তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতাসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গেলেন।মানুষ টিকে নিয়ে পেশাগত কারনে গতকাল আমাকেও লিখতে হয়েছে।কিন্তু লিখতে গিয়ে বুঝেছি ওনাকে নিয়ে এক লাইন লেখার মতো যোগ্যতা আমার নেই।কতটুকু জানি।কতটুকু পড়াশুনা করেছি যে হিমালয় সমান…
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় |
তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা
তাঁর সঙ্গে আমার ও দেখা হয়নি তা নয়।বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি ।তবে সেতো ছিল ভিষন এক ভয়।
কথা বলতে গিয়ে বার বার জিভ আটকে এসেছে।মনে হয়েছে মহা সমুদ্রের কাছে দাঁড়িয়ে কটি ঢেউ গোনা ছাড়া আমার আর করার কি আছে।মাথা নিচু হয়েছে শ্রদ্ধার আঁচলে।
জীবন তো একদিন থেমে যায় ।আর সে কি পাহাড়ের কি সমুদ্রের ।
কিন্তু স্মৃতি থাকে অম্লান ।
কোনি ফাইট ,কোনি ফাইট, যার কলম থেকে উঠে এসেছিল সেই মতি নন্দীর সঙ্গে সারাদিন সারা রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা টি আমার বুকে ধরা আছে।সৌজন্যে বিকাশ দা।
আর যেদিন সেই মতিদা আমার পূর্ব মেদিনীপুরের
বাসা বাড়িতে আসেন সপরিবারে সেদিন কাকতালীয় ভাবে টিভিতে কোনি সিনেমা চলছিলো।ওনার সঙ্গে বসেই দেখছিলাম সিনেমা টি।
লেখকের সঙ্গে বসে ক্ষিদ্দার সেই ফাইট শব্দটি আজও কানে ভাসে।শুধু কোনি নয় আমার মতো অনেকেই আজ সেই ফাইটের মুখোমুখি ।
চল্লিশ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে ফাইট করতে করতেই চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ।রেখে গেলেন পাহাড় সমুদ্র প্রমান শিল্পের ভান্ডার।লক্ষ্য বছরেও সেই সম্ভার বাড়বে বই কমবে না।
ফাইট চলবে।কোনি ফাইট।