শেষ দৃশ্য-----–--- কয়েক ঘন্টা আগেই নাটকের শেষ অংক অভিনীত হয়ে গেল।এক প্রবাদপ্রতিম নায়কের শেষ অভিনয়ের দৃশ্য।হ্যাঁ,ঠিক বারটা পনের মিনিটে তিনি চলে গেলেন। চলে গেলেন রঙ্গমন্চের সব আলো নিভিয়েই।'অভিযান' শেষ হল দীর্ঘ একটা সময় ধ…
শেষ দৃশ্য
-----–---
কয়েক ঘন্টা আগেই নাটকের শেষ অংক অভিনীত হয়ে গেল।এক প্রবাদপ্রতিম নায়কের শেষ অভিনয়ের দৃশ্য।হ্যাঁ,ঠিক বারটা পনের মিনিটে তিনি চলে গেলেন। চলে গেলেন রঙ্গমন্চের সব আলো নিভিয়েই।'অভিযান' শেষ হল দীর্ঘ একটা সময় ধরে।চল্লিশ দিনের লড়াই আজ শেষ হল।সেই ১৯৫৯ সালে শুরু,তারপর আজ এই ২০২০।দীর্ঘ ষাট বছরের লড়াই।সবাই ভেবেছিল এই লড়াইটা "ক্ষিত দা"জীতে যাবে।কিন্ত না সেটা হল না,তিনি হেরে গেলেন।
কিন্ত মৃত্যু তো আসবেই।"মৃত্যু আয় তুই ছক কাটা ঘরে,চূ কিত কিত খেলি,খেলি তিন পাত্তি।" সত্যজিতের মানস পুত্র পাড়ি দিল সেই দেশে,যেখান থেকে ফেরে না কেউ। সত্যজিতের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে প্রবেশ। এরপর একে একে চোদ্দটি সিনেমা করেছেন, কিন্ত কখনো সত্যজিত সর্বস্ব হয় পড়েননি।তবে অভিনয় তো একটা সত্বা মাত্র।সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কবিতা লিখে ছেন,পাঠ করেছেন।কাজ করেছেন আকাশবাণীতে।আজ ও শেষের কবিতার আমিতের কথা বললে ভেসে আসে তাঁর ভরাট,উদ্বাত্ব গলা। অপু থেকে ফেলুদা কেউই টপকে যেতে পারেনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।তাঁর জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে তৈরী হচ্ছিল একটি বায়োপীক।সেই সূত্র ধরে অতিমারী পরিস্থিতিতেও ফিরে এসেছিলেন শুটিং ফ্লোরে।সেইখানেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত।
অভিনেতার অবসানে থেকে গেল শুধু--চরিত্রগুল।আর থাকল নিজেকে ভাঙ্গা গড়ার একটা রূপকথা।
কলমে:অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৫.১১.২০