Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-পত্রিকার-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

গল্প- আয়না লেখায় - সোনালী চক্রবর্তী২৪/১১/২০
  একটি আয়না একজনের জীবনে এমন এক ঘটনার ঘটিয়ে দেয় যাতে করে সারা জীবন ই আয়নার থেকে নিজেকে সব সময় দূরে রেখেছে অমর ।অমর আর অজিত খুব ভালো বন্ধু তারা দুজনেই প্রেসিডেন্সি কলেজে মাইক্রোবায়লজি নিয়…

 


গল্প- আয়না

 লেখায় - সোনালী চক্রবর্তী

২৪/১১/২০


  একটি আয়না একজনের জীবনে এমন এক ঘটনার ঘটিয়ে দেয় যাতে করে সারা জীবন ই আয়নার থেকে নিজেকে সব সময় দূরে রেখেছে অমর ।অমর আর অজিত খুব ভালো বন্ধু তারা দুজনেই প্রেসিডেন্সি কলেজে মাইক্রোবায়লজি নিয়ে পড়ছে ।পূজোর ছুটিতে বেড়াতে যায় জলপাইগুড়ি তে ওখানে একটি হোটেলে ওঠে ওরা প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর হলেও হোটেলের রুম টি ঠিক ভালো লাগেনা অমরের বিশেষ করে ওখানে রাখা একটা বিশাল আয়না। তাই অজিত কে তার রুমেই থাকতে বলে সে।ক্লান্তিতে  তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরে দুজনে ঘুম ও এসে যায় তাড়াতাড়ি।একটা কুৎসিত স্বপ্নে ধরফর করে বিছানা থেকে উঠে পরে অমর দেখে অজিত বিছানায় নেই ।হঠাৎ চোখ পরে আয়নায় ভয়ে শিউরে ওঠে সে আয়নার সামনে দাঁড়ানো একটি মেয়ে তার দুইচোখ দিয়ে রক্ত ঝরে পরছে আর কি ক্রুরদৃষ্টি সেই চোখের। মুখে কিছু একটা বলছে। শিথিল হয়ে যায় হাত পা প্রায় জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা ।সকালে উঠে অজিত কে সে তার পাশেই প্রায় ।কিন্তু রাতের ঘটনাটা , ওটা কি স্বপ্ন ? ।


অজিত কে লক্ষ্য করতে গিয়ে ওর ঘাড়ে একটা আঁচড়ের দাগ দেখলাম ।জানতে চাওয়ায় আমি, কি দেখছি তা জানতে চায়। জানতে চাই কাল কোথায় গিয়েছিলি উওর দেয় কই কোথাওনা । আমি রাতের ঘটনা তাকে বলি সে শুনে আশ্চর্য রকমের গম্ভীর হয়ে যায় ।বলে ওই ভয়ংকর মহিলাকে সে ও দেখে সে কার চোখদুটো ঘুবলে নিয়ে আয়নায় চলে যায়।

চা খেতে বসে অজিত বলে এর সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই তো রে ? । অমর সব ভুলতে চায় বলে চল ঘুরে আসি ।ঘুরতে গিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে হোটেলে ফেরার পালা ।ফিরছি গাড়ির আলোয় দুটি মেয়েকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখি ।নামতেই তারা খিলখিল করে হেসে ওঠে আর চাপা গলায় কিছু পাঠ করতে থাকে ।শোনা যায় না তবে মেরি মেরি বলছিলো ।হঠাৎ মিলিয়ে যায় অজিত বলে ওভাবে কেউ নামে হু আমি ওদের কথা বলি অজিত বলে কোথায় কে আমি দেখছি না তো ।হোটেলে এসে ও মনটা খচখচ করছে কি বলছিল ওরা ? কখন ঘুমিয়ে পরি ঘুম ভাঙে রাত তিনটে বাজে পাশে অজিত কিন্তু ঘরে কারা যেন চলাফেরা করছে আয়নায় চোখ পরে বুকের রক্ত হিম হয়ে যার দুটি মেয়ে ও এক মহিলা দাঁড়িয়ে মুখে হিংস্র মধুর হাসির খেলা তাদের।খুব চেনা যেন মহিলাটি ? তিন জন রাজকীয় পোশাক পরিহিত।সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যায় । হঠাৎ ঝাঁকুনি অজিতের কি ভাবছিস রে বসে ? ।শরীরটা ভালো লাগছেনা তাই ঘুরতে গেলাম না অজিত গেল। রাত সাতটা বাজে অজিত তো এলনা ম‍্যানেজারের কাছে যাই খুব ভালো ভদ্রলোক আমায় নিয়ে বেড়ান বলেন তাদের এক লোকের সাথে অজিত বাবু আছেন ভয় নেই ।একটা জায়গায় গাড়িটা থেমে যায় ম‍্যানেজার দেখতে থাকেন কি হল ।পাশেই দেখি সেই মহিলা আমায় ইশারা করে ডাকছে চলতে থাকি তাঁর পিছু একটি কবর খানায় এসে সে দাঁড়ায় তার রূপের কেমন বদল হয় কি ভয়ংকর সে রূপ আমায় মারতে আসছে একটান কবর খানা থেকে বাইরে এযে আজিত। কিন্তু সব বোঝার আগেই ম‍্যানেজার বাবু বললেন অমন ভাবে কেউ আসে, আর শুনুন একটা বাজে খবর আপনার বন্ধু মারা গেছেন সারা গায়ে আঁচড় ও চোখ দুটো ঘোবলানো পকেটে একটা চিরকুট ও একটি আয়না পাওয়া যায়।ছুটে যাই দেখি আয়নায় কবিতার মত কিছু লেখা শেষে সেই মেরি মেরি বুঝতে পারলাম না।কিন্তু আমায় উদ্ধার করল কে ? মনে কষ্ট নিয়ে ফিরলাম কিন্তু সেই মহিলাকে আজ ও আয়নায় দেখতে পাই।তাই আয়নাকে জীবন থেকেই বিদায় দিই তবু মনে হয় সে আমার আশেপাশেই আছে।