একুশে বঙ্গের বিধানসভা ভোট।বিহার ভোটের ফলাফলের উত্তাপের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বঙ্গ বিজেপি নেমে পড়লো বাংলার ভোটের মাঠে।পাখির চোখ এখন বাংলা ।মমতার তৃনমূল সরকার কে উৎখাত করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ।ছত্তীবাহিনী নেমে পড়েছে বাংলার ভোট বাজার…
একুশে বঙ্গের বিধানসভা ভোট।বিহার ভোটের ফলাফলের উত্তাপের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বঙ্গ বিজেপি নেমে পড়লো বাংলার ভোটের মাঠে।পাখির চোখ এখন বাংলা ।মমতার তৃনমূল সরকার কে উৎখাত করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ।
ছত্তীবাহিনী নেমে পড়েছে বাংলার ভোট বাজারে।লড়াই হবে বঙ্গ তৃনমূলের সঙ্গে বিজেপির ছত্তী বাহিনীর।
ছত্তীবাহিনী কথাটি অবশ্য তৃনমূলের আমদানি করা।বিজেপির ভোট ময়দান সামলাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাঁচ বহিরাগত কে বাংলার ভোটে সৈনিক করে পাঠিয়েছেন।যারা রাজ্য ভাগ করে দেখভাল করবেন বাংলার ভোটে।
সম্প্রতি তৃনমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃনমূলের রাজ্য সভার সাংসদ শুভেন্দু শেখর রায় বললেন যে কোন মূল্যে বাংলার বিভাজনের রাজনীতি রুখবেন আমাদের কর্মী রা ।শুধু তিনিই বা কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও জানান এই রাজ্যের মাটিতে বাইরের কারো হূমকিতে ভয় পাবেন না।রাজ্য সরকার আইনের পথেই চলবে।
বিজেপি বাংলাকে মমতার শাসন মুক্ত করতে একদল বহিরাগতদের এনেছেন একথা সত্যি ।কারন এথেকে পরিস্কার দিলীপ বনাম মুকুলের দ্বৈরথ আজও কমেনি।আর এর পরিপেক্ষিতেই স্হানীয় দের বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভরসা নেই।ফলে নেতা আমদানি ।
কৈলাস বিজয় বর্গীয় অবশ্য এই ছত্তীবাহিনী বলাতে ক্ষুব্ধ ।তিনি বলেন এটি অর্বাচীনের মতো উক্তি ।চীনের থেকে কেউ আসেন নি।এরা সকলেই ভারতীয় ।তৃনমূল বাংলা দেশ থেকে কেউ এলে স্বাগত জানান।আর এরা কিনা বহিরাগতদের দলে পড়লো।আসলে খেলা জমেছে দু পক্ষেই ।বিজেপি দল তো বলতে শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর কি বাংলাতে জন্মেছেন।উনি তৃনমূলের আমদানি নয়।নাকি কোটি কোটি টাকা ঢেলে প্রশান্ত কিশোরকে বাংলার সম্পদ করা হয়েছে।
যাক সে সব আলোচনা ।বাংলার বিজেপি কে অগ্রাহ্য করেই যে এঁদের আনা হয়েছে এটি তো সত্যি ।এছাড়া দিলীপ মুকুলের দ্বৈরথ সামলানো যেতো না।এখন দেখা যাক বাংলার অচেনা মাটিতে কারা কারা পা রাখলেন।
সুনীল দেওধর।বিজেপির সর্ব ভারতীয় সম্পাদক ।দায়িত্ব নিলেন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ,হাওড়া ও হুগলির।
দুষ্মন্ত গৌতম। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি ।দেখভাল করবেন কলকাতা জোন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও উওরের একাংশ।
বিনোদ তাওড়ে।মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী ।ভার নিলেন মুরশিদাবাদ, নদীয়া ও উওর চব্বিশ পরগনার একাংশ।
হরিশ দ্বিবেদী ।বিজেপির সর্ব ভারতীয় সম্পাদক ।উওর বঙ্গের সব কটি জেলা পড়েছে তাঁর ভাগে।
বিনোদ সোনকর।বেজিপি নেতা।ভার নিলেন দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূমের ।
ইতিমধ্যেই এই সব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি মাঠে নেমে পড়েছেন দলবল নিয়ে ।তবে সন্দেহ একটা তো থাকছেই ।বাংলার মাটি এদের কাছে সত্যিই অচেনা।তাই ফসল ফলবে কিনা।স্হানীয় বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে কতখানি সাহায্য পাবেন।বিজেপি নেতাদের মনে ও প্রশ্ন জাগছে তবে কি বাংলায় কোন নেতা নেই।আর যারা আছেন তারা কি করবেন।ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকার জন্য তো কেউ রাজনীতি করতে আসেন নি।
ছত্তীবাহিনীকে আটকাতে ইতিমধ্যেই তৃনমূল ও মাঠে।বাংলার সৃষ্টি ও কৃষ্টিকে কেড়ে নিতে ভোট জেতার আগেই বহিরাগতদের আগমনের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছেন।
বাংলার পরিবেশ ও উন্নয়নের পথে কাঁটা দিতে এই ছত্তীবাহিনীর আগমন বলেই প্রচার চালানো শুরু করে দিয়েছেন তৃনমূল নেতৃত্ব ।ছত্তীবাহিনীর জ্বালিয়ে দাও ,পুড়িয়ে দাও রাজনিতীর বিরুদ্ধে জনগনকে সজাগ থাকতে আহ্বান ও জানিয়েছেন।
শুধু এরা পাঁচজন ই নয়, অমিত মালব্য ,বি এল সন্তোষ ও আরো অনেকেই আসছেন বিজেপি কে বাংলায় অক্সিজেন দিতে।কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বলে দিয়ে ছেন দরকার পড়লে এ রাজ্যে পঞ্চাশ জন বহিরাগত কে আনা হবে।
জমে গেছে বাংলার ভোট।ছত্তীবাহিনী বনাম তৃনমূলের লড়াই ।ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে ও ঘোড়া কেনা বেচাও শুরু হয়েছে।এখন দেখা যাক এ রাজ্যের কোন ঘোড়া কত দামে কেনা বেচা হয়।
কেউ কেউ বলছেন বহিরাগত পিকে আটকাতেই বিজেপি র এই নয়া কৌশল।
করোনার আবহে সব দলই ভারচুয়াল প্রচারে যে মন দেবেন তা সত্যি ।
তবে বাংলার বিধানসভা ভোটে বহিরাগতদের সঙ্গে লড়াই হবে এ রাজ্যের তৃনমূলের ।
তৃতীয় জোট ও কংগ্রেস বামফ্রন্টের মধ্যে অনেটাই এগিয়ে আছে।
এখন কদিন চলবে ঘোড়া কেনা বেচার পালা।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।