তুমি তো সরিয়েই রেখেছোতোমার ঠোঁটের লাল লালিমা, প্রগাঢ় শ্বাস-প্রশ্বাস।অভিমানী অহংকারের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ রেখাহালভাঙা না'য়ে এক তৃষ্ণিত চাতক আমি নীলসমুদ্রে।অনন্তঃ অবেলায় অন্তহীন অর্থহীন উড়ি, শুধু উড়িতবুও যাওয়া হয়না হাতের নাগাল…
তুমি তো সরিয়েই রেখেছো
তোমার ঠোঁটের লাল লালিমা, প্রগাঢ় শ্বাস-প্রশ্বাস।
অভিমানী অহংকারের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ রেখা
হালভাঙা না'য়ে এক তৃষ্ণিত চাতক আমি নীলসমুদ্রে।
অনন্তঃ অবেলায় অন্তহীন অর্থহীন উড়ি, শুধু উড়ি
তবুও যাওয়া হয়না হাতের নাগালের বাইরে পৃথিবীতে।
কারণ,তুমি পিছন টেনে রেখেছো কী এক অমোঘ টানে।
তুমি চাওনি বলেই আজও হয়নি দেখা
অজন্তা ইলোরার গুহাপথ, বিদর্ভ নগরীর ক্ষয়ীষ্ণু স্বপ্ন।
অতল-তলের আর্তি খুঁড়েখুঁড়ে দেখা হয়নি
সিন্ধুসভ্যতার হরপ্পা, মহেন-জো-দাঁড়ো ;
কান্তজ্বী'র মন্দির কিম্বা রাম-সাগরের উত্তাল উচ্ছ্বলতা।
কারণ তুমি চাওনি তা কখনও।
আমি ইচ্ছে করেই হারিয়ে যেতে পারিনি সেইসব দিনের
বৈশাখী মেলা, পূন্ন্যতীর্থের কোন রাস-মেলা অথবা
অন্তহীন মানুষের ঢল নেমেআসা গঙ্গাস্নান ; কুম্ভমেলায়।
কারণ তোমাকে সাথী করে নেয়া হয়নি আমার।
আটপৌরে জীবনের ছকে সাপলুডু খেলেই
কাটিয়ে দিলাম শুধু তোমারই প্রতিক্ষায়।
আর তুমি বিষদংশনে অধর কেটেছো রহস্যের হাসিতে;
বিষ-নিশপিশ বিবসনা বসনে নিজেকে আবৃত করে।
অপেক্ষা আর প্রতিক্ষায় আমাদের এই যাপিতজীবন-
মৃত্যু-আঁধার ঘিরে আসে দিকচক্রবালের সসীম সীমানা।
দু'চোখের তারায় আর ওড়েনা সেই সোহাগী চঞ্চলা দিন
দীর্ঘশ্বাসের মাতাল হাওয়া ছড়ায় এখন দেহপিঞ্জরায়।
আর তো মাত্র কয়েকটা দিন, ব্যস-
শেষ-পারানীর খেয়াঘাটে পৌছুনো বাকি।
হাশরের মাঠে, শেষ বিচারের দিন যদি
জন্ম জন্মান্তরের সুকীর্তির কারণে দয়াপরবশ হয়ে
ভুল করে মালিক-খোদা দান করেই বসেন বেহেস্তবিগান
বিশ্বাস করো-
তোমাকে না নিয়ে আমি সেখানে যাবোই না কক্ষনও।
বিশ্বাস করো-
©সিরাজুল ইসলাম।
(#সোনাবউ)