তাছাড়া ২০১৩ তে তিনি যখন রাষ্ট্রপতি তিনি এসেছিলেন তমলুকে। এমন এক প্রিয় মানুষকে হারিয়ে কার্যত শোকার্ত মহিষাদল তমলুকের বাসিন্দারা। স্মৃতিচারনায় তার সেদিনের সহকর্মীরা।