Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দিল্লির কাছে বিজেপির বঙ্গ জয় হয়তো অধরাই থেকে যাবে, কারন বাংলা তো বহূদূর

। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।একুশের বিধান সভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপির কাছে বঙ্গ ততটাই দূর হয়ে যাচ্ছে ।ক্রমশই ফিকে হচ্ছে উনিশের লোকসভা ভোটের ফল। কারন সেই আঠারোটি লোকসভা আসনের অন্তর্গত  বিধান সভা গুলি আর সেই বিজেপির ছবি দেখতে পার…



 । তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।

একুশের বিধান সভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপির কাছে বঙ্গ ততটাই দূর হয়ে যাচ্ছে ।ক্রমশই ফিকে হচ্ছে উনিশের লোকসভা ভোটের ফল। কারন সেই আঠারোটি লোকসভা আসনের অন্তর্গত  বিধান সভা গুলি আর সেই বিজেপির ছবি দেখতে পারছে না।উল্টে বলা যায় তৃনমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর সেই সব জায়গায় নিজের টিম নিয়ে ঢুকে পড়ছে।ফলে উনিশের হিসাব যে মিলবে না তা তো বোঝাই যাচ্ছে । ক্রমশই বিজেপির পাল্লা ঝুঁকছে মমতার তৃনমূলের দিকেই। আর এই সব কেন্দ্র গুলির দিকে নজর রাখছেন পিকে ও তৃনমূলের যৌথ বাহিনী ।তৃনমূলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব নেই একথা বলছি না, তবে সেই দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে বিজেপি দলের অন্দরে।ফলে সেই ছবি ও কিন্তু ধরা পড়বে একুশের ভোট ইভিএমে।

এখন বঙ্গ বিজেপি দলটি দেখতে গেলে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।দিল্লি হাজার চেষ্টা করেও সে ফাটল বোঝাতে পারেনি।আর তা যে বোঝানো যাবে না তাও বুঝেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় শিবির।
বঙ্গ বিজেপিতে এতদিন ছড়িয়ে ঘুরিয়ে এসেছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তিনি আবার আর এস এসের কাছের লোক।এতদিন মুকুল রায় ছিলেন পদহীন বিজেপি নেতা।ফলে গুজব ছিল মুকুল কি আবার তৃনমূলে ফিরবেন।বর্তমানে সেই মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ দেওয়াতে মুকুলের সমস্যা হয়তো মিটলো। কিন্তু রাজ্যে আজও মুকুল রায়কে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। শোনা যাচ্ছে এর পিছনে রয়েছে সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও আর এস এসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । যাঁরা কখনোই মুকুলকে ভালো চোখে দেখেন না। কিন্তু বঙ্গের ভোট বৈতরনী পেরোতে গেলে মুকুলকে যে দরকার তা সকলেই বোঝেন। বঙ্গ রাজনীতির চানক্য মুকুল ও সে কথা বোঝেন।কিন্তু দলে মুকুলের পদ পাওয়া তে চটেছেন দিলীপ ঘোষ। মুখে একসঙ্গে কাজের কথা বললেও কাজে যে তা হচ্ছে না তা তো দেখাই যাচ্ছে ।
গোদের ওপর বিষফোড়া রাহূল সিনহা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে রাহূল কে সরিয়ে সেই পদে অনুপম হাজরাকে আনবেন তা স্বপ্নেও ভাবেনি রাহূল সিনহা।ফলে পার্টির সমস্ত কর্মসূচী তিনি বয়কট করছেন। নবান্ন অভিযানের দিন দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও রাহূল সিনহা সারাদিন ঘরেই ছিলেন। তিনি এখন কি করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলে। চল্লিশ বছর ধরে বিজেপি দল করার ফলে তাঁর ও একটি ভালো সংখ্যার অনুগামী রয়েছে। ফলে রাহূল কে দল পদ না দিলে সেটিও বুমেরাং হবে।
এখন দল পরিস্কার ভাবে তিন টুকরো। প্রথম দলে পুরানো বিজেপি ও দিলীপ ঘোষ।
দ্বিতীয় দলে তৃনমূল দল থেকে আসা লোকজন ও মুকুল রায় ।
আর তৃতীয় দলে রাহূল সিনহা ও তাঁর অনুরাগী বৃন্দ।
ফলে দিল্লি বিজেপি বাংলাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বোধহয় অধরাই রয়ে যাবে।
আর রাজনিতীর চানক্য মুকুল রায় ও বুঝেছেন অন্য দল থেকে তিনি যতই ভাঙিয়ে নিয়ে আসুন না কেন তাতে লাভ হবে না।স্যাবোটেজ হবে দলের মধ্যেই ।
দিলীপ ঘোষ ,মুকুল রায় ও রাহূল সিনহা এক সরলরেখায় থেকে কাজ যে করবেন না তা এখন বিজেপির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।বিরোধী তৃনমূল দল ও জানে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ই তৃনমূলের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে একুশের ভোটে।এর সঙ্গে মমতার উন্নয়ন তো আছেই।
      আবারও বলছি তৃনমূলের মধ্যে ও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আছে।কিন্তু সেখানে যেহেতু সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় তাই সেটি জনসমক্ষে আসছে না।মমতার নির্দেশে পিকে টিম তা দেখভাল করছে।
পূজার আগে বেজিপির নীচু তলার কর্মী দের চাঙ্গা করতে বাংলায় আসার কথা ছিল অমিত শাহের।কিন্তু জানা গেছে তিনি আসছেন না।
দিলীপ বনাম মুকুলের হয়তো সন্মুখ সমর নেই।কিন্তু নব বিজেপি ও আদি বিজেপির লড়াই অব্যাহত ।এখন সেই সঙ্গে যোগ হলো চল্লিশ বছর ধরে দল করা রাহূল সিনহার গোঁসা।
দিল্লি বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন দেখলেও ক্রমশই দিল্লির কাছে বাংলা দূরে সরে যাচ্ছে ।একুশের আগে সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ভোট বাক্সের কাছে যেতে পারবে কি।এখন তো দল বক্র রেখা তে।সরল রেখা না হলে কখনোই সম্ভব নয়।