তরুণ চট্টোপাধ্যায়বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, গোঁফের আমি গোঁফের তুমি গোঁফ দিয়ে যায় চেনা। বাংলায় মুকুলের ও সেই অবস্থা। পদ দিয়েই চেনা যায় বিজেপির মুকুল রায়কে। কিন্তু আজও রাজ্য রাজনীতির অন্দরে মুকুলের দায়িত্ব কি তা তিনি নিজেই জান…
 |
মুকুল রায়
|
তরুণ চট্টোপাধ্যায়
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, গোঁফের আমি গোঁফের তুমি গোঁফ দিয়ে যায় চেনা। বাংলায় মুকুলের ও সেই অবস্থা। পদ দিয়েই চেনা যায় বিজেপির মুকুল রায়কে। কিন্তু আজও রাজ্য রাজনীতির অন্দরে মুকুলের দায়িত্ব কি তা তিনি নিজেই জানেন না। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি । দেশের বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার পরেই তিনি। কিন্তু এ রাজ্যের কোন দায়িত্ব এখনো হাতে নেই।
বিজেপিতে পদমর্যাদায় এবং পদে আসীন। । ফলে সেই নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে চর্চা এখন চলছেই। দিলীপ মুকুলের জোড়া অস্ত্রকে সম্বল করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন পদ্ম ফুটুক বাংলায় । কিন্তু ধার থাকলে তো হবে না কাটতে তো হবে।আর সেই কাটার জন্যই তো দুহাজার একুশে বঙ্গ ভোট। আর সেই কারনেই বঙ্গ বিজেপির বিগ্রেড চাইছেন মুকুল রায় পথে নামুক। ভোটের রন কৌশল তৈরি করুক। কিন্তু সেখানেও যে কাঁটা। পদ তো সর্বভারতীয় । কিন্তু বঙ্গের দায়িত্ব দিশা যে এখনও নেই মুকুলের হাতে।
এ রাজ্যের বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এস এসের প্রাক্তন প্রচারক। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, মতাদর্শের দৃঢ়তা, কর্মীদের চাঙ্গা করার ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভরসার অভাব নেই। মাঝেমধ্যে নানা ঝড়তোলা বক্তব্য দিলীপ ঘোষের সেই খ্যাতি শতেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে ।
আবার এদিকে ভোট কুশলী ও তৃনমূলের অন্দরের খবর জানা মুকুল রায় কেও বাইরে রাখতে চায় না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ।এ রাজ্যের ভোটে উনিশের পদ্ম ফোটানো মুকুল কেও চাই। আর সেই কারনেই দিলীপ মুকুলকে এক সরল রেখায় আনতে চায় দিল্লি । দুজনেই যৌথ ভাবে লড়াই করুক মমতার তৃনমূলের বিরুদ্ধে ।
আর সেই কারনেই পদহীন মুকুল রায়ের সরাসরি পদোন্নতি দলের কেন্দ্রীয় স্তরে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে। কিন্তু যতক্ষণ না দল মুকুলকে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দিচ্ছেন ততক্ষণ মুকুল ধার থাকলেও ভার নিতে পারছেন না। একদা তৃনমূলের ভোট বাক্স সামলানো মুকুল তাই এখন ও চুপচাপ । অপেক্ষা বঙ্গ ভোটে দল মুকুলকে কি দায়িত্ব দেয় তার ওপর।
সাধারণত বিজেপি দলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বতে থাকা নেতারা তাঁর নিজ রাজ্যের দায়িত্ব পান না। মুকুলের ক্ষেত্রে ও কি ঠিক তাই ঘটবে।
অবশ্য মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে এ নিয়ম হয়তো মানা হবে না। কারন তিনি বঙ্গের ভোটার নয়। তাঁর সরকারী ঠিকানা এখন দিল্লি ।সেখানকার ভোটার। তাই রাজ্য হিসাবে তাঁকে হয়তো বঙ্গ থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। আজ অথবা কাল তিনি দায়িত্ব পাবেন বঙ্গ ভোট পরিচালনার।অবশ্যই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক যোগেই।
উনিশের লোকসভা ভোটের কথা স্মরনে রেখেই বিজেপির পদ্ম শিবির যে মুকুলকে এ রাজ্য থেকে গুটিয়ে রাখবেন না। দিলীপ ও মুকুলের যৌথ ভাবে শানানো আক্রমণে তৃনমূল কে ধরাশায়ী করার ছক এখন দিল্লি ভাবছেন। তাই মুকুল রায় ভোট কুশলী সে কথা মাথায় রেখেই চলছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ।
তবে ভোট যতো এগিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন মুকুল অনুগামীরা। আর সেই কারনেই চর্চা চলছে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এ রাজ্যের ভোটে কি ভূমিকা নেবেন।
দিলীপ ও মুকুলের জোড়া ফলা কি আদৌ এ রাজ্যের ভোট বাক্সে পদ্ম ফোটাতে কতটা সক্ষম হবেন ? নাকি ভারি পদ নিয়ে মুকুল দৌড়ে বেড়াবেন ভিন রাজ্যে !
রাজ্য রাজনিতীর রথে কি সারথীর দায়িত্ব দিলীপ মুকুল যৌথ ভাবে
? সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে অচিরেই জানা যাবে দল সাংগঠনিক কাজে এ রাজ্যে মুকুল কে কি ভার দেবেন।